Posts

Showing posts from 2017

'দ্য বুক থিফ' বস্তুত কিসের গল্প নিয়ে তৈরি

Image
'দ্য বুক থিফ' শুরু হয় লং শটে ! মেঘের দৃশ্য দিয়ে যেন বিরাট এক পটভূমিকে খুব সরল উপস্থাপনের মধ্যে দিয়ে চলচ্চিত্রকার বুঝাতে চান জার্মান সাধারণের বিশ্বযুদ্ধকালীন জীবন। স্টিম ইঞ্জিনের রেল একটি পরিবারকে নিয়ে যায় কোথাই যেন ! ১২ বছরের লিসেলকে দেখি আর দেখি তার ভাইয়ের মৃত্যু। লিসার মা জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির সভ্য এবং স্বভাবতই হিটলারের ধ্বংসযজ্ঞের শিকার ! লিসেল মিমিঞ্জারের আশ্রয় হয় রোজা হুবারম্যান এবং হান্স হুবারম্যানের ঘরে ! এই নি:সন্তান দম্পতী লিসেলকে দত্তক নেয়। রোজা এবং হান্স চরিত্রের মাধ্যমে দেখি শিশুসুলভ সরলতা। একরডিয়নের সুরে হান্স হুবারম্যান যুদ্ধকে ভুলিয়ে দিতে চান। জার্মান অঞ্চল বাভারিয়া এবং একটি অনিন্দ সুন্দর চলচ্চিত্রের শুরু। শুরুর একটি সিকোয়েন্স যুদ্ধকালীন জার্মান অর্থনীতির প্রেক্ষাপট বুঝতে সহায়ক হয় যখন আমরা দেখি হুবারম্যান দম্পতী লিসেল মিমিঞ্জারকে একা দেখে ক্ষুব্ধ হন যেহেতু তাদের দত্তক নেওয়ার কথা ছিলো দুইজনকে (লিসেল এবং তার ভাই)। কিন্তু আসার পথে প্রচন্ড শীতে লিসেলের ভাই মারা যায় এবং এর ফলে বড় সরকারি ভাতা পাওয়া থেকে হুবারম্যান দম্পতী বঞ্চিত হন

গর্জন, বর্জন , বর্ষণ : অতঃপর ডুবে ডুব দেওয়া । একজন ফারুকীর সাথে আমার ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট

Image
টাইটেল কথন : প্রতিটা বিষয় লিখার আগেই আমার টাইটেল ঠিক করতে হয় না হলে লেখা এই দিক ওই দিক ঘুরতে ঘুরতে বিশাল আকাশের তরে হারিয়ে যায় । এখন আপনার প্রশ্ন জাগতে পারে এমন টাইটেল কেন ? বিষয়টা আমিও অনেক চিন্তা করেছি কেন দিলাম : ওহ মনে পড়েছে , শেষ দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তার মধ্যে ঢাকা অ্যাটাক এর থেকেও ডুব নিয়ে আলাচনা সামালোচনা, পর্যালোচনা কোনটার ই কমতি ছিলো না, হয়তো তার প্রেক্ষিতেই আমার এই টাইটেল দেওয়া , আর প্রতিটি সিনেমাই পরিচালকের কাছে সন্তান । আপনার বেড রুমে একটা বই রাখলেন মানে ওই পরিচালক আপনার রুমে আছে , ঠিক একই ভাবে  , যে সিনেমাটি আমি দেখছি , আমার কাছে মনে হয় আমি সেই সিনেমার পরিচালকেই সময় দিচ্ছি । সেটা আমার জন্য হোক আর যেই কারণেই হোক । আর বিস্তারিত গেলাম না , প্রতিটি কথাই নিজের ব্যক্তিগত , পচন্দ না হলে এড়িয়ে চলে যান । আজাইরা আলাপ :  প্রতিটা রিভিউ বলি আর যাই বলি নিজের আলাপ না করতে পারলে কেমন জানি খুত খুত মনে হয় । আসলে সব কিছুর উপর তো নিজের ব্যান্ডিং তাই নয় কি ? প্রতি বারের মতো এইবার ও বলে রাখি আমি কিন্তু ভাই ক্রিটিক্স না । একজন সাধারণ দর্শক । একজন পরিচালক যখন কোন সিনেমা বা ভিডিও শট নেন তখ

প্রবাহমান জীবন ও কিছু কথা!

