Posts

Showing posts with the label চলচ্চিত্র কথা

'দ্য বুক থিফ' বস্তুত কিসের গল্প নিয়ে তৈরি

Image
'দ্য বুক থিফ' শুরু হয় লং শটে ! মেঘের দৃশ্য দিয়ে যেন বিরাট এক পটভূমিকে খুব সরল উপস্থাপনের মধ্যে দিয়ে চলচ্চিত্রকার বুঝাতে চান জার্মান সাধারণের বিশ্বযুদ্ধকালীন জীবন। স্টিম ইঞ্জিনের রেল একটি পরিবারকে নিয়ে যায় কোথাই যেন ! ১২ বছরের লিসেলকে দেখি আর দেখি তার ভাইয়ের মৃত্যু। লিসার মা জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির সভ্য এবং স্বভাবতই হিটলারের ধ্বংসযজ্ঞের শিকার ! লিসেল মিমিঞ্জারের আশ্রয় হয় রোজা হুবারম্যান এবং হান্স হুবারম্যানের ঘরে ! এই নি:সন্তান দম্পতী লিসেলকে দত্তক নেয়। রোজা এবং হান্স চরিত্রের মাধ্যমে দেখি শিশুসুলভ সরলতা। একরডিয়নের সুরে হান্স হুবারম্যান যুদ্ধকে ভুলিয়ে দিতে চান। জার্মান অঞ্চল বাভারিয়া এবং একটি অনিন্দ সুন্দর চলচ্চিত্রের শুরু। শুরুর একটি সিকোয়েন্স যুদ্ধকালীন জার্মান অর্থনীতির প্রেক্ষাপট বুঝতে সহায়ক হয় যখন আমরা দেখি হুবারম্যান দম্পতী লিসেল মিমিঞ্জারকে একা দেখে ক্ষুব্ধ হন যেহেতু তাদের দত্তক নেওয়ার কথা ছিলো দুইজনকে (লিসেল এবং তার ভাই)। কিন্তু আসার পথে প্রচন্ড শীতে লিসেলের ভাই মারা যায় এবং এর ফলে বড় সরকারি ভাতা পাওয়া থেকে হুবারম্যান দম্পতী বঞ্চিত হন

গর্জন, বর্জন , বর্ষণ : অতঃপর ডুবে ডুব দেওয়া । একজন ফারুকীর সাথে আমার ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট

Image
টাইটেল কথন : প্রতিটা বিষয় লিখার আগেই আমার টাইটেল ঠিক করতে হয় না হলে লেখা এই দিক ওই দিক ঘুরতে ঘুরতে বিশাল আকাশের তরে হারিয়ে যায় । এখন আপনার প্রশ্ন জাগতে পারে এমন টাইটেল কেন ? বিষয়টা আমিও অনেক চিন্তা করেছি কেন দিলাম : ওহ মনে পড়েছে , শেষ দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তার মধ্যে ঢাকা অ্যাটাক এর থেকেও ডুব নিয়ে আলাচনা সামালোচনা, পর্যালোচনা কোনটার ই কমতি ছিলো না, হয়তো তার প্রেক্ষিতেই আমার এই টাইটেল দেওয়া , আর প্রতিটি সিনেমাই পরিচালকের কাছে সন্তান । আপনার বেড রুমে একটা বই রাখলেন মানে ওই পরিচালক আপনার রুমে আছে , ঠিক একই ভাবে  , যে সিনেমাটি আমি দেখছি , আমার কাছে মনে হয় আমি সেই সিনেমার পরিচালকেই সময় দিচ্ছি । সেটা আমার জন্য হোক আর যেই কারণেই হোক । আর বিস্তারিত গেলাম না , প্রতিটি কথাই নিজের ব্যক্তিগত , পচন্দ না হলে এড়িয়ে চলে যান । আজাইরা আলাপ :  প্রতিটা রিভিউ বলি আর যাই বলি নিজের আলাপ না করতে পারলে কেমন জানি খুত খুত মনে হয় । আসলে সব কিছুর উপর তো নিজের ব্যান্ডিং তাই নয় কি ? প্রতি বারের মতো এইবার ও বলে রাখি আমি কিন্তু ভাই ক্রিটিক্স না । একজন সাধারণ দর্শক । একজন পরিচালক যখন কোন সিনেমা বা ভিডিও শট নেন তখ

