Posts

Showing posts with the label ইচ্ছে ঘুড়ি

এ যেন এক অচেনা নগরী , অচেনা সভ্যতা ।

Image
 ময়লা অবর্জনার স্তুপের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমরা নাক ছিটকে অনেক কিছুই বলি । ভুলে যাই এই ময়লা গুলো আমাদের প্রতিদিনকারের অনেক সুন্দর খাবার কিংবা ব্যবহৃত জিনিষ গুলোর ফেলে দেওয়া অংশ বিশেষ ।  ছবি : Paste Magazine ঠিক পচে যাওয়া একটা সমাজ যখন গন্ধ ছড়াতে শুরু করে তখন আমার মতো অনেক হিপোক্রিটের জন্ম হয় যারা সুন্দর সুন্দর বাণী দিবে । আবার কেউ কেউ বা আমার থেকেও উচ্চমার্গিয় বক্তব্য দিবে । কিছুই করার নেই কেন না , আমাদের নীতি আদর্শ চুরি হয়ে গেছে অনেক পূর্বে । বহুবছর শোষণের শিকার এই জাতির নীতিতে মরিচার আবরণ পড়ে গেছে । আর বাকি গুটি কয়েক যে গুলো ছিলো তাদের কেও কখনো না কখনো আমরা বিভিন্ন উপাদি দিয়ে মেরে ফেলেছি ।  এই পচে যাওয়া সমাজ নামক স্তুপে এখন আর পদ্ম ফুল ফুটে না , আর ফুটলেও আমরা সেই ফুলকে চিনিনা বলেই কোন অচিন ফুল ভেবে ছিড়ে পেলে দেই । কিংবা তা অযত্নে অবহেলায় এক সময় নিজ থেকেই বিলীন হয়ে যায় । এই খানে কিছু এখন কিছু কিটের বসতি হয়েছে । মারাত্মক সব কিট , যারা একজন অন্যজন কে কামড়াচ্ছে । কাক যেখানে স্ব-জাতির মাংস খায় না , কিন্তু এই কিট গুলোর পচন্দের খবারের তালিকায় প্রিয় হলো স্ব-জাতির মাংস ।  এই হিংস্র কিটের কাম

ভালো থাকুক আমার প্রিয় সম্পর্কগুলো , ভালো থাক প্রিয় প্রেম গুলো ,আর প্রেমিকা গুলো ।

 না চাইলেই অনেক কিছুকে আজ কাল দুরে ঠেলে দিতে পারি না । প্রয়োজন নেই বলে ছুড়ে পেলে দিবো তা পারি না । জীবনের গতি পথ সে নিজ থেকেই ঠিক করে নিচ্ছে । সাথে নিয়তির পালা বদলকে  ভাগ্যটাও সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছে; নিজেকে আজ বড্ড একা মনে হচ্ছে । হয়তো এমনটাই হওয়ার কথা ছিলো । ঠিক যেমন টা বাতাসে উড়তে থাকা ধুলো কণা থেকে শুরু করে পলিথিনের ওই আবর্জনাটার মতো । এই গলি ওই গলি উড়ে কোন এক নতুন স্থানে গিয়ে নিজেকে আবিষ্কার করছে সে । হয়তো বা প্রয়োজন নেই বলে রেখে দিনে কিংবা সরে যেতে না পারার ফল এটি । অনেকটা প্রয়োজন , আপন বলে যে সম্পর্ক গুলোকে আগলে রাখার চেষ্টা চলেছিলো এতোটা দিন , সে গুলো এখন নতুন সুরে সুর তুলছে । কিন্তু সেই যাই হোক এর কষ্ট অনেক তীব্র । প্রিয় সম্পর্ক গুলোর হঠাৎ এমন পরিবর্তন আমাকে অনেকটা ভাবায় আজকাল ।  দিন দিন আশে পাশের পরিবেশটা এমন পরিবর্তন ডিস্টোপিয়ান সায়েন্স ফিকশনের গল্প গুলোকে ও হার মানায় । কোথাও মিল খুজে পাচ্ছি না । পারছিনা অনেক কিছু হিসাব মিলাতে । কি জানি সেদিনের অংকে ভালো ছাত্রটাও আজকাল অংক কষতে ভুল করে হয়তো  । কখনো কখনো ইচ্ছে করে , অনেক জোর করে , জোর দিয়ে প্রকাশ করে দেই , ভিতরে থাকা শব্দটাকে "

শুভজন্মদিন হুমায়ুন আজাদ । আপনার মতো করে কে আর ভাববে!