Image
সময় প্রবাহমান। নিজের গতিতে চলতেই থাকে। মানুষ ও সেই সময়ের সাথে ভেসে যায় এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে। পিছনে ফেলে যায় কিছু সুখ, দুঃখ বিজরিত মুহুর্ত। প্রতিদিন আমাদের এই বেঁচে থাকার লড়াই প্রকৃতির সাথে, সমাজের সাথে, পাওয়া না পাওয়া আর মিথ্যা ও সমঝোতার সাথে। যে মানুষ এই বহুরুপী লড়াই এর কাছে পরাজয় মেনে নেয়, সেই হেরে যায়! হেরে যায় জীবনের কাছে, হেরে যায় নিজের কাছে! জীবনের বাস্তবতা বড় কঠিন। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী চলেনা। একেক সময়, একেক দিকে এঁকে বেঁকে চলে। নদীর স্রোত কে যেমন নিয়ন্ত্রন করা যায়না,প্রবাহমান জীবনের গতিকেও তেমনি নিয়ন্ত্রন করা যায়না। নিজেকে সেই গতিতে মানিয়ে নেয়ার নামই বেঁচে থাকা। আমরা অনেক সময়, নিজের জন্যই কেবল বেঁচে থাকি। কিছুটা স্বার্থপর এর মত। আমি কি চেয়েছি , আমি কি পেয়েছি… সেটাই যেন মুখ্য বিষয়। ভাল চাকরি হয়নি, হতাশায় ডুবে গেলাম। ভালবাসায় সফলতা আসেনি, গাজা ,ইয়াবা খাওয়া শুরু করলাম। জীবনের গতির সাথে তাল মিলিয়ে সামনে এগুতে পারলাম না, আত্যহত্ত্যা করে ফেললাম । আমরা কি কখনো ভাবি, এই দেহ, এই সৌন্দর্য , এই জীবন কার দেওয়া ? যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তার প

নারী মানুষ নাকি পণ্য ? কে দায়ী সমাজ নাকি আমি , তুমি , সে !!

Image
অলি গলি থেকে বড় রাস্তার মোড় , সব খানেই র্পালার খুলে বসা হয়েছে । বাজারে পাওয়া যাচ্ছে , নানান রঙের কসমেটিকস । এখন যদি প্রশ্ন করা হয় এই গুলো কারা ব্যবহার করে , কিংবা এই সব কাদের জন্য । মোফাস্সলের সেই ছোট বাচ্চাটাও বলে দিতে পারবে , যে এই সব নারীদের জন্য । তারাই এই সব ব্যবহার করছে । প্রশ্ন এইটা না , প্রশ্ন হচ্ছে কেন ব্যবহার করছে ? নিজের সত্যিকারের রূপ ঢাকার জন্য ? নাকি , রূপের তীব্রতা বাড়ানোর জন্য । সে যেটাই হোক , তার উদ্দেশ্য কিংবা লক্ষ একটাই , কেউ আমায় দেখে বলে উঠবে মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দর । এই তো ? মেয়েরা বেশী খেতে পারবে না , কিংবা মোটা হতে পারবে না । কারণ তাহলে তাদের মেদ বেড়ে যাবে , যা দেখতে বাজে দেখায় । তাই তাদের খাওয়াটা মেপে খেতে হবে । আর তারাও নিজেদের স্লিম রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে । আজকাল তো অনেকেই খাবার দেখলেই ভয় পায় । কিন্তু কেন ? সেই একই প্রশ্ন কেউ যাতে তাকে দেখে বলে না উঠে , না মেয়েটা মোটা , একে দিয়ে হবে না ? মেয়ে দেখতে আসলো ছেলের বাড়ি থেকে , পুরো বাড়ি জুড়ে হই হই কান্ড । মেয়েকে সাজাও । মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত তাকে সাজিয়ে দাও । তাকে আজ দেখবে .....। কেউ কেউ তো এমন