"ফরেস্ট গাম্প " একটি অনুপ্রেরণার গল্প, একটি মৃত প্রাণকে তাজা করার সিনেমা

Image
হোক কাজ , হোক ভালো লাগা কিংবা স্বপ্নের পথ চলা থেকে , সে যাই হোক সিনেমা দেখা এবং সেটা নিয়ে অন্যের সাথে শেয়ার করতে (ভালো কিংবা মন্ধ সে যাই হোক) আমার ভালোই লাগে । পচন্দের তালিকায় প্রথম জীবন থেকেই , অনুপ্রেরণার গল্প , অনুপ্রেরণা পাবো এমন সিনেমেই  শীর্ষে । সেই সুবাদে "ফরেস্ট গাম্প " দেখা । না এখনই প্রথম না , এর আগেও মোট ৬ বার দেখা হয়েছে সিনেমা খানা । আজ কাল পরশু করে করে লেখা হয় না , জানানো হয় না আপনাদের কে , কেমন লেগেছে ? কেন আপনি দেখবেন কিংবা দেখবেন না !! পরিচালক: রবার্ট জেমেকিস মুক্তিকাল: জুলাই ৬, ১৯৯৪ দৈর্ঘ: ২ ঘণ্টা ২২ মিনিট দেশ: হলিউড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রযোজক: উইন্ডি ফিনারম্যান, স্টিভ তিস, স্টিভ স্টারকি, চার্লস নিউরিথ চিত্রনাট্য: এরিক রুথ, উইনস্টন গ্রুমের ‘ফরেস্ট গাম্প‘ উপন্যাস অবলম্বনে IMDB রেটিং: ৮.৮ (এই আলোচনা লিখার সময় পর্যন্ত ১০,৩০,৯৫৫ জন রেটিং দিয়েছেন।) চলমান সিনেমা : বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ফরেস্ট গাম্প বলতে শুরু করে তার জীবনের গল্প, এবং শুরু হয়ে যায় ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত চলচ্চিত্র রবার্ট জেমেকিস’র মাস্টারপিস “ফরেস্ট গাম্প“। নায়কের নাম অনুযায়ী

লাশের পকেটে হাসি , একজন দিপংকর দীপন , ঢাকা অ্যাটাক আমার দ্বি-দর্শন

Image
প্রথমেই বলে দেই না আমি কোন নাম করা রিভিউ লেখক , না কোন সিনেমা ক্রিটিক্স । তাহলে আমি কে ? ওহ কি ভাবে বলবো সত্যি কথা বলতে আমি নিজেই এই প্রশ্নের উত্তর  খুজচ্ছি । পেয়ে গেলে বলে দিবো । সিনেমা দেখি ভালো লাগে , লিখি তাও ভালো লাগে , আসলে আমার সবই ভালো লাগে , যা আমি করি । মূল কথায় আসি । শুরুতেই একটু টাইটেল বয়ান : সিনেমাতে সব থেকে জোর দিয়ে যে ডায়লগটা দেওয়া হয় , তা হলো লাশের পকেটে হাসি , তাই ডায়লগ খানা আমি চুরি করেছি । ছবিটির পরিচালক দিপংকর দীপন ভাই , ব্যাক্তিগত ভাবে পছন্দের মানুষ না এই মুভির কারণে না , এমনতিই । জ্বি না ওনার সাথে আমার কোন হট কানেশন নাই এমন কি কোন  সেলফি পর্যন্ত নাই , ইহাতে আমার একটু অনিহা আছে । আর দ্বি-দর্শন বলতে এইখানে আমার ছবি দেখাকে বুঝিয়েছি । মানে আমি এই মুভি খানা দুইবার দেখেছি । প্রথম দিন আর সপ্তাহের শেষ দিন । এই হলো টাইটেল সমাচার । এই বার চলুন মুভির ভিতরে ঢুকি : চলমান সিনেমা : ক্যামিকেল ল্যাব থেকে কিছু সাধারণ ক্যামিকেল চুরি , কিন্তু তার জন্য খুন হয় কয়েকজন মানুষ । কারণ কি ? স্কুল বাসে বোমা বিস্ফরণ , ক্যামিকেল চুরির সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের খুন । পুলিশ খুজতে থাকে খু