Image
বাঙলাদেশে জন্মালে ধ’রে নিতে হবে জন্মের সময়ই মৃত্যু হ’তে পারে; বেঁচে থাকলে অনাহারে থাকতে হ’তে পারে; বাঙলাদেশে জন্মালে রোগ খুবই হবে, চিকিৎসা হবে না, হ’লেও নামমাত্র হবে; হাসপাতালে গেলে ওষুধ মিলবে না, ওগুলো হাসপাতালের শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিরা গোপনে বিক্রি ক’রে দেবে; বাঙলাদেশে জন্মালে ধ’রে নিতে হবে লেখাপড়া হবে না, পরীক্ষা দিলেও অধিকাংশই পাশ করবে না, পাশ করলেও চাকুরি পাবে না। বাঙলাদেশে জন্মালে, ধ’রে নিতে হবে, জীবনটা কাটবে শক্তিমানদের খামখেয়ালির ওপর। শক্তিমানেরা চাইলে নদী শুকিয়ে ফেলা হবে, না চাইলে পথের ওপর দিয়ে নদী বইবে; শক্তিমানেরা চাইলে অসম্ভব সম্ভব হয়ে উঠবে, না চাইলে সম্ভবপর সব কিছু চিরঅসম্ভব থাকবে। শক্তিমানেরা চাইলে এখানে নিষ্পাপ দন্ডিত হতে পারে; না চাইলে মৃত্যুদন্ডিত মুহূর্তে নিষ্পাপ হয়ে উঠতে পারে। এখানে কোনো নিয়ম নেই, সবই চলে অনিয়মে, ও শক্তিমানদের কামনাবাসনা অনুসারে। বাঙলাদেশে জন্ম নিলে, ধ’রে নিতে হবে, জীবনটা পুরোপুরি অন্যের খেয়ালের ওপর ভর ক’রে থাকবে, পদ্মপাতায় টলমল করবে; যে-কোনো মুহূর্তে ঝরে যাবে। এখানে কোনো অধিকার নেই, কোনো যুক্তি দিয়ে এখানে কাউকে ন্যায়সঙ্গত কিছু বোঝানো যায় না। বাঙলার অধ

আমি অনেকটাই ভীতু

ছোটো থেকে একরাশ মৃতদেহ টপকে একটু একটু করে বেড়ে ওঠা আমার। আশে পাশের সবাই একটাই চিন্তা করতো , পড়ালেখা করবো , একটা সময় ভালো একটা চাকুরী করবো । তারপর সংসার । আর আমার চিন্তায় সব কিছুই ছিলো উলোট পালট । আমি তাদের মতো চিন্তা করতে পারি নাই । আর করি ও না । আমায় শুনানো হতো , শিয়াল পন্ডিতের গল্প , বলা হতো , ওই যে কদম বনের পরীদের গল্প । আর সব কিছুর মাঝে যে গল্পটা সব থেকে শুনানো হতো সেটা হলো , কার ছেলে পড়ালেখা শেষ করে , এখন কতো টাকা কামাচ্ছে । ওই সবের কোনটায় আমার মাথায় ঢুকে নি । আমি চলেছি আমার মতো করে , আমার পথে । আমি হেটেছি অন্ধকারের মাঝে , একটু আলোর সন্ধানে । আমি এখনও যা করি । তোকে কথা গুলো কখনই বলা হয় নি , তাই বলে রাগ করলি বুঝি ? সেদিন তুই বলেছিলি আমি ভীতু সত্যি তোর কথা । আমি ভয় পাই , অনেক ভয় । আমি ভয় পাই অন্ধকারে। আমি ভয় পাই রোজগার হীনতায়। আমি ভয় পাই মাঝপথে আটকে যাওয়ার। আর তাইতো আমি এই সকল কিছুকে এড়িয়ে চলি , যাতে এই ভয় গুলো আমার দ্বারে কাছেও আসতে না পারে । জানিস গত কয়েক বছরে অনেকেই এসেছিলো , আবার চলেও গেছে , ওদের যাবার ই কথা , কারণ ওরা তো ছিলো , ভেসে আসা মেঘেদের ন্যায় । আমি একটু বিচলিত হইনি ।

যে বিকালে নেই আমি (অপ্রকাশিত )

এই শহরের রাস্তায় এখন আর তেমন একটা নিয়ন বাতির আলোর দেখা মিলে না। প্রযুক্তির পরিবর্তনে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে । পরিবর্তন হয়েছে শহরের অলি গলি ,থেকে বড় রাস্তা । নির্মাণ হয়েছে উচু নিচু অনেক দালান । কেবল হারিয়ে গেছে কিছু দীর্ঘশ্বাস ,  বাতাসের সাথে মিলিয়ে গেছে কিছু অপেক্ষার সময় । মরে গেছে কিছু স্বপ্ন ।  মনে আছে শেষ সময় দু-চোখ ভরে দেখেছি নিয়ন আলোয় এই স্বপ্নের শহরটাকে । একটু একটু করে আলো পুরিয়ে যাচ্ছে , চোখ দুটো খুলতে খুব কষ্ট হচ্ছে আলো গুলো আমার থেকে দুরে সরে যাচ্ছে । আর আমি ? আমার এই দেহ খানি পড়ে রইলো ধুলো মাখা এই রাস্তায় ।  আমার মৃত্যুতে তাদের তেমন কোন লাভ হয় নাই । আমি জানিও না তারা কেন আমাকে চুরিকাঘাত করলো । কিন্তু তাতে আমার লাভ হয়েছে । আমাকে আর পালিয়ে বেড়াতে হয়নি আমার জীবন থেকে । আমাকে আর কৈপিয়ত করতে হয়নি এই সমাজের কাছে । আমার মুক্তি মিলেছে , এই ইট-পাথরে ঘেরা একটি শহর থেকে । মুক্তি মিলেছে  একটা দানবীয় গতিতে ছুটতে থাকা প্রজন্মের থেকে । তাদের অনেক তাড়া , তারা কোথা থেকে এসেছে , আর কোথায় যাচ্ছে তা হয়তো তারা অনেকের ই জানা নেই , তারা কেবলই ছুটছে , কেউ ছুটছে নিজের ইচ্ছেয় , আবার কাউকে বা ছু

প্রবাহমান জীবন ও কিছু কথা!