"ফরেস্ট গাম্প " একটি অনুপ্রেরণার গল্প, একটি মৃত প্রাণকে তাজা করার সিনেমা

Image
হোক কাজ , হোক ভালো লাগা কিংবা স্বপ্নের পথ চলা থেকে , সে যাই হোক সিনেমা দেখা এবং সেটা নিয়ে অন্যের সাথে শেয়ার করতে (ভালো কিংবা মন্ধ সে যাই হোক) আমার ভালোই লাগে । পচন্দের তালিকায় প্রথম জীবন থেকেই , অনুপ্রেরণার গল্প , অনুপ্রেরণা পাবো এমন সিনেমেই  শীর্ষে । সেই সুবাদে "ফরেস্ট গাম্প " দেখা । না এখনই প্রথম না , এর আগেও মোট ৬ বার দেখা হয়েছে সিনেমা খানা । আজ কাল পরশু করে করে লেখা হয় না , জানানো হয় না আপনাদের কে , কেমন লেগেছে ? কেন আপনি দেখবেন কিংবা দেখবেন না !! পরিচালক: রবার্ট জেমেকিস মুক্তিকাল: জুলাই ৬, ১৯৯৪ দৈর্ঘ: ২ ঘণ্টা ২২ মিনিট দেশ: হলিউড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রযোজক: উইন্ডি ফিনারম্যান, স্টিভ তিস, স্টিভ স্টারকি, চার্লস নিউরিথ চিত্রনাট্য: এরিক রুথ, উইনস্টন গ্রুমের ‘ফরেস্ট গাম্প‘ উপন্যাস অবলম্বনে IMDB রেটিং: ৮.৮ (এই আলোচনা লিখার সময় পর্যন্ত ১০,৩০,৯৫৫ জন রেটিং দিয়েছেন।) চলমান সিনেমা : বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ফরেস্ট গাম্প বলতে শুরু করে তার জীবনের গল্প, এবং শুরু হয়ে যায় ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত চলচ্চিত্র রবার্ট জেমেকিস’র মাস্টারপিস “ফরেস্ট গাম্প“। নায়কের নাম অনুযায়ী

লাশের পকেটে হাসি , একজন দিপংকর দীপন , ঢাকা অ্যাটাক আমার দ্বি-দর্শন

Image
প্রথমেই বলে দেই না আমি কোন নাম করা রিভিউ লেখক , না কোন সিনেমা ক্রিটিক্স । তাহলে আমি কে ? ওহ কি ভাবে বলবো সত্যি কথা বলতে আমি নিজেই এই প্রশ্নের উত্তর  খুজচ্ছি । পেয়ে গেলে বলে দিবো । সিনেমা দেখি ভালো লাগে , লিখি তাও ভালো লাগে , আসলে আমার সবই ভালো লাগে , যা আমি করি । মূল কথায় আসি । শুরুতেই একটু টাইটেল বয়ান : সিনেমাতে সব থেকে জোর দিয়ে যে ডায়লগটা দেওয়া হয় , তা হলো লাশের পকেটে হাসি , তাই ডায়লগ খানা আমি চুরি করেছি । ছবিটির পরিচালক দিপংকর দীপন ভাই , ব্যাক্তিগত ভাবে পছন্দের মানুষ না এই মুভির কারণে না , এমনতিই । জ্বি না ওনার সাথে আমার কোন হট কানেশন নাই এমন কি কোন  সেলফি পর্যন্ত নাই , ইহাতে আমার একটু অনিহা আছে । আর দ্বি-দর্শন বলতে এইখানে আমার ছবি দেখাকে বুঝিয়েছি । মানে আমি এই মুভি খানা দুইবার দেখেছি । প্রথম দিন আর সপ্তাহের শেষ দিন । এই হলো টাইটেল সমাচার । এই বার চলুন মুভির ভিতরে ঢুকি : চলমান সিনেমা : ক্যামিকেল ল্যাব থেকে কিছু সাধারণ ক্যামিকেল চুরি , কিন্তু তার জন্য খুন হয় কয়েকজন মানুষ । কারণ কি ? স্কুল বাসে বোমা বিস্ফরণ , ক্যামিকেল চুরির সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের খুন । পুলিশ খুজতে থাকে খু

