Posts

Showing posts from May, 2017

প্রসংঙ্গ সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য..

পর্ব-০১ জয় তেতুলের জয় , জয় রাতের আধারের জয় । এই দেশে ভাস্কর্য থাকলে সমস্যা , এই দেশে প্রেম করলে সমস্যা , এই দেশে সুধ দেওয়া জায়েজ , এই দেশে ঘুস খাওয়া জায়েজ , এই দেশে ধর্মকে পুজি করে ব্যবসা কিংবা ক্ষমতায় যাওয়া জায়েজ । জয় আমার সোনার বাংলার জয় । হুমায়ন আজাদের কয়েকটি লাইন ... মসজিদ ভাঙে ধার্মিকেরা, মন্দিরও ভাঙে ধার্মিকেরা, তারপরও তারা দাবি করে তারা ধার্মিক, আর যারা ভাঙাভাঙিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক।.......... হুমায়ুন আজাদ সারা দিন , নেশা , আর রাতের আধারে নারী শরীরের উপর ঝাপ দেওয়া , আর মুখে আমি মুসলিম , আমি ধার্মিক বলে চিৎকার করে বেড়ানোর অভ্যসটা আমাদের আজও গেলো না । পর্ব : ০২ গত কাল সারা দিন একটা অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ছিলাম । গেইট থেকে কনফারেন্স রুম পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ৭ বার পুলিশী জিজ্ঞাসার মুখে পড়তে হয়েছে । একটা সময় মনে হলো না , আমি সুপ্রিম কোর্ট নয় , আমি আছি দেশের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতর , নাকি পুরান ঢাকার কারাগারটাকে এই সুপ্রিম কোর্ট প্রঙ্গনে স্থানান্তর করা হয়েছে ? না তেমন কিছুই না । এই খানে রাতের আধরে , তেতুল পক্ষের নির্দেশে , আমাদের সরকার , আমাদের প্রশাসন এ

জ্বি আমি দর্ষক ,ধর্ষক নই !! তবে সবার মতো নয় ।

লিখবো না , কিন্তু তারপরও লিখা হলো । লিখবো না , কারণ যেখানে সেনানিবাস এরিয়াতে ধর্ষণ হয় তার কোন বিচার হয় না । যেখানে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে বাবা-মেয়ে ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করে , সেখানে লিখে লাভ কি ? যেখানে সাগর-রুনি হত্যার বিচার নেই , এখন তো মনে হয় ওরা ও প্রেমে চ্যাকা খেয়ে আত্মহত্যা করেছে । কিন্তু না , তাদের খুন করা হয়েছে । কিছুই হয় নি আর হবেও না , হয়তো । যেখানে ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতালের জন্ম নিলেও , ভুল চিকিৎসা কিংবা চিকিৎসার অভাবে স্বর্ণাদের মতো শিশুর মৃত্যু হয় । যখন নির্মলেন্দু দা তার ক্ষোভ ঢেকে রাখতে না পেরে লিখেন, মা স্বর্ণা-তুই আমাদের ক্ষমা করিস না। সত্যি বলছি তখন আর ইচ্ছে করে না লিখতে । , এই খানে , আরো অনেক কিছু হয় কিন্তু আবার এই খানেই ভালো কিছু ও হয় । লিখছি ওই কারণেই , কারণ , যখন একটা নরপশু ধর্ষণ করলে , হাজারটা মানুষ জেগে উঠে , তাই । লিখছি এই কারণেই , যখন কোন যুবক অফিস শেষ করে রাস্তায় দাড়িয়ে বাবা-মেয়ের হত্যার বিচার চায় ওই কারণে । লিখছি এই কারণে , যখন দেখি অনেকেই পরিবর্তন হতে শুরু করেছে , তখন আশা জাগে । সত্যি কোন রিকশা ওয়ালা ভুল করলে আরেকজন যখন তাকে ভূল ধরিয়ে দেয় , তখ

কুড়িয়ে পাওয়া কথা , আর একটি অজ্ঞাত চিঠি ।।

শোন প্রিয়জন , শূরুটা একটু অন্য রকম হলো তাই না ? আসলে কি অনেক দিন হলো লিখি না তো তাই , ভালো থাকাটা নিজের উপর তো , আশা করি ভালোই আছো । বুকের ব্যাথা টা তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে । দিন দিন কেমন জানি একটা হয়ে যাচ্ছি । একগেয়ে জীবন পার করছি । কাছের মানুষ গুলো দুরে আর দুরের মানুুষ গুলো আরো দুরে হারিয়ে যাচ্ছে । নিজের মধ্যে থেকে নিজেকেও হারিয়ে ফেলছি । মনে হচ্ছে বুকের ভিতর কিছু বাড়তি যন্ত্রংশ পড়ে আছে , রিকশা কিংবা বাসে উঠলে , ঝাকুনির সাথে সাথে ভিতরটা কেমন যেন নড়ে উঠে । আজ কাল অল্পতেই ভয় পাই । কোথায় যেন সাহসেরা মুখ লুকিয়েছে । রুতে ঘুমাইনা , যদি না আর উঠতে পারি , যদি না সুন্দর সকালটা দেখতে পাই । দিন দিন অদ্ভদ এক যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি । কোন কাজ নেই , কোন চিন্তা নেই । না এইটা মিথ্যা বলা হবে , চিন্তা আছে , অনেক চিন্তা । এই সুন্দর পৃথিবীটা ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা হয় , চিন্তা হয় টং দোকানের চায়ের কাপের সেই আড্ডা গুলোর কথা মনে পড়তেই । কি করবো , এখন আর তো আড্ডা হয় না । সবাই নিজেদেরে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে । বিশ্বাস করো আমি কোন দিন ও চাই নি , সম্পর্কটা এমন রূপ নিক । তারপরও হয়ে গেছে , হয়তো আমার ভুল ছিলো , না হয়