Image
সময় প্রবাহমান। নিজের গতিতে চলতেই থাকে। মানুষ ও সেই সময়ের সাথে ভেসে যায় এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে। পিছনে ফেলে যায় কিছু সুখ, দুঃখ বিজরিত মুহুর্ত। প্রতিদিন আমাদের এই বেঁচে থাকার লড়াই প্রকৃতির সাথে, সমাজের সাথে, পাওয়া না পাওয়া আর মিথ্যা ও সমঝোতার সাথে। যে মানুষ এই বহুরুপী লড়াই এর কাছে পরাজয় মেনে নেয়, সেই হেরে যায়! হেরে যায় জীবনের কাছে, হেরে যায় নিজের কাছে! জীবনের বাস্তবতা বড় কঠিন। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী চলেনা। একেক সময়, একেক দিকে এঁকে বেঁকে চলে। নদীর স্রোত কে যেমন নিয়ন্ত্রন করা যায়না,প্রবাহমান জীবনের গতিকেও তেমনি নিয়ন্ত্রন করা যায়না। নিজেকে সেই গতিতে মানিয়ে নেয়ার নামই বেঁচে থাকা। আমরা অনেক সময়, নিজের জন্যই কেবল বেঁচে থাকি। কিছুটা স্বার্থপর এর মত। আমি কি চেয়েছি , আমি কি পেয়েছি… সেটাই যেন মুখ্য বিষয়। ভাল চাকরি হয়নি, হতাশায় ডুবে গেলাম। ভালবাসায় সফলতা আসেনি, গাজা ,ইয়াবা খাওয়া শুরু করলাম। জীবনের গতির সাথে তাল মিলিয়ে সামনে এগুতে পারলাম না, আত্যহত্ত্যা করে ফেললাম । আমরা কি কখনো ভাবি, এই দেহ, এই সৌন্দর্য , এই জীবন কার দেওয়া ? যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তার প

নারী মানুষ নাকি পণ্য ? কে দায়ী সমাজ নাকি আমি , তুমি , সে !!

Image
অলি গলি থেকে বড় রাস্তার মোড় , সব খানেই র্পালার খুলে বসা হয়েছে । বাজারে পাওয়া যাচ্ছে , নানান রঙের কসমেটিকস । এখন যদি প্রশ্ন করা হয় এই গুলো কারা ব্যবহার করে , কিংবা এই সব কাদের জন্য । মোফাস্সলের সেই ছোট বাচ্চাটাও বলে দিতে পারবে , যে এই সব নারীদের জন্য । তারাই এই সব ব্যবহার করছে । প্রশ্ন এইটা না , প্রশ্ন হচ্ছে কেন ব্যবহার করছে ? নিজের সত্যিকারের রূপ ঢাকার জন্য ? নাকি , রূপের তীব্রতা বাড়ানোর জন্য । সে যেটাই হোক , তার উদ্দেশ্য কিংবা লক্ষ একটাই , কেউ আমায় দেখে বলে উঠবে মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দর । এই তো ? মেয়েরা বেশী খেতে পারবে না , কিংবা মোটা হতে পারবে না । কারণ তাহলে তাদের মেদ বেড়ে যাবে , যা দেখতে বাজে দেখায় । তাই তাদের খাওয়াটা মেপে খেতে হবে । আর তারাও নিজেদের স্লিম রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে । আজকাল তো অনেকেই খাবার দেখলেই ভয় পায় । কিন্তু কেন ? সেই একই প্রশ্ন কেউ যাতে তাকে দেখে বলে না উঠে , না মেয়েটা মোটা , একে দিয়ে হবে না ? মেয়ে দেখতে আসলো ছেলের বাড়ি থেকে , পুরো বাড়ি জুড়ে হই হই কান্ড । মেয়েকে সাজাও । মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত তাকে সাজিয়ে দাও । তাকে আজ দেখবে .....। কেউ কেউ তো এমন