হারিয়ে ফেলা দিন গুলো নতুন করে পাওয়ার চেষ্টায়

Image
আজকাল আর কোকিলের ডাক শুনি না । কিংবা শুনার পর ওটা নিয়ে চিন্তার মাঝেও হারিয়ে যাই না । ধান ক্ষেত কিংবা কাশফুল দেখে বসে পড়ি না , বহু দিন হলো ডায়রি লিখা হয় না । এখন কম্পিউটার আর ফেইসবুকের টাইমলাইনে লিখেই সময় কাটাই । কিন্তু বহু দিন পর আর আবার মনে হলো না , যাই করি না কেন , ডায়রি লিখার তৃপ্তি টা পাচ্ছি না কোথাও । ভেবেছিলাম ঈদের পর থেকেই শুরু করবো । কিন্তু সময় হয়ে উঠেনি । কিন্তু আজ মনে হচ্ছে আর দেরি করা যাবেনা । আমি ডায়রি লিখতে ভালোবাসি । ভালোবাসি পকৃতি দেখে তার কথা ভাবতে ভাবতে কয়েক  পাতা লিখতে । আমি কেন ডায়রি লিখি ? আমি ডায়রি লিখি কারণ , ডায়রি লিখলে মন ভালো থাকে । নিজের এমন কিছু কথা থাকে যা কারোর সাথে শেয়ার করা যায় না । আবর ওই গুলো নিজের ভিতর রাখলেও কষ্ট বেড়ে যায় । আমি তাই ডায়রি লিখি , যে কথা গুলো কাউকে বলা যায় না , আমি সেই কথা গুলো ডায়রির সাথে বলি । আমি ডায়রি লিখি কারণ , আমি বিগত দিনে কি করেছি , আর আগামী দিনে কি করবো ওই হিসাব টা রাখার জন্য , তাতে করে প্রতিদিন দেখা যায় , আমি আমার স্বপ্নের পিছে কতোটুকু সময় দিচ্ছি ? আর কতটুকু ভালো কাজ করছি । আমি ডায়রি লিখি কারণ : বলতে পারেন সে আমার

প্রথমত ছাত্র হয়ে যাও

শিখার জন্য বড় কিছুর প্রয়োজন হয় না , অনেক ছোট ছোট বিষয় থেকেও বড় কিছু শিখা যায় । আজ তেমন ই একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো । আমার একটি প্রচলিত অব্যাস ছিল মন খারাপ থাকলেই চলে যেতাম রমনায় । কোন একটা গাছের নিছে বা লেকের পাড়ে বসে কিছুটা সময় কাটাতাম , আবার মনের কিছু পরিবর্তন হলে বাসায় ফিরে আসতাম । প্রতিদিন ই একজন লোককে দেখতাম চুপচাপ বসে কি যেন ভাবেন । কখনোই কিচু জিজ্ঞাস করিনি। আজ মনটা বেশ খারাপ তাই পরিচিত সেই স্থানটায় যাওয়ার জন্য মনটা বেশ উঠেপড়ে লেগেছে । যেই ভাবনা সেই কাজ চলে আসলাম সেই স্থানে । আজও সেই লোকটার সাথে দেখা । ঠিক একই জায়গায় বসে আছে । আমি লোকটার পাছে গিয়ে বসলাম । আমিও ওনার মতই চুপচাপ বসে রইলাম । এবং ওনার দৃষ্টি কোনদিকে সেই বিষয়টা বের করার চেষ্টা করছি । দেখলাম লোকটি সামনের একটি গাছের দিকে তাকিয়ে আছে । কিছুই বের করতে পারলাম না । কি ব্যাপার তুমি আমার দৃষ্টি বের করার চেষ্ট করছো ? ( খুব ছোট করে লোকটি প্রশ্ন করলো ) আমিতো অবাক ! কি ব্যাপার ওনি কি করে বুঝলেন । আমি ছোট করে উত্তর দিলাম হ্যাঁ । তোমার মন খারাপ ? কিছু নিয়ে চিন্তিত ? আপনি কি করে বুঝলেন? তোমার চেহারা দেখে বুঝলাম । তোমার

আত্মহত্যাই কি ব্যর্থতার একমাত্র সামাধান : ব্যর্থতা, চেষ্টা এবং সফলতার এক অদ্ভুত বাস্তবিক মিশেল

