লাশের পকেটে হাসি , একজন দিপংকর দীপন , ঢাকা অ্যাটাক আমার দ্বি-দর্শন
প্রথমেই বলে দেই না আমি কোন নাম করা রিভিউ লেখক , না কোন সিনেমা ক্রিটিক্স । তাহলে আমি কে ? ওহ কি ভাবে বলবো সত্যি কথা বলতে আমি নিজেই এই প্রশ্নের উত্তর খুজচ্ছি । পেয়ে গেলে বলে দিবো । সিনেমা দেখি ভালো লাগে , লিখি তাও ভালো লাগে , আসলে আমার সবই ভালো লাগে , যা আমি করি । মূল কথায় আসি ।
হাসনাত বিন মতিন
আসাদ জামান
শাহজাহান সৌরভ
চিত্রনাট্যকার :
সানী সানোয়ার
অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়
দীপংকর দীপন
গল্পকার : সানী সানোয়ার
অভিনেতা :
আরিফিন শুভ,মাহিয়া মাহি, এবিএম সুমন,কাজী নওশাবা আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ,তাসকিন রহমান
সুরকার : অদিত , অরিন্দম চ্যাটার্জি , ডিজে রাহাত
চিত্রগ্রাহক : গোপি ভগত ,অর্চিত প্যাটেল
সৌভিক বসু ,খায়ের খন্দকার , নাদিম ফুয়াদ
সম্পাদক : মোহাম্মদ কালাম
স্টুডিও : থ্রি হুইলার্স লিঃ , স্প্ল্যাশ মাল্টিমিডিয়া
পরিবেশক : টাইগার মিডিয়া লিমিটেড
মুক্তি :
৬ অক্টোবর ২০১৭ (বাংলাদেশ)
২৭ অক্টোবর ২০১৭ (বিশ্বব্যাপী)
দৈর্ঘ্য : ১৪৭ মিনিট
দেশ : বাংলাদেশ
ভাষা : বাংলা
আয় : ৳৭.৪কোটি (২ দি) বাকিটা সিনেমাটির কলা কুশলীরা জানে😜😁😁😁
দৃশ্যায়ন :
ছবিটির চিত্রগ্রহণ করা হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং মুম্বাইয়ে। ছবিটির দৃশ্যায়নের জন্য পুরো টিমকে যেতে হয়েছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ফুট উপরে বান্দরবানের নীলাচলে।
তথ্য সূত্র : ঢাকা অ্যাটাক অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ , উইকিপিডিয়া , বাংলাদেশ নিউজ পেপার ।
যোগসূত্র শেষ করে এইবার নেমে পড়ি কি দেখলাম কেন দেখলাম আগেই বলে নেই নিজেস্ব মতামত , আপনার চিন্তা বা দৃষ্টির সাথে না মিলতেই পারে , এমন কি মিলে গেলেও লেখক দায়ী নয় ।
চরিত্র বিশ্লেষণ :
আরিফিন শুভ - (আবিদ রহমান, ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং বোমা নিষ্ক্রিয় বিশেষজ্ঞ) ঃ শুভের অভিনয় জীবনে এটাই তার সেরা অভিনয় । আর বেশী কিছু বলার নাই ।
মাহিয়া মাহি - (চৈতি, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের তদন্তকারী সাংবাদিক) ঃ গ্লেমার এর জন্য ঠিক কিন্তু কিছু স্থানে চরিত্রের ভিতরে ছিলো না মেয়েটি ।
এবিএম সুমন - (আশফাক হোসেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াটের কমান্ডার) ঃ
ছিলা স্ক্রিন জুড়ে , ছিলো তার প্লে করা চরিত্র জুড়ে । পরিচিত কয়েকজনের মন্তব্য ছিলো সেই মূল নায়ক । ভালো ছিলো ।