হারিয়ে ফেলা দিন গুলো নতুন করে পাওয়ার চেষ্টায়

Image
আজকাল আর কোকিলের ডাক শুনি না । কিংবা শুনার পর ওটা নিয়ে চিন্তার মাঝেও হারিয়ে যাই না । ধান ক্ষেত কিংবা কাশফুল দেখে বসে পড়ি না , বহু দিন হলো ডায়রি লিখা হয় না । এখন কম্পিউটার আর ফেইসবুকের টাইমলাইনে লিখেই সময় কাটাই । কিন্তু বহু দিন পর আর আবার মনে হলো না , যাই করি না কেন , ডায়রি লিখার তৃপ্তি টা পাচ্ছি না কোথাও । ভেবেছিলাম ঈদের পর থেকেই শুরু করবো । কিন্তু সময় হয়ে উঠেনি । কিন্তু আজ মনে হচ্ছে আর দেরি করা যাবেনা । আমি ডায়রি লিখতে ভালোবাসি । ভালোবাসি পকৃতি দেখে তার কথা ভাবতে ভাবতে কয়েক  পাতা লিখতে । আমি কেন ডায়রি লিখি ? আমি ডায়রি লিখি কারণ , ডায়রি লিখলে মন ভালো থাকে । নিজের এমন কিছু কথা থাকে যা কারোর সাথে শেয়ার করা যায় না । আবর ওই গুলো নিজের ভিতর রাখলেও কষ্ট বেড়ে যায় । আমি তাই ডায়রি লিখি , যে কথা গুলো কাউকে বলা যায় না , আমি সেই কথা গুলো ডায়রির সাথে বলি । আমি ডায়রি লিখি কারণ , আমি বিগত দিনে কি করেছি , আর আগামী দিনে কি করবো ওই হিসাব টা রাখার জন্য , তাতে করে প্রতিদিন দেখা যায় , আমি আমার স্বপ্নের পিছে কতোটুকু সময় দিচ্ছি ? আর কতটুকু ভালো কাজ করছি । আমি ডায়রি লিখি কারণ : বলতে পারেন সে আমার

প্রথমত ছাত্র হয়ে যাও

শিখার জন্য বড় কিছুর প্রয়োজন হয় না , অনেক ছোট ছোট বিষয় থেকেও বড় কিছু শিখা যায় । আজ তেমন ই একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো । আমার একটি প্রচলিত অব্যাস ছিল মন খারাপ থাকলেই চলে যেতাম রমনায় । কোন একটা গাছের নিছে বা লেকের পাড়ে বসে কিছুটা সময় কাটাতাম , আবার মনের কিছু পরিবর্তন হলে বাসায় ফিরে আসতাম । প্রতিদিন ই একজন লোককে দেখতাম চুপচাপ বসে কি যেন ভাবেন । কখনোই কিচু জিজ্ঞাস করিনি। আজ মনটা বেশ খারাপ তাই পরিচিত সেই স্থানটায় যাওয়ার জন্য মনটা বেশ উঠেপড়ে লেগেছে । যেই ভাবনা সেই কাজ চলে আসলাম সেই স্থানে । আজও সেই লোকটার সাথে দেখা । ঠিক একই জায়গায় বসে আছে । আমি লোকটার পাছে গিয়ে বসলাম । আমিও ওনার মতই চুপচাপ বসে রইলাম । এবং ওনার দৃষ্টি কোনদিকে সেই বিষয়টা বের করার চেষ্টা করছি । দেখলাম লোকটি সামনের একটি গাছের দিকে তাকিয়ে আছে । কিছুই বের করতে পারলাম না । কি ব্যাপার তুমি আমার দৃষ্টি বের করার চেষ্ট করছো ? ( খুব ছোট করে লোকটি প্রশ্ন করলো ) আমিতো অবাক ! কি ব্যাপার ওনি কি করে বুঝলেন । আমি ছোট করে উত্তর দিলাম হ্যাঁ । তোমার মন খারাপ ? কিছু নিয়ে চিন্তিত ? আপনি কি করে বুঝলেন? তোমার চেহারা দেখে বুঝলাম । তোমার

প্রসংঙ্গ সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য..

পর্ব-০১ জয় তেতুলের জয় , জয় রাতের আধারের জয় । এই দেশে ভাস্কর্য থাকলে সমস্যা , এই দেশে প্রেম করলে সমস্যা , এই দেশে সুধ দেওয়া জায়েজ , এই দেশে ঘুস খাওয়া জায়েজ , এই দেশে ধর্মকে পুজি করে ব্যবসা কিংবা ক্ষমতায় যাওয়া জায়েজ । জয় আমার সোনার বাংলার জয় । হুমায়ন আজাদের কয়েকটি লাইন ... মসজিদ ভাঙে ধার্মিকেরা, মন্দিরও ভাঙে ধার্মিকেরা, তারপরও তারা দাবি করে তারা ধার্মিক, আর যারা ভাঙাভাঙিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক।.......... হুমায়ুন আজাদ সারা দিন , নেশা , আর রাতের আধারে নারী শরীরের উপর ঝাপ দেওয়া , আর মুখে আমি মুসলিম , আমি ধার্মিক বলে চিৎকার করে বেড়ানোর অভ্যসটা আমাদের আজও গেলো না । পর্ব : ০২ গত কাল সারা দিন একটা অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ছিলাম । গেইট থেকে কনফারেন্স রুম পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ৭ বার পুলিশী জিজ্ঞাসার মুখে পড়তে হয়েছে । একটা সময় মনে হলো না , আমি সুপ্রিম কোর্ট নয় , আমি আছি দেশের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতর , নাকি পুরান ঢাকার কারাগারটাকে এই সুপ্রিম কোর্ট প্রঙ্গনে স্থানান্তর করা হয়েছে ? না তেমন কিছুই না । এই খানে রাতের আধরে , তেতুল পক্ষের নির্দেশে , আমাদের সরকার , আমাদের প্রশাসন এ