Image
কখনই পতন আবার কখনই উত্থান এইতো জীবন । কিন্তু শেষ কয়েকদিন এতো পরিমাণ মানুষের মৃত্যু খবর পেয়েছি তাতেও সমস্যা ছিলো না , যদি না মৃত্যুগুলো  স্বাভাবিক মৃত্যু হতো । বেশীর ভাগই গলায় ফাঁস কিংবা বিষ পানে । আপসুস তাদের জন্য , যারা জীবনের ভয়ে , হেরে যাওয়ার ভয়ে মৃত্যুকে বেচে নিয়েছে । জানি আমার এই লেখায় , এর সংখ্যা কমবে না , তারপরও বলবো , সত্যি তারা বড্ড বেশী বোকা ছিলো । যাই হোক , এ যাবৎ কালে প্রাপ্তি বলতে আপনাদের কিংবা সফলতার গ্রামার খুজে যা পেয়েছি , সেই হিসেব অনুযায়ী আমি ব্যর্থদের দলের একজন । তবে আমার কাছে তা মনে হয়নি , কারণ আমি চেষ্টা করছি এবং করছি । তারাই মরে যারা চেষ্টা করে না । মুলত ততদিন আপনি মরবেন না ,যতদিন না , আপনি আপনার কাংক্ষিত বস্তু কিংবা স্থান না পাবেন । পাওয়ার পরে মরার চিন্তা করতেই পারেন কারণ তখন আপনার আর চাওয়ার কিছুই নেই । কিন্তু আজকাল যারা মরছে তাদের সবাই না পাওয়ার কারণেই মরছে । কেন জানি না তাদের জন্য মায়া হয়না , কেবল আপসুস হয় কারণ বেচে থাকলে তারা হয়তো অনেক কিছুই করতে পারতো ।  কিংবা চেষ্টা করতে ভয় পায় । নেশা বলতে স্বপ্ন দেখা , তার পিছে ছুটে চলাটাই প্রধান নেশা । সেই সাথে বই পড়া এম

প্রচারই প্রসারের মূলমন্ত্র , আমাদের ই-কর্মাস মার্কেটিং

Image
শেষ কয়েকদিনে সব থেকে নজরে পড়া পোষ্ট গুলোর মধ্যে , একটি হলো , আমার পেইজ বুষ্ট করতে হবে , অভিজ্ঞরা যোগাযোগ করুন । ২য় : প্রতিটা দিন এতো ডলার বুষ্ট চলছে , কিন্তু অডার আসছে না । চলুন একটু আলোচনা করে আসি : টপিক ২ - প্রথম টপিক বাদ দিলাম শেষে বলবো , আর এমনটাও হতে পারে যে বলবো না । যাই হোক কথায় আসি । যেকোন বিষয় , প্রচার ছাড়া প্রসারিত হয় না । প্রচারই প্রসারের মূল মন্ত্র । এইবার সেটা নেগেটিভ কিংবা পজেটিভ যাই হোক । আপনাকে প্রচার করতেই হবে । তার উদাহরণ , হিরু আলম । বাকিটা আপনারা বুঝে নেন । এখন আপনার পণ্য আছে সেটা না জানালে কেউ জানবে না , আর না জানলে কিনবে না এটাই স্বাভাবিক । আবার একটা সমস্যাও আছে , সারা দিন পণ্য নিয়ে বক বক করলেও পাবলিক চাপাবাজ বলবে , তাহলে উপায় ? বিষয়টা ওখানেই , কিছুদিন আগে একটা পোষ্ট দেখলাম , ওনি প্রতিদিন ৩০ ডলার করে বুষ্ট করছেন , লাইক শেয়ার সবই আসছে কিন্তু সেল আসছে না । যেহেতু , লাইককমেন্টস , শেয়ারে টাকা নাই , সুতরাং তার লাভও নাই । ওনার দরকার সেল । হ্যাঁ সেল আসবে , যদিও সেটা নিজ থেকে আসে না , আপনাকে নিয়ে আসতে হবে । যেহেতু আপনার কোম্পানী প্ল্যান সর্ম্পকে জানি না , তাই মার্ক