কাজী নওশাবা আহমেদ - (সিনথিয়া, আশফাকের গর্ভবতী স্ত্রী) ঃ বেশীক্ষণ স্ক্রিনে দেখা না গেলেও ভালো হইছে । তার কোন ভুল আমার চোখে পড়ে নি ।
শতাব্দী ওয়াদুদ - (সাজেদুল করিম, বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা) ঃ
এই লোকটিকে নিয়েই সমস্যা , তাকে নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করে না , কারণ তাকে আমার বেশ পছন্দ হয় । অভিনয় ভালো ছিলো ।
তাসকিন রহমান - ( জিসান, সকল অপরাধের হোতা, ছেলেবেলা থেকে মেধাবী কিন্তু মানসিকভাবে পীড়িত) ঃ প্রথম দর্শনে প্রেম বুঝেন ? এমনটাই ঘটেছে । আর কিছু বলতে হবে ? যদি হয় বলবো কিছুই বলার নাই , আমি তার প্রেমে পড়ে গেছি ।
বাকিদের নিয়ে কিছু বলার নেই , কখনো একবার কখনো দুই বার স্ক্রিনে দেখা গেছে । এই টুকুই বলার আছে পুরো টিম ভালো করেছে । তার তার ফলই পেয়েছে ।
সংগীত:
ঢাকা অ্যাটাক চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, অদিত এবং ডিজে রাহাত। মতিন চৌধুরীর গাওয়া "টিকাটুলির মোড়ে" গানটি এই ছবিতে নতুনরূপে ব্যবহৃত হয়। এই ছবির জন্য অরিজিৎ সিং প্রথম কোন বাংলাদেশি ছবির গানে কণ্ঠ দেন ।
⇒ "টুপটাপ"গান টা ভালো ছিলো।
⇨'টিকাটুলির মোড়' নিয়ে আর কি বলবো , চিৎকার এর কারণে গানটা বাসায় এসে আবার শুনতে হয়েছে ।
⇒ 'পথ যে,ডাকে' ব্যাক্তিগত ভাবে ভালো লেগেছে।
ঢাকা অ্যাটাক এবং আমি : সব মিলয়ে আমার ভালোই লেগেছে । শেষ দিনেও হল ভর্তি দর্শক , যদিও প্রথম দিনে আড়াই গুণ বেশী দামে টিকেট কিনে দেখতে হয়েছে , সেটা করতে হয়নি , ভাগ্য সাথে ছিলো , শেষ টিকেট খানাই আমার জন্য ছিলো । ছবি দেখে যা মনে হলো নায়িকা দুখানা কে একটু বিনোদন দেওয়ার জন্যেই রাখছেন পরিচালক সাহেব । যখনই নওশাবা (সিনথিয়া, আশফাকের গর্ভবতী স্ত্রী) কে স্ক্রিনে দেখানো হয়েছে , দর্শক তখনই হেসে উঠেছে । আর মাহির কথা বলতে চাই না , কারণ কিছু খাম খেয়ালিপনা ডায়লগ ছিলো তার । সব থেকে বিরক্ত কর চরিত্র ছিলো আমার কাছে । আর বিরক্তকর ডায়ালগের মধ্যে শ্রেষ্ট যে ডায়ালগটি ছিলো তা হলো : " কথা দাও আমার জন্য ফিরে আসবে" আর যেহেতু একটি থ্রিলার ধর্মী সিনেমা তার জন্য মনে হয়েছে , মাহি এবং শুভের প্রেমটা না হলেও চলতো , কিংবা আরো পরে দেখালে ভালো হতে যেহেতু ২০১৯ সালে আবার দেখা হবে ঢাকা এট্যাক । যদি প্রশ্ন করেন দেখতে যাবেন কিনা ? তাহলে বলবো অবশ্যই কেন না । কারণ দেখার মতোই একটি সিনেমা । ভাল্লাগছে ।
আমার নজরে ভুল :
আমি ভুল খুজতে হলে যাই না , সিনেমা দেখতে যাই । কারণ আমি পূর্বেই বলে আসছি আমি ক্রিটিক্স না । তারপর ও , যা মনে হলো ।