জ্বি আমি দর্ষক ,ধর্ষক নই !! তবে সবার মতো নয় ।

লিখবো না , কিন্তু তারপরও লিখা হলো । লিখবো না , কারণ যেখানে সেনানিবাস এরিয়াতে ধর্ষণ হয় তার কোন বিচার হয় না । যেখানে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে বাবা-মেয়ে ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করে , সেখানে লিখে লাভ কি ? যেখানে সাগর-রুনি হত্যার বিচার নেই , এখন তো মনে হয় ওরা ও প্রেমে চ্যাকা খেয়ে আত্মহত্যা করেছে । কিন্তু না , তাদের খুন করা হয়েছে । কিছুই হয় নি আর হবেও না , হয়তো । যেখানে ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতালের জন্ম নিলেও , ভুল চিকিৎসা কিংবা চিকিৎসার অভাবে স্বর্ণাদের মতো শিশুর মৃত্যু হয় । যখন নির্মলেন্দু দা তার ক্ষোভ ঢেকে রাখতে না পেরে লিখেন, মা স্বর্ণা-তুই আমাদের ক্ষমা করিস না। সত্যি বলছি তখন আর ইচ্ছে করে না লিখতে । , এই খানে , আরো অনেক কিছু হয় কিন্তু আবার এই খানেই ভালো কিছু ও হয় । লিখছি ওই কারণেই , কারণ , যখন একটা নরপশু ধর্ষণ করলে , হাজারটা মানুষ জেগে উঠে , তাই । লিখছি এই কারণেই , যখন কোন যুবক অফিস শেষ করে রাস্তায় দাড়িয়ে বাবা-মেয়ের হত্যার বিচার চায় ওই কারণে । লিখছি এই কারণে , যখন দেখি অনেকেই পরিবর্তন হতে শুরু করেছে , তখন আশা জাগে । সত্যি কোন রিকশা ওয়ালা ভুল করলে আরেকজন যখন তাকে ভূল ধরিয়ে দেয় , তখ

কুড়িয়ে পাওয়া কথা , আর একটি অজ্ঞাত চিঠি ।।

শোন প্রিয়জন , শূরুটা একটু অন্য রকম হলো তাই না ? আসলে কি অনেক দিন হলো লিখি না তো তাই , ভালো থাকাটা নিজের উপর তো , আশা করি ভালোই আছো । বুকের ব্যাথা টা তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে । দিন দিন কেমন জানি একটা হয়ে যাচ্ছি । একগেয়ে জীবন পার করছি । কাছের মানুষ গুলো দুরে আর দুরের মানুুষ গুলো আরো দুরে হারিয়ে যাচ্ছে । নিজের মধ্যে থেকে নিজেকেও হারিয়ে ফেলছি । মনে হচ্ছে বুকের ভিতর কিছু বাড়তি যন্ত্রংশ পড়ে আছে , রিকশা কিংবা বাসে উঠলে , ঝাকুনির সাথে সাথে ভিতরটা কেমন যেন নড়ে উঠে । আজ কাল অল্পতেই ভয় পাই । কোথায় যেন সাহসেরা মুখ লুকিয়েছে । রুতে ঘুমাইনা , যদি না আর উঠতে পারি , যদি না সুন্দর সকালটা দেখতে পাই । দিন দিন অদ্ভদ এক যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি । কোন কাজ নেই , কোন চিন্তা নেই । না এইটা মিথ্যা বলা হবে , চিন্তা আছে , অনেক চিন্তা । এই সুন্দর পৃথিবীটা ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা হয় , চিন্তা হয় টং দোকানের চায়ের কাপের সেই আড্ডা গুলোর কথা মনে পড়তেই । কি করবো , এখন আর তো আড্ডা হয় না । সবাই নিজেদেরে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে । বিশ্বাস করো আমি কোন দিন ও চাই নি , সম্পর্কটা এমন রূপ নিক । তারপরও হয়ে গেছে , হয়তো আমার ভুল ছিলো , না হয়

একজন সত্যজিৎ রায় , এবং তার জন্মদিন

Image
বেচে থাকলে বয়স হতো ৯৬ , খুব একটা বেশি কি ? অনেকেই তো আছেন , এই বয়সের , কাজ করছেন , দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন । কিন্তু নেই সেই মানুষটি , যার হাত ধরে পরিবর্তনের ছোয়া লেগেছিলো , বাংলা চলচ্চিত্রের । বলছি একজন সত্যিজিৎ রায়ের কথা , যিনি একাদ্বারে পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, মিউজিক কম্পোজার, ক্যালিগ্রাফার, অংকনশিল্পী ও লেখক ছিলেন। সেই দিনটির কথা খুব মনে পড়ে , গ্রামের বাড়ি , বিদ্যুৎ তো দুরের কথা , খুটি ও আসে নাই , তবে বাড়িতে এক খানা সাদা কালো টিভি ছিলো সেদিন, সাপ্তাহিক ছবি , খুব একটা দেখা হতো না , মাষ্টার মশাইয়ের বেতের বাড়ির ভয় কাজ করতো , কিন্তু সুযোগ পেলে কে না , লুকিয়ে চার কোনার বাক্সটার ভিতর বন্ধী মানুষ গুলোর হাসি কান্না না দেখে থাকে । ‘গুপীগায়েন বাঘা বায়েন’ চলছে , কে পরিচালক , কিসের পরিচালক , কে কি ? এইসব নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নাই , দেখছি , হাসতেছি , ওই সময়ের ভালো লেগে যায় , গানটি , আর কোন ফাকে যে নিজেকে হারিয়ে পেলেছি গানটির মাঝে , এখনো মাঝে মাঝে .. গেয়ে উঠি .. "মহারাজা তোমারে সেলাম...সেলাম...সেলাম/ মোরা বাঙলা দেশের থেকে এলাম... " তারপর থেকে এক এক করে "পথ