একজন সত্যজিৎ রায় , এবং তার জন্মদিন

Image
বেচে থাকলে বয়স হতো ৯৬ , খুব একটা বেশি কি ? অনেকেই তো আছেন , এই বয়সের , কাজ করছেন , দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন । কিন্তু নেই সেই মানুষটি , যার হাত ধরে পরিবর্তনের ছোয়া লেগেছিলো , বাংলা চলচ্চিত্রের । বলছি একজন সত্যিজিৎ রায়ের কথা , যিনি একাদ্বারে পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, মিউজিক কম্পোজার, ক্যালিগ্রাফার, অংকনশিল্পী ও লেখক ছিলেন। সেই দিনটির কথা খুব মনে পড়ে , গ্রামের বাড়ি , বিদ্যুৎ তো দুরের কথা , খুটি ও আসে নাই , তবে বাড়িতে এক খানা সাদা কালো টিভি ছিলো সেদিন, সাপ্তাহিক ছবি , খুব একটা দেখা হতো না , মাষ্টার মশাইয়ের বেতের বাড়ির ভয় কাজ করতো , কিন্তু সুযোগ পেলে কে না , লুকিয়ে চার কোনার বাক্সটার ভিতর বন্ধী মানুষ গুলোর হাসি কান্না না দেখে থাকে । ‘গুপীগায়েন বাঘা বায়েন’ চলছে , কে পরিচালক , কিসের পরিচালক , কে কি ? এইসব নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নাই , দেখছি , হাসতেছি , ওই সময়ের ভালো লেগে যায় , গানটি , আর কোন ফাকে যে নিজেকে হারিয়ে পেলেছি গানটির মাঝে , এখনো মাঝে মাঝে .. গেয়ে উঠি .. "মহারাজা তোমারে সেলাম...সেলাম...সেলাম/ মোরা বাঙলা দেশের থেকে এলাম... " তারপর থেকে এক এক করে "পথ

ভালো গল্প মানেই কি ভালো চলচিত্র ?

Image
গল্প ভালো ছবি ভালো , এই কথাটি প্রায় আমাদের মুখে মুখে ছড়িয়ে গেছে । আসলে এর সত্যতা কতটুকু ? কতটুকু রয়েছে এর বাস্তবতা ? আমাদের দেশের নির্মাতাদের যদি প্রশ্ন করা হয় , আগের মতো কেন দর্শক হলে গিয়ে ছবি দেখেনা , কিংবা জহির রায়হান , সত্যজিৎ এর মতো কেন আমাদের বর্তমান কোন সুভি হিট করে না ? তখন তারা এক কথায় বলে দেয় , ভালো গল্পের অভাব । সত্যিই কি তাই ? ভালো গল্প মানেই ভালো ছবি ? তাহলে হুমায়ন আহম্মেদ এর কৃষ্ঞপক্ষ হিট করে নি কেন ? বলতে পারেন ? বই হিবে তো পাঠক সমাজে বিশাল জনপ্রিয়তা পেয়েছে , তাহলে ছবি হিসেবে ফেলো না কেন ? এই জীবনে অনেক বই পড়েছি যেগুলো প্রায় সব ক্ষেত্রেই বইটি ভালো লেগেছে; মুভি ভালো লাগেনি। এমনও হয়েছে যে, মুভি দেখে ভীষণ হতাশ এবং কষ্টও পেয়েছি। ৯০% ক্ষেত্রেই এটাই সত্যি বলে প্রমানিত হয়েছে যে, মুভি’র চেয়ে বই উত্তম। তবে কি উপন্যাস কিংবা কোন গল্পের অবলম্বনে মুভি করা ঠিক নয় ? তবে হ্যাঁ তার মধ্যে কিছু পেয়েছি যা বই পড়ে মনে বিশাল নাড়া দিয়েছে আবার মভি দেখেও তার মধ্যে একটি হলো এই বই টি ? আর যতদুর মনে পরে মুভি’তে মেয়েটার নাম উচ্চারণ করা হয় “মাটিলডা” যদিও এখানে বইয়ের মলাটে দেখতে পাচ্ছি “মাতি