১ . ভিএফএক্স এর কাজ নিয়ে কিছু বলার নাই , কারণ আমাদের এই কাজে এখনো তেমন পাকা হাত নেই । তবে ভিএফএক্স এর কাজ আরো ভালো হলে সিনেমার বিষয় বস্তুর বিশ্বাস যোগ্যতা আরো বেড়ে যেত ।
২. জানা মতে চোখ পরিবর্তন হয় না । যতক্ষণ না তার অপারেশণ হয় , এই খানে জিসান মানে ভিলেন এর চোখের মণির একটা পরিবর্তন দেখা যায় । ভিলেন এর অন্যতম আকর্ষণ ছিলো তার চোখের মণি।অথচ ফ্ল্যাশব্যাক এ দেখা যায় তার চোখের মণি স্বাভাবিক।
৩. ওশাবা (সিনথিয়া, আশফাকের গর্ভবতী স্ত্রী) পেট টা একটু উপরেই ছিলো , যা বাস্তবে থাকে না , পেট আরো একটু নিচে থাকলে বিষয়টা আর আর্টিফিসিয়াল মনে হতো না ।
৪. মাহীর স্থানে অন্য কাউকে দিলে ভালো হতো , ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে তাকে ভালো লাগেনি , কারণ একজন ক্রাইম রিপোর্টারের কথা বলার ধরণ তার নেই ।
৫. কিছু স্থানে ডায়ালগ বেশী ছিলো , যদি ও অন্য ক্ষেত্রে মানে অন্য সিনেমা হলে ঠিক আছে থ্রিলার এর কারণেই বেশী মনে হয়েছে ।
৬.হাসপাতালের বোম্ব ডিফিউজ করার সময় সারা দেশের মানুষের মনে যে উত্তেজনা ছিলো তা তেমন ভাবে ফুটে উঠেনি ।
৭. সাউন্ড নিয়ে বলতে গেলে , বলতে হবে , ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আরো ভালো হতে পারতো । একই সাথে বিরতির পর সিনেমা শুরু হলে সাউন্ডের ট্রেক কিছুটা ডাউন ছিলো , প্রথম দিন দেখার পর মনে হলো হলের সাউন্ড সিস্টেমের সমস্যা , তাই পরের বার হল চেন্জ করে দেখলাম একই সমস্যা। সাউন্ড ট্রেকটা লেভেল করা হয়নি ।
এই মুভির পজেটিভ দিকগুলো তুলনায় নেগেটিভ দিক খুব সামান্য। এগুলো মুভির আকর্ষণ কমাতে পারেনি।
রেটিং : ১০/৯.৫ । .৫ রেখে দিলাম পরবর্তী পর্বের জন্য আর মাহীর জন্য ।
জয় হোক বাংলা সিনেমার জয় হোক বাংলার । অতঃপর পরিচালক সহ সিনেমার সকল কলা কুশলীদের ধন্যবাদ এমন সিনেমা উপহার দেওয়ার জন্য ।
শুরুতেই একটু টাইটেল বয়ান : সিনেমাতে সব থেকে জোর দিয়ে যে ডায়লগটা দেওয়া হয় , তা হলো লাশের পকেটে হাসি , তাই ডায়লগ খানা আমি চুরি করেছি । ছবিটির পরিচালক দিপংকর দীপন ভাই , ব্যাক্তিগত ভাবে পছন্দের মানুষ না এই মুভির কারণে না , এমনতিই । জ্বি না ওনার সাথে আমার কোন হট কানেশন নাই এমন কি কোন সেলফি পর্যন্ত নাই , ইহাতে আমার একটু অনিহা আছে । আর দ্বি-দর্শন বলতে এইখানে আমার ছবি দেখাকে বুঝিয়েছি । মানে আমি এই মুভি খানা দুইবার দেখেছি । প্রথম দিন আর সপ্তাহের শেষ দিন । এই হলো টাইটেল সমাচার । এই বার চলুন মুভির ভিতরে ঢুকি :