হতাশা ঝেড়ে নিজেকে গুছিয়ে নিন । নিজের কাছে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলুন দেখবেন অন্যরাও আপনাকে গুরুত্ব দিতে শুরু করছে ।

Image
কিছু কাজ মনে মতো হবে না এইটা স্বাভাবিক , কিন্তু সব কাজ মনের বিরুদ্ধে যাবে এইটা অস্বাভাবিক । স্বাভাবিক অস্বাভাবিক নিয়ে আমাদের এই জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যেত হবে । হাটতে হবে কাটা পড়ে থাকা রাস্তার উপর দিয়ে । ঠিক একই ভাবে রাস্তায় কাটা পড়ে থাকাটা স্বাভাবিক , কিন্তু আপনি ইচ্ছে করে রাস্তায় কাটা পেলবেন সেটা অস্বাভাবিক । কাজ যখন মনের মতো হয় না , তখন আপনার মধ্যে একটা মানসিক চাপ পড়া স্বাভাবিক । সেটা আপনার নয় অন্যেদের ক্ষেত্রেও হয়েছে । কিন্তু সেই চাপের নিছে নিজেকে পেতে দেওয়াটা অস্বাভাবিক । ভু ল করাটা দোষের কিছু না কিন্তু সেই ভুল বুঝতে পেরেও সেই ভুল পথে এগিয়ে যাওয়া অবশ্যই দোষের। অতীতের হতাশা আঁকড়ে ধরে বসে থেকে বর্তমান সময়টা নষ্ট করা অবশ্যই দোষের। জীবনে কতোটুকু পাবো, সামনের দিনগুলোতে কি হবে তার অনেকাংশই নির্ভর করে নিজের উপর। নিজেকে নিজে না বদলালে কেউ বদলে দিবে না। হতাশায় ডুবে থাকলে সাফল্য কোনদিন ধরা দিবে না, ভুল মানুষের সাথে চললে ভালো চিন্তা কখনো মাথায় আসবে না। আজকে এখন থেকে নিজের ভুলগুলো না শুধরালে হয়তোবা আর কখনো সেই সুযোগ পাওয়া যাবে না। তাই যা করার আজকে থেকেই, এখন থেকেই শুরু করুন । শুর

পানাম নগর, আমার এবেলা ওবেলা

Image
শরীর অসুস্থ থাকলে ডাক্তার কিংবা হাসপাতাল । আর মন অসুস্থ থাকলে ? এমন প্রশ্নে খুব সহজ ভাবে আমি বলি , বন , জংঙ্গল , পাহাড় , নদী কিংবা পুরানো কোন বাড়ি, মানে প্রাচীন নগরী । কম বেশী আমাদের সবারই মন খারাপ হয় । চলুন ঘুরে আসি শহরের পাশেই পানাম নগর থেকে । ব্যস্ততম শহর থেকে বেরিয়ে একটু কাটিয়ে আসি কিছু সময় । চাইলে চলে যেতে পারেন , খরচ খুব বেশী না । কিন্তু ঘুরে আসতে পারেন , পানাম নগর থেকে । কিছু সময়ের জন্য হলেও নিজেকে জমিদার ভাবতে পারেন চাইলে ( যেটা আমি করি ) । প্রাচীন নগরী সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর পানাম নগর৷ ১৫ শতকে ঈসা খাঁ বাংলার প্রথম রাজধানী স্থাপন করেছিলেন এই সোনারগাঁওয়ে৷ কয়েক শতাব্দী পুরনো অনেক ভবন সমৃদ্ধ এই পানাম নগর এখন ধ্বংসের প্রহর গুনছে৷ যা আছে পানাম নগরে প্রায় ৫ মিটার চওড়া এবং ৬০০ মিটার দীর্ঘ একটি সড়কের দু’পাশে সুরম্য কিছু স্থাপনা নিয়ে পানাম নগর গড়ে ওঠে৷ সড়কের উত্তর পাশে ২১টি এবং দক্ষিণ পাশে ৩১টি, মোট ৫২টি বাড়ি এই নগরের অন্যতম আকর্ষণ৷ টাকা , সময় , সুযোগ সব মিলিয়ে শেষ কয়েক মাস ঘুরা বলতে প্রয়োজন আর বাসার পাশের ট