আমাদের ই-কর্মাস , পর্ব- ০১

Image
কিছু কিছু শব্দ দেখতে ছোট কিংবা অল্প জায়গা নিয়ে অবস্থান করলেও , ক্ষমতার দিক থেকে সমান ভাবে অধিকার নিয়ে থাকে । যেমনটা কর্মাসের আগে বসা ই । হ্যাঁ আমি ই-কর্মাসের কথাই বলছি । দেখতে ছোট মনে হলেও  "ই" এর ক্ষমতা কিংবা প্রয়োগ কিন্তু সমান । আপনাকে যতটা কর্মাস বুঝতে হবে , ততটাই "ই" বুজতে হবে । যতটা কর্মাসের প্রয়োগ হবে ততটাই "ই" এর প্রয়োগ হবে । e-Commerce = Not Only just  Commerce , e-Commerce = Electronic Commerce  প্রথমেই বলে দেই দার করা জ্ঞানে ব্যবসা হয় না ,  আমি ব্যবসা করবো , একটা নাম চাই ফ্রান্স , আমি ব্যবসা করতে চাই কি পণ্য নিয়ে করবো বুদ্ধি চাই ফ্রান্স , এই টাইপ পোষ্টের সংখ্যা অনেক । আর অনেকের মতে ই-কর্মাস একটি সহজ ব্যবসা , ঘরে বসেই করা যায় , পাশের বাসার ভাবি করছে তাই আমিও করবো , আমার বউ অনেক কসমেটিক কিনে , তাই চিন্তা করলাম একটা কসমেটিক এর শপ খুলি । স্বপ্ন দেখা ভালো , কিন্তু তাই বলে তাই বলে যে না জেনে না বুজে স্বপ্ন দেখবেন , এবং নেমে পড়বেন , তাহলে নেহাত লসের মুখে পড়তে হবে । আবার একই ভাবে , ওনি একজন ভালো ব্যবসায়ী , ওনার ব্যবসা জ্ঞান অনেক বালো , কিন্তু ই-ক

প্রসংঙ্গ সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য..

পর্ব-০১ জয় তেতুলের জয় , জয় রাতের আধারের জয় । এই দেশে ভাস্কর্য থাকলে সমস্যা , এই দেশে প্রেম করলে সমস্যা , এই দেশে সুধ দেওয়া জায়েজ , এই দেশে ঘুস খাওয়া জায়েজ , এই দেশে ধর্মকে পুজি করে ব্যবসা কিংবা ক্ষমতায় যাওয়া জায়েজ । জয় আমার সোনার বাংলার জয় । হুমায়ন আজাদের কয়েকটি লাইন ... মসজিদ ভাঙে ধার্মিকেরা, মন্দিরও ভাঙে ধার্মিকেরা, তারপরও তারা দাবি করে তারা ধার্মিক, আর যারা ভাঙাভাঙিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক।.......... হুমায়ুন আজাদ সারা দিন , নেশা , আর রাতের আধারে নারী শরীরের উপর ঝাপ দেওয়া , আর মুখে আমি মুসলিম , আমি ধার্মিক বলে চিৎকার করে বেড়ানোর অভ্যসটা আমাদের আজও গেলো না । পর্ব : ০২ গত কাল সারা দিন একটা অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ছিলাম । গেইট থেকে কনফারেন্স রুম পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ৭ বার পুলিশী জিজ্ঞাসার মুখে পড়তে হয়েছে । একটা সময় মনে হলো না , আমি সুপ্রিম কোর্ট নয় , আমি আছি দেশের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতর , নাকি পুরান ঢাকার কারাগারটাকে এই সুপ্রিম কোর্ট প্রঙ্গনে স্থানান্তর করা হয়েছে ? না তেমন কিছুই না । এই খানে রাতের আধরে , তেতুল পক্ষের নির্দেশে , আমাদের সরকার , আমাদের প্রশাসন এ

জ্বি আমি দর্ষক ,ধর্ষক নই !! তবে সবার মতো নয় ।

লিখবো না , কিন্তু তারপরও লিখা হলো । লিখবো না , কারণ যেখানে সেনানিবাস এরিয়াতে ধর্ষণ হয় তার কোন বিচার হয় না । যেখানে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে বাবা-মেয়ে ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করে , সেখানে লিখে লাভ কি ? যেখানে সাগর-রুনি হত্যার বিচার নেই , এখন তো মনে হয় ওরা ও প্রেমে চ্যাকা খেয়ে আত্মহত্যা করেছে । কিন্তু না , তাদের খুন করা হয়েছে । কিছুই হয় নি আর হবেও না , হয়তো । যেখানে ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতালের জন্ম নিলেও , ভুল চিকিৎসা কিংবা চিকিৎসার অভাবে স্বর্ণাদের মতো শিশুর মৃত্যু হয় । যখন নির্মলেন্দু দা তার ক্ষোভ ঢেকে রাখতে না পেরে লিখেন, মা স্বর্ণা-তুই আমাদের ক্ষমা করিস না। সত্যি বলছি তখন আর ইচ্ছে করে না লিখতে । , এই খানে , আরো অনেক কিছু হয় কিন্তু আবার এই খানেই ভালো কিছু ও হয় । লিখছি ওই কারণেই , কারণ , যখন একটা নরপশু ধর্ষণ করলে , হাজারটা মানুষ জেগে উঠে , তাই । লিখছি এই কারণেই , যখন কোন যুবক অফিস শেষ করে রাস্তায় দাড়িয়ে বাবা-মেয়ের হত্যার বিচার চায় ওই কারণে । লিখছি এই কারণে , যখন দেখি অনেকেই পরিবর্তন হতে শুরু করেছে , তখন আশা জাগে । সত্যি কোন রিকশা ওয়ালা ভুল করলে আরেকজন যখন তাকে ভূল ধরিয়ে দেয় , তখ