আত্মহত্যাই কি ব্যর্থতার একমাত্র সামাধান : ব্যর্থতা, চেষ্টা এবং সফলতার এক অদ্ভুত বাস্তবিক মিশেল

Image
কখনই পতন আবার কখনই উত্থান এইতো জীবন । কিন্তু শেষ কয়েকদিন এতো পরিমাণ মানুষের মৃত্যু খবর পেয়েছি তাতেও সমস্যা ছিলো না , যদি না মৃত্যুগুলো  স্বাভাবিক মৃত্যু হতো । বেশীর ভাগই গলায় ফাঁস কিংবা বিষ পানে । আপসুস তাদের জন্য , যারা জীবনের ভয়ে , হেরে যাওয়ার ভয়ে মৃত্যুকে বেচে নিয়েছে । জানি আমার এই লেখায় , এর সংখ্যা কমবে না , তারপরও বলবো , সত্যি তারা বড্ড বেশী বোকা ছিলো । যাই হোক , এ যাবৎ কালে প্রাপ্তি বলতে আপনাদের কিংবা সফলতার গ্রামার খুজে যা পেয়েছি , সেই হিসেব অনুযায়ী আমি ব্যর্থদের দলের একজন । তবে আমার কাছে তা মনে হয়নি , কারণ আমি চেষ্টা করছি এবং করছি । তারাই মরে যারা চেষ্টা করে না । মুলত ততদিন আপনি মরবেন না ,যতদিন না , আপনি আপনার কাংক্ষিত বস্তু কিংবা স্থান না পাবেন । পাওয়ার পরে মরার চিন্তা করতেই পারেন কারণ তখন আপনার আর চাওয়ার কিছুই নেই । কিন্তু আজকাল যারা মরছে তাদের সবাই না পাওয়ার কারণেই মরছে । কেন জানি না তাদের জন্য মায়া হয়না , কেবল আপসুস হয় কারণ বেচে থাকলে তারা হয়তো অনেক কিছুই করতে পারতো ।  কিংবা চেষ্টা করতে ভয় পায় । নেশা বলতে স্বপ্ন দেখা , তার পিছে ছুটে চলাটাই প্রধান নেশা । সেই সাথে বই পড়া এম

একজন সত্যজিৎ রায় , এবং তার জন্মদিন

Image
বেচে থাকলে বয়স হতো ৯৬ , খুব একটা বেশি কি ? অনেকেই তো আছেন , এই বয়সের , কাজ করছেন , দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন । কিন্তু নেই সেই মানুষটি , যার হাত ধরে পরিবর্তনের ছোয়া লেগেছিলো , বাংলা চলচ্চিত্রের । বলছি একজন সত্যিজিৎ রায়ের কথা , যিনি একাদ্বারে পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার, মিউজিক কম্পোজার, ক্যালিগ্রাফার, অংকনশিল্পী ও লেখক ছিলেন। সেই দিনটির কথা খুব মনে পড়ে , গ্রামের বাড়ি , বিদ্যুৎ তো দুরের কথা , খুটি ও আসে নাই , তবে বাড়িতে এক খানা সাদা কালো টিভি ছিলো সেদিন, সাপ্তাহিক ছবি , খুব একটা দেখা হতো না , মাষ্টার মশাইয়ের বেতের বাড়ির ভয় কাজ করতো , কিন্তু সুযোগ পেলে কে না , লুকিয়ে চার কোনার বাক্সটার ভিতর বন্ধী মানুষ গুলোর হাসি কান্না না দেখে থাকে । ‘গুপীগায়েন বাঘা বায়েন’ চলছে , কে পরিচালক , কিসের পরিচালক , কে কি ? এইসব নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নাই , দেখছি , হাসতেছি , ওই সময়ের ভালো লেগে যায় , গানটি , আর কোন ফাকে যে নিজেকে হারিয়ে পেলেছি গানটির মাঝে , এখনো মাঝে মাঝে .. গেয়ে উঠি .. "মহারাজা তোমারে সেলাম...সেলাম...সেলাম/ মোরা বাঙলা দেশের থেকে এলাম... " তারপর থেকে এক এক করে "পথ

ভালো গল্প মানেই কি ভালো চলচিত্র ?