নারী কথন ।। এবং আমার ভাবনা গুলো

Image
নারী লাস্যময়ী , নারী হাস্যময়ী , নারী রহস্যময়ী ।  নারী   মা , স্ত্রী , কন্যা , বোন , বান্ধবী । নারী নিয়ে সৃষ্টির প্রথম থেকেই সবাই লিখে আসছে । সৃষ্টি হয়েছে গল্প , কবিতা গান । কারণ নারীতে ষোল কলা পূর্ণ । যদি ও এই বিষয়ে আমার জ্ঞানের অভাব অনেক । যাই হোক লেখার বিষয় বস্তু যেহেতু ষোল কলা নিয়ে নয় তাহলে ওই দিকে নাই বা বাড়াই ।  মাঝে মাঝে অনলাইনে কিছু লেখা দেখে চোখ থমকে দাড়ায় । যেখানে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে করা হয়েছে । ওখানে সেই আমরা মানুষরাই নিজেদের কে বাঘ , সিংহ , বিড়াল শিয়ালের সাথে তুলনা করছি । সারা জীবন শুনেছি ছোটদের বড় হওয়ার খায়েস থাকে কিন্তু বড়দের যে ছোট হওয়ার খায়েস থাকে তা আমাদের না দেখলে বুজার উপর নেই  ।  নারী মা, নারী বোন , নারী সেবিকা, নারী বন্ধু , নারী অনুপ্রেরণা , নারী সহযোদ্ধা । এই বিষয়গুলো মনে হয় আমরা ভুলেই গেছি । নারী এখন কেবলই পণ্য । ঘরে বাহিরে , সব খানেই । নারী একটা মাংস পিন্ড । চারদিকে ধর্ষনের মাত্রা বেড়ে চলেছ । সবাই কাচা মাংসের জন্ম মরিয়া হয়ে উঠেছে । বাসে উঠলেও ভয় পাই , যখন কোন নারী পাশের ছিটে বসে । এই বুঝি আড় চোখে তাকিয়ে বললো , আমি ধর্ষক । মনে খুব ভয় কাজ করে ।

আপনি যখন উদ্যোক্তা - উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন পূরণ

Image
আমরা সবাই উদ্যোক্তা, যে উদ্দ্যেগ নেয় তাকেই উদ্যোক্তা বলা হয় । কিন্তু আমরা তো সবাই খাই , তার পরও আমরা কিছু ব্যক্তিকে খাদক বলে ডাকি , তাকেই ডাকি যে কিনা একটু বেশী খায় । তাকে ভিন্ন ভাবে চেনার জন্যেই তাকে এই নামে ডাকা , ঠিক তেমনই সবাই উদ্দ্যেগ নেয় , কিন্তু বিশেষ কিছু ব্যাক্তি একটু আলাদা ভাবে উদ্দ্যেগ নেয় , আর আমরা তাদের কে চিহ্নিত করার জন্য উদ্যোক্তা বলি । ( সম্পূর্ণ নিজের যুক্তি কিছু ভুল থাকতে পারে , তার জন্য ক্ষমা পার্থী ) সমস্যা সবার জীবনেই থাকে , বা আসে । কিন্তু আপনি যখন উদ্যোক্তা তখন সেই সমস্যাটা একটু বেশী আকারেই আসবে । কারণ আপনি আর অন্য আট/দশজনের মতো করে সাধারণ উদ্দ্যেগ নেন নাই ,তাই । আপনি অন্যদের মতো করে ভাবেন না তাই । সমস্যা গুলো মাঝে মাঝে এক সাথে আসবে , কখন ও কখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে আসবে । আর সমস্যা সব সময় দল বদ্ধ ভাবে চলতে পচন্দ করে । তাই তারা যার উপর ভর করে একসাথে সব দিক থেকে করে । আর সেটাকে জয় করতে পারলেই আপনি হবে সফল , আর না হয় , ওই কাজ থেকে আপনাকে পিচ পা হতে হবে । ব্যর্থ হবে বলছি না । কারণ আমি এই বাক্যটার সাথে সব সময় দ্বিমত পোষণ করে আসছি , কারণ কোন কাজেই কেউ ব্যর্থ হয়না

সুখ সন্ধানী মন আমার - যখন সবাই সুখ খোজে , সুখ তখন আমায় ঘেসে ।।

Image
সুখ দুই অক্ষরের মিলনে একটি শব্দ... উচু নিচু , ধনী-গরিব, সকলেই এর সন্ধান করছে, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত , জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এর সন্ধানেই আমাদের সময় কেটে যায়.. কেউ জীবনের শেষ সময় টা গিয়ে কন্ঠে এক রকম হতাশার চাপ নিয়ে সন্তানদের উদ্দেশ্যে বলেন পারলাম তোদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না, সুখ আমাদের কপালে নেই । আবার কেউ বলে আরো কিছু পেলে ভালো হতো , অদ্ভুদ আমরা অদ্ভুদ আমাদের ভাবনা গুলো...... গরিব বাবা দিন , সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কিন্তু তার এই কষ্টগুলো কারো সাথে শেয়ার করেনা, নিজের টা নিজের মতো করে ব্যবস্থা করে নেয় , তাকে দেখে আমরা বলি সে খুব সুখে আছে .. হাজারটা কষ্ট বুকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো লোকটাকে দেখলেই যখন জিজ্ঞাস করি কেমন আছেন ? প্রতি উত্তরে যখন বলে জ্বি ভাই ভালো আছি , তখন আমরা ভাবি সে খুব সুখে আছে... **সুখ নেই কোথায় ? পড়ে গিয়ে ছোট ছেলেটি কাদতে কাদতে মায়ের কোলে এসে আশ্রয় নেয় , সেখানে কি সুখ নেই ? বন্ধুর সাথে ঝগড়ার পর কথা বন্ধ করে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর আবার যখন সব ভুলে কথা বলা আরম্ব করে সেখানে কি সুখ নেই ..? সুখ সব খানেই আছে.. আমরা সবাই সুখী, মুল ক