চলমান সিনেমা : ক্যামিকেল ল্যাব থেকে কিছু সাধারণ ক্যামিকেল চুরি , কিন্তু তার জন্য খুন হয় কয়েকজন মানুষ । কারণ কি ? স্কুল বাসে বোমা বিস্ফরণ , ক্যামিকেল চুরির সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের খুন । পুলিশ খুজতে থাকে খুনিকে , এই দিকে খুনি চালাতে থাকে একের পর এক মিশন । গল্প হাটছে সাথে হাটাচ্ছে দর্শকদের কেও । সাথে আছে ক্রাইম রিপোর্টার চৈতি । আর এই মূহর্ত্বে আছি আমি সঙ্গেই থাকুন :
সিনেমা পরিচিতি :
নাম : ঢাকা অ্যাটাক
পরিচালক : দীপংকর দীপন
পরিচালক : দীপংকর দীপন
প্রযোজক : মোহাম্মদ আলী হায়দার
রচয়িতা : হাসনাত বিন মতিন
আসাদ জামান
শাহজাহান সৌরভ
চিত্রনাট্যকার :
সানী সানোয়ার
অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়
দীপংকর দীপন
গল্পকার : সানী সানোয়ার
অভিনেতা :
আরিফিন শুভ,মাহিয়া মাহি, এবিএম সুমন,কাজী নওশাবা আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ,তাসকিন রহমান
সুরকার : অদিত , অরিন্দম চ্যাটার্জি , ডিজে রাহাত
চিত্রগ্রাহক : গোপি ভগত ,অর্চিত প্যাটেল
সৌভিক বসু ,খায়ের খন্দকার , নাদিম ফুয়াদ
সম্পাদক : মোহাম্মদ কালাম
স্টুডিও : থ্রি হুইলার্স লিঃ , স্প্ল্যাশ মাল্টিমিডিয়া
পরিবেশক : টাইগার মিডিয়া লিমিটেড
মুক্তি :
৬ অক্টোবর ২০১৭ (বাংলাদেশ)
২৭ অক্টোবর ২০১৭ (বিশ্বব্যাপী)
দৈর্ঘ্য : ১৪৭ মিনিট
দেশ : বাংলাদেশ
ভাষা : বাংলা
আয় : ৳৭.৪কোটি (২ দি) বাকিটা সিনেমাটির কলা কুশলীরা জানে😜😁😁😁
দৃশ্যায়ন :
ছবিটির চিত্রগ্রহণ করা হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং মুম্বাইয়ে। ছবিটির দৃশ্যায়নের জন্য পুরো টিমকে যেতে হয়েছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ফুট উপরে বান্দরবানের নীলাচলে।
তথ্য সূত্র : ঢাকা অ্যাটাক অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ , উইকিপিডিয়া , বাংলাদেশ নিউজ পেপার ।
যোগসূত্র শেষ করে এইবার নেমে পড়ি কি দেখলাম কেন দেখলাম আগেই বলে নেই নিজেস্ব মতামত , আপনার চিন্তা বা দৃষ্টির সাথে না মিলতেই পারে , এমন কি মিলে গেলেও লেখক দায়ী নয় ।
চরিত্র বিশ্লেষণ :
আরিফিন শুভ - (আবিদ রহমান, ঢাকা মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং বোমা নিষ্ক্রিয় বিশেষজ্ঞ) ঃ শুভের অভিনয় জীবনে এটাই তার সেরা অভিনয় । আর বেশী কিছু বলার নাই ।
মাহিয়া মাহি - (চৈতি, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের তদন্তকারী সাংবাদিক) ঃ গ্লেমার এর জন্য ঠিক কিন্তু কিছু স্থানে চরিত্রের ভিতরে ছিলো না মেয়েটি ।
এবিএম সুমন - (আশফাক হোসেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াটের কমান্ডার) ঃ