Image
গল্প ভালো ছবি ভালো , এই কথাটি প্রায় আমাদের মুখে মুখে ছড়িয়ে গেছে । আসলে এর সত্যতা কতটুকু ? কতটুকু রয়েছে এর বাস্তবতা ? আমাদের দেশের নির্মাতাদের যদি প্রশ্ন করা হয় , আগের মতো কেন দর্শক হলে গিয়ে ছবি দেখেনা , কিংবা জহির রায়হান , সত্যজিৎ এর মতো কেন আমাদের বর্তমান কোন সুভি হিট করে না ? তখন তারা এক কথায় বলে দেয় , ভালো গল্পের অভাব । সত্যিই কি তাই ? ভালো গল্প মানেই ভালো ছবি ? তাহলে হুমায়ন আহম্মেদ এর কৃষ্ঞপক্ষ হিট করে নি কেন ? বলতে পারেন ? বই হিবে তো পাঠক সমাজে বিশাল জনপ্রিয়তা পেয়েছে , তাহলে ছবি হিসেবে ফেলো না কেন ? এই জীবনে অনেক বই পড়েছি যেগুলো প্রায় সব ক্ষেত্রেই বইটি ভালো লেগেছে; মুভি ভালো লাগেনি। এমনও হয়েছে যে, মুভি দেখে ভীষণ হতাশ এবং কষ্টও পেয়েছি। ৯০% ক্ষেত্রেই এটাই সত্যি বলে প্রমানিত হয়েছে যে, মুভি’র চেয়ে বই উত্তম। তবে কি উপন্যাস কিংবা কোন গল্পের অবলম্বনে মুভি করা ঠিক নয় ? তবে হ্যাঁ তার মধ্যে কিছু পেয়েছি যা বই পড়ে মনে বিশাল নাড়া দিয়েছে আবার মভি দেখেও তার মধ্যে একটি হলো এই বই টি ? আর যতদুর মনে পরে মুভি’তে মেয়েটার নাম উচ্চারণ করা হয় “মাটিলডা” যদিও এখানে বইয়ের মলাটে দেখতে পাচ্ছি “মাতি

লাইট , সাউন্ড ক্যামেরা , Action । আমার সিনেমা বানানোর গল্প . পর্ব- ২

Image
ফিল্ম এর অফিসিয়াল পোষ্টার  লাইট , সাউন্ড ক্যামেরা , Action  , শুরু হয়ে গেলো , অভিনয় , ডায়লগ দেওয়া , একটু ভুল হলেই , " কাট " আবার নতুন ট্যাক । শুনেছি , দেখেছি , কিন্তু বলা হয় নাই কখনও , এইবারই প্রথম , আমি A ction  বললেই শুটিং শুরু হবে । ভিতরে একটু ভয় কাজ করছে । তাতে কি বিশ্বাস আছে আমি পারবো । গতরাতে অনেক সময় নিয়ে বৃষ্টি হয়েছে । এখন অবশ্যই নাই । প্রথম চিন্তায় পড়ে গেছি , শুটিং হবে কিনা । সারা রাত না ঘুমিয়ে ভোর ৫টায় বাসা ত্যাগ করলাম । গাড়ী চলে গেলো , সাবইকে নিতে , আমি সাথে সহকারী পরিচলক সহ সিএনজিতে করে শুটিং স্পটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলাম । এক এক করে সবাই চলে এলো , স , একটা শর্ট ইনডোরে নিয়ে তার পর চলে যাবো আউটডোর । ওখান থেকে শেষ করে আবার ইনডোর । একদিনেই শুটিং শেষ করবো । সেই অনুযায়ী সব সাজানো হয়েছে । আর্টিস্টদের মেকআপ মাখাচ্ছে ,  নায়িকাকে মেকআপ দেওয়া হচ্ছে  বড় ভাই এবং প্রিয় মানুষটিকে যখন মেকআপ দিচ্ছে  মেকআপ দেওয়া শেষ , এর মধ্যে সেট প্রস্তুত ।  কাউন্ট ডাউন শুরু … জিরো … ওয়ান … টু … থ্রি … লাইট … সাউন্ড … ক্যামেরা …Action… তখন সময় সকাল  ৯টা ,