কুড়িয়ে পাওয়া কথা , আর একটি অজ্ঞাত চিঠি ।।

শোন প্রিয়জন , শূরুটা একটু অন্য রকম হলো তাই না ? আসলে কি অনেক দিন হলো লিখি না তো তাই , ভালো থাকাটা নিজের উপর তো , আশা করি ভালোই আছো । বুকের ব্যাথা টা তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে । দিন দিন কেমন জানি একটা হয়ে যাচ্ছি । একগেয়ে জীবন পার করছি । কাছের মানুষ গুলো দুরে আর দুরের মানুুষ গুলো আরো দুরে হারিয়ে যাচ্ছে । নিজের মধ্যে থেকে নিজেকেও হারিয়ে ফেলছি । মনে হচ্ছে বুকের ভিতর কিছু বাড়তি যন্ত্রংশ পড়ে আছে , রিকশা কিংবা বাসে উঠলে , ঝাকুনির সাথে সাথে ভিতরটা কেমন যেন নড়ে উঠে । আজ কাল অল্পতেই ভয় পাই । কোথায় যেন সাহসেরা মুখ লুকিয়েছে । রুতে ঘুমাইনা , যদি না আর উঠতে পারি , যদি না সুন্দর সকালটা দেখতে পাই । দিন দিন অদ্ভদ এক যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি । কোন কাজ নেই , কোন চিন্তা নেই । না এইটা মিথ্যা বলা হবে , চিন্তা আছে , অনেক চিন্তা । এই সুন্দর পৃথিবীটা ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা হয় , চিন্তা হয় টং দোকানের চায়ের কাপের সেই আড্ডা গুলোর কথা মনে পড়তেই । কি করবো , এখন আর তো আড্ডা হয় না । সবাই নিজেদেরে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে । বিশ্বাস করো আমি কোন দিন ও চাই নি , সম্পর্কটা এমন রূপ নিক । তারপরও হয়ে গেছে , হয়তো আমার ভুল ছিলো , না হয়

একজন সত্যজিৎ রায় , এবং তার জন্মদিন

Image
বেচে থাকলে বয়স হতো ৯৬ , খুব একটা বেশি কি ? অনেকেই তো আছেন , এই বয়সের , কাজ করছেন , দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন । কিন্তু নেই সেই মানুষটি , যার হাত ধরে পরিবর্তনের ছোয়া লেগেছিলো , বাংলা চলচ্চিত্রের । বলছি একজন সত্যিজিৎ রায়ের কথা , যিনি একাদ্বারে পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, মিউজিক কম্পোজার, ক্যালিগ্রাফার, অংকনশিল্পী ও লেখক ছিলেন। সেই দিনটির কথা খুব মনে পড়ে , গ্রামের বাড়ি , বিদ্যুৎ তো দুরের কথা , খুটি ও আসে নাই , তবে বাড়িতে এক খানা সাদা কালো টিভি ছিলো সেদিন, সাপ্তাহিক ছবি , খুব একটা দেখা হতো না , মাষ্টার মশাইয়ের বেতের বাড়ির ভয় কাজ করতো , কিন্তু সুযোগ পেলে কে না , লুকিয়ে চার কোনার বাক্সটার ভিতর বন্ধী মানুষ গুলোর হাসি কান্না না দেখে থাকে । ‘গুপীগায়েন বাঘা বায়েন’ চলছে , কে পরিচালক , কিসের পরিচালক , কে কি ? এইসব নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নাই , দেখছি , হাসতেছি , ওই সময়ের ভালো লেগে যায় , গানটি , আর কোন ফাকে যে নিজেকে হারিয়ে পেলেছি গানটির মাঝে , এখনো মাঝে মাঝে .. গেয়ে উঠি .. "মহারাজা তোমারে সেলাম...সেলাম...সেলাম/ মোরা বাঙলা দেশের থেকে এলাম... " তারপর থেকে এক এক করে "পথ

ভালো গল্প মানেই কি ভালো চলচিত্র ?