ছিলা স্ক্রিন জুড়ে , ছিলো তার প্লে করা চরিত্র জুড়ে । পরিচিত কয়েকজনের মন্তব্য ছিলো সেই মূল নায়ক । ভালো ছিলো ।
কাজী নওশাবা আহমেদ - (সিনথিয়া, আশফাকের গর্ভবতী স্ত্রী) ঃ বেশীক্ষণ স্ক্রিনে দেখা না গেলেও ভালো হইছে । তার কোন ভুল আমার চোখে পড়ে নি ।
শতাব্দী ওয়াদুদ - (সাজেদুল করিম, বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা) ঃ
এই লোকটিকে নিয়েই সমস্যা , তাকে নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করে না , কারণ তাকে আমার বেশ পছন্দ হয় । অভিনয় ভালো ছিলো ।
তাসকিন রহমান - ( জিসান, সকল অপরাধের হোতা, ছেলেবেলা থেকে মেধাবী কিন্তু মানসিকভাবে পীড়িত) ঃ প্রথম দর্শনে প্রেম বুঝেন ? এমনটাই ঘটেছে । আর কিছু বলতে হবে ? যদি হয় বলবো কিছুই বলার নাই , আমি তার প্রেমে পড়ে গেছি ।
বাকিদের নিয়ে কিছু বলার নেই , কখনো একবার কখনো দুই বার স্ক্রিনে দেখা গেছে । এই টুকুই বলার আছে পুরো টিম ভালো করেছে । তার তার ফলই পেয়েছে ।
সংগীত:
ঢাকা অ্যাটাক চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, অদিত এবং ডিজে রাহাত। মতিন চৌধুরীর গাওয়া "টিকাটুলির মোড়ে" গানটি এই ছবিতে নতুনরূপে ব্যবহৃত হয়। এই ছবির জন্য অরিজিৎ সিং প্রথম কোন বাংলাদেশি ছবির গানে কণ্ঠ দেন ।
⇨'টিকাটুলির মোড়' নিয়ে আর কি বলবো , চিৎকার এর কারণে গানটা বাসায় এসে আবার শুনতে হয়েছে ।
⇒ 'পথ যে,ডাকে' ব্যাক্তিগত ভাবে ভালো লেগেছে।
ঢাকা অ্যাটাক এবং আমি : সব মিলয়ে আমার ভালোই লেগেছে । শেষ দিনেও হল ভর্তি দর্শক , যদিও প্রথম দিনে আড়াই গুণ বেশী দামে টিকেট কিনে দেখতে হয়েছে , সেটা করতে হয়নি , ভাগ্য সাথে ছিলো , শেষ টিকেট খানাই আমার জন্য ছিলো । ছবি দেখে যা মনে হলো নায়িকা দুখানা কে একটু বিনোদন দেওয়ার জন্যেই রাখছেন পরিচালক সাহেব । যখনই নওশাবা (সিনথিয়া, আশফাকের গর্ভবতী স্ত্রী) কে স্ক্রিনে দেখানো হয়েছে , দর্শক তখনই হেসে উঠেছে । আর মাহির কথা বলতে চাই না , কারণ কিছু খাম খেয়ালিপনা ডায়লগ ছিলো তার । সব থেকে বিরক্ত কর চরিত্র ছিলো আমার কাছে । আর বিরক্তকর ডায়ালগের মধ্যে শ্রেষ্ট যে ডায়ালগটি ছিলো তা হলো : " কথা দাও আমার জন্য ফিরে আসবে" আর যেহেতু একটি থ্রিলার ধর্মী সিনেমা তার জন্য মনে হয়েছে , মাহি এবং শুভের প্রেমটা না হলেও চলতো , কিংবা আরো পরে দেখালে ভালো হতে যেহেতু ২০১৯ সালে আবার দেখা হবে ঢাকা এট্যাক । যদি প্রশ্ন করেন দেখতে যাবেন কিনা ? তাহলে বলবো অবশ্যই কেন না । কারণ দেখার মতোই একটি সিনেমা । ভাল্লাগছে ।
আমার নজরে ভুল :