Exclusivebd.com একটি নাম কিংবা একটি ব্যবসা নয়, একটি স্বপ্ন ।

Image
Exclusivebd.com একটি নাম , একটি ব্যবসা নয় একটি স্বপ্নের নাম , একটি চ্যালেন্জের নাম । গত কয়েকদিন আগে একটি পোষ্ট করেছিলাম যে Exclusivebd.com ডোমেইনটা বিক্রয় করে দিবো । আর তারপর পরই অনেকেই ইনবক্স করেছেন , কয়েকজন কমেন্টস করেছেন । কেন বিক্রয় করে দিবো .? আশা করি সবাই পোষ্টটি ভালো ভাবে পড়েছেন । নিচে অবশ্যই লিখা ছিলো শর্ত প্রযেজ্য । চলুন Exclusivebd.com কেন একটি নাম কিংবা ব্যবসা নয় তারপর জেনে নিবো আমি কি করতে চাচ্ছি । Exclusivebd.com : ডোমেইন টি ২০১৫ এর প্রথম দিকে কেনা হয় । প্রথম দিকে ভালো ভাবেই ব্যবসাটা চলছিলো , হঠাৎ একটু ঝড় হলো , কিছু উলোট পালট হলো , নিজেকে গুছিয়ে নিতে একটু সময় লাগলো এই যা । একটা প্রতিষ্ঠান থাকবে এই স্বপ্ন থেকেই এই ব্যবসার সাথে নিজেকে জড়িয়ে নেওয়া । সেই সাথে অনেক দিন ইন্টারনেট নাড়াছাড়া করার ফলে এর প্রতি একটা আসক্তি চলে আছে । প্রতিষ্ঠারনটির বর্তমান অবস্থা , ই-ক্যাব মেম্বার , বিকাশ সহ দেশের কয়েকটি ব্যাংকের সাথে পেমেন্ট সিস্টেম করা আছে । আছে খুব অল্প লাকেই একটি ফেইসবুক পেইজ , টুইটার সহ বেশ কয়েকটি সোস্যাল মিডিয়ার পেইজ । যদিও ওয়েবসাইটি একটু সমস্যার মধ্যে আছে , ওটা ব্

ওরা উদ্যোক্তা নাকি ভিক্ষুক - ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের গল্প

Image
উদ্যোক্তা আমি নই , কখনো হতে ও চাই নি । তবে ডিজিটাল যুগের উদ্যোক্তাদের দেখে মনে হয় , আমি সেই অনেক কাল আগেই উদ্যোক্তা সনদ প্রাপ্তের যোগ্য ছিলাম । উদ্দ্যোক্ত বলতে আমি যা বুঝি । তীব্র মরুর বুকে দাড়িয়ে , সবুজ স্বপ্ন দেখা , কিংবা এক ফোটা জলেও নতুন মাহাসাগর গড়ে তোলার মতো কাজ । আমি যখন আম খেয়ে আটি ফেলে দেই , অপ্রয়োজনীয় ভেবে , নিজ শহরটাকে অপরিষ্কার করে থাকি যেখানে সেখানে আটি ফেলে , উদ্যোক্তা সেই আটি থেকেই নতুন স্বপ্ন বুনে । দেখে নতুন আগামীর । উদ্যোক্তা তৈরি করা যায় না । ওরা নিজ থেকেই তৈরি হয় । কিন্তু আজ কাল দেখা মিলে উদ্যোক্তা তৈরির কারখানা । বিষয়টা হলো সেদিন বাসে করে বাসায় ফিরার পথে হঠাৎ চোখে পড়লো , এক অভাবনীয় পোষ্টার , যেথায় লিখা আছে মাত্র ২৪ ঘন্টায় ছোট বড় যে কোন বয়সের মানুষকে ইংরেজিতে কথা বলতে শিখানো হয় । তাড়াহুড়োর কারণে নাম্বারটা নেওয়া হয় নি । কিন্তু নিবো , বাসের নাম মনে আছে । পরবর্তী সময় উঠলে , ঠিক মনে করে নিয়ে নিবো । যাই হোক , যা বলছি । হ্যাঁ যারা উদ্দ্যেগ নেয় তারাই উদ্যোক্তা । তবে এতে আমার আবার গোর আপত্তি আছে । তাহলে যারা খায় তাদের সবাইকেই খাদক বলা হয় না কেন ? সবাই উদ্দ্যেগ ন