Image
গল্প ভালো ছবি ভালো , এই কথাটি প্রায় আমাদের মুখে মুখে ছড়িয়ে গেছে । আসলে এর সত্যতা কতটুকু ? কতটুকু রয়েছে এর বাস্তবতা ? আমাদের দেশের নির্মাতাদের যদি প্রশ্ন করা হয় , আগের মতো কেন দর্শক হলে গিয়ে ছবি দেখেনা , কিংবা জহির রায়হান , সত্যজিৎ এর মতো কেন আমাদের বর্তমান কোন সুভি হিট করে না ? তখন তারা এক কথায় বলে দেয় , ভালো গল্পের অভাব । সত্যিই কি তাই ? ভালো গল্প মানেই ভালো ছবি ? তাহলে হুমায়ন আহম্মেদ এর কৃষ্ঞপক্ষ হিট করে নি কেন ? বলতে পারেন ? বই হিবে তো পাঠক সমাজে বিশাল জনপ্রিয়তা পেয়েছে , তাহলে ছবি হিসেবে ফেলো না কেন ? এই জীবনে অনেক বই পড়েছি যেগুলো প্রায় সব ক্ষেত্রেই বইটি ভালো লেগেছে; মুভি ভালো লাগেনি। এমনও হয়েছে যে, মুভি দেখে ভীষণ হতাশ এবং কষ্টও পেয়েছি। ৯০% ক্ষেত্রেই এটাই সত্যি বলে প্রমানিত হয়েছে যে, মুভি’র চেয়ে বই উত্তম। তবে কি উপন্যাস কিংবা কোন গল্পের অবলম্বনে মুভি করা ঠিক নয় ? তবে হ্যাঁ তার মধ্যে কিছু পেয়েছি যা বই পড়ে মনে বিশাল নাড়া দিয়েছে আবার মভি দেখেও তার মধ্যে একটি হলো এই বই টি ? আর যতদুর মনে পরে মুভি’তে মেয়েটার নাম উচ্চারণ করা হয় “মাটিলডা” যদিও এখানে বইয়ের মলাটে দেখতে পাচ্ছি “মাতি

হতাশা ঝেড়ে নিজেকে গুছিয়ে নিন । নিজের কাছে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলুন দেখবেন অন্যরাও আপনাকে গুরুত্ব দিতে শুরু করছে ।

Image
কিছু কাজ মনে মতো হবে না এইটা স্বাভাবিক , কিন্তু সব কাজ মনের বিরুদ্ধে যাবে এইটা অস্বাভাবিক । স্বাভাবিক অস্বাভাবিক নিয়ে আমাদের এই জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যেত হবে । হাটতে হবে কাটা পড়ে থাকা রাস্তার উপর দিয়ে । ঠিক একই ভাবে রাস্তায় কাটা পড়ে থাকাটা স্বাভাবিক , কিন্তু আপনি ইচ্ছে করে রাস্তায় কাটা পেলবেন সেটা অস্বাভাবিক । কাজ যখন মনের মতো হয় না , তখন আপনার মধ্যে একটা মানসিক চাপ পড়া স্বাভাবিক । সেটা আপনার নয় অন্যেদের ক্ষেত্রেও হয়েছে । কিন্তু সেই চাপের নিছে নিজেকে পেতে দেওয়াটা অস্বাভাবিক । ভু ল করাটা দোষের কিছু না কিন্তু সেই ভুল বুঝতে পেরেও সেই ভুল পথে এগিয়ে যাওয়া অবশ্যই দোষের। অতীতের হতাশা আঁকড়ে ধরে বসে থেকে বর্তমান সময়টা নষ্ট করা অবশ্যই দোষের। জীবনে কতোটুকু পাবো, সামনের দিনগুলোতে কি হবে তার অনেকাংশই নির্ভর করে নিজের উপর। নিজেকে নিজে না বদলালে কেউ বদলে দিবে না। হতাশায় ডুবে থাকলে সাফল্য কোনদিন ধরা দিবে না, ভুল মানুষের সাথে চললে ভালো চিন্তা কখনো মাথায় আসবে না। আজকে এখন থেকে নিজের ভুলগুলো না শুধরালে হয়তোবা আর কখনো সেই সুযোগ পাওয়া যাবে না। তাই যা করার আজকে থেকেই, এখন থেকেই শুরু করুন । শুর