আমি ভুল খুজতে হলে যাই না , সিনেমা দেখতে যাই । কারণ আমি পূর্বেই বলে আসছি আমি ক্রিটিক্স না । তারপর ও , যা মনে হলো ।
১ . ভিএফএক্স এর কাজ নিয়ে কিছু বলার নাই , কারণ আমাদের এই কাজে এখনো তেমন পাকা হাত নেই । তবে ভিএফএক্স এর কাজ আরো ভালো হলে সিনেমার বিষয় বস্তুর বিশ্বাস যোগ্যতা আরো বেড়ে যেত ।
২. জানা মতে চোখ পরিবর্তন হয় না । যতক্ষণ না তার অপারেশণ হয় , এই খানে জিসান মানে ভিলেন এর চোখের মণির একটা পরিবর্তন দেখা যায় । ভিলেন এর অন্যতম আকর্ষণ ছিলো তার চোখের মণি।অথচ ফ্ল্যাশব্যাক এ দেখা যায় তার চোখের মণি স্বাভাবিক।
৩. ওশাবা (সিনথিয়া, আশফাকের গর্ভবতী স্ত্রী) পেট টা একটু উপরেই ছিলো , যা বাস্তবে থাকে না , পেট আরো একটু নিচে থাকলে বিষয়টা আর আর্টিফিসিয়াল মনে হতো না ।
৪. মাহীর স্থানে অন্য কাউকে দিলে ভালো হতো , ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে তাকে ভালো লাগেনি , কারণ একজন ক্রাইম রিপোর্টারের কথা বলার ধরণ তার নেই ।
৫. কিছু স্থানে ডায়ালগ বেশী ছিলো , যদি ও অন্য ক্ষেত্রে মানে অন্য সিনেমা হলে ঠিক আছে থ্রিলার এর কারণেই বেশী মনে হয়েছে ।
৬.হাসপাতালের বোম্ব ডিফিউজ করার সময় সারা দেশের মানুষের মনে যে উত্তেজনা ছিলো তা তেমন ভাবে ফুটে উঠেনি ।
৭. সাউন্ড নিয়ে বলতে গেলে , বলতে হবে , ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আরো ভালো হতে পারতো । একই সাথে বিরতির পর সিনেমা শুরু হলে সাউন্ডের ট্রেক কিছুটা ডাউন ছিলো , প্রথম দিন দেখার পর মনে হলো হলের সাউন্ড সিস্টেমের সমস্যা , তাই পরের বার হল চেন্জ করে দেখলাম একই সমস্যা। সাউন্ড ট্রেকটা লেভেল করা হয়নি ।
এই মুভির পজেটিভ দিকগুলো তুলনায় নেগেটিভ দিক খুব সামান্য। এগুলো মুভির আকর্ষণ কমাতে পারেনি।
রেটিং : ১০/৯.৫ । .৫ রেখে দিলাম পরবর্তী পর্বের জন্য আর মাহীর জন্য ।
জয় হোক বাংলা সিনেমার জয় হোক বাংলার । অতঃপর পরিচালক সহ সিনেমার সকল কলা কুশলীদের ধন্যবাদ এমন সিনেমা উপহার দেওয়ার জন্য ।
আপনার নজরেরও যে ভুল হয়, ভুল খোঁজার আগে, এই ২ নম্বর নজরটা আগে ঠিক করেন৷ । এটা তার প্রমাণঃ ২. জানা মতে চোখ পরিবর্তন হয় না । যতক্ষণ না তার অপারেশণ হয় , এই খানে জিসান মানে ভিলেন এর চোখের মণির একটা পরিবর্তন দেখা যায় । ভিলেন এর অন্যতম আকর্ষণ ছিলো তার চোখের মণি।অথচ ফ্ল্যাশব্যাক এ দেখা যায় তার চোখের মণি স্বাভাবিক।
ReplyDelete# ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, এ এযাবৎকালের সমস্ত বাংলা সিনেমার মধ্যে সেরা৷ হয়তো বলিউড হলিউড এর মানের নয়, তবে দেশের সেরা