স্মৃতির কেনাকাটা... আমার সিনেমা বানানোর গল্প (পর্ব-০১)

আজ যা হচ্ছে কাল তা অতীত , আর অতীতের কিছু বিষেশ মূহর্তের ঠাই মিলে স্মৃতির পাতায় । দেশের জলবায়ুর অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে , বর্ষা শেষ সময়েও বৃষ্টি হচ্ছে । একটু পর পর বৃষ্টি হয় , থেমে থেমে বৃষ্টি আবার কখনও বা মুষলধারে বৃষ্টি নামছে । অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে ঠিক হলো দিন তারিখ । কয়েক ধপায় আলোচনা হলো । আর্টিস্টদের রিহার্সেল করানো হলো দুই দিন । টিমের অন্য সবার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হলো । নিজের ভিতর একটু অন্য রকম ক্রিয়া কাজ করছে । একটা ভিন্ন অনুভতি । স্বপ্নের আরেক ধাপ এ উঠতে চললাম । হাতে সময় নেই , স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ফ্রপ্স কিনতে হবে । কম নয় , অনেক গুলো , এই বার শুরু কেনা কাটার জন্য এদিক ওদিক ছুটাছুটি । সাথে আছে এই ফিল্ম এর প্রধান সহকারী পরিচালক , সব থেকে কাছে মানুষটি , ভাই বলি বন্ধু বলি , সব কিছুই বলা যায় । সারাদিনের ভাবনা শেষ , বাসা থেকে লিস্ট করে নিয়ে আসলাম ।বসে আছি টিএসসির চত্বরে অন্যরা সবাই আসছে । দু-একজন চলে এসেছে । কথা চলছে সেই সাথে স্ক্রিপ্টএর সাথে লিস্ট মিলিয়ে দেখা হচ্ছে , কোন কিছু বাদ গেলো কিনা । না ঠিক আছে , সবই লিস্টে উঠেছে , যা দু-একটা বাদ আছে সে গুলো ও বাসায় আছে বলেই লিস্টে জায়গা

চলচ্চিত্রের পরিবর্তন , নতুনত্বের চাপ

বর্তমান চলচ্চিত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছ । অনেকেই বলছে , নিউজ পেপার গুলো ও বড় বড় ছাপা অক্ষরে তা প্রকাশ করছে । যদিও এটা নতুন কিছু না । তবে কতোটুকু পরিবর্তন এসেছে ? একটু পিছনের দিকে তাকালেই দেখা মিলবে তার । ত্রিশ দশকের ছবি আর পঞ্চাশ দশকের ছবি গুলোর দিকে লক্ষ্য করলেই পরিবর্তনের , নতুনত্বের একটা প্রমাণ মিলবে । সেই সাথে এই পরিবর্তন যে প্রথম না , তার ও প্রামণ পাওয়া যাবে । সময়ের সাথে তাল মিলেয়ে চলতে গিয়ে পৃথিবীর সব কিছুরই পরিবর্তন হয় , একটা সময় পর পর এই পরিবর্তন হয় । তারই ধারাবাহিকতায় চলচ্চিত্রে ও মিলে পরিবর্তনের চাদর । তবে হ্যাঁ এখনকার চলচ্চিত্রের পরিবর্তনটা একটু বেশী মনে হচ্ছে । একটা সময় পরিচালক অনেক ভেবে সিনেমায় হাত দিতেন আর এখন একটা গল্প আর মোটামুটি টাকা হলেই সিনেমা হয়ে যায় । লেখাটা কাউকে ছোট করার জন্য লিখিনি । শেষ কিছু ছবি দেখে মনে হলো । কারণ যে কোন সিনেমার দুটা দিক থাকে । হয় গল্প না হয় মেকিং । কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনটাই পাইনি । ছবিতে স্বামী-স্ত্রীর মিলন দেখানো কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকার অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখানোটা এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে । কিছু কিছু দৃশ্য দেখলে মনেই থাকে না যে একটা সময় এই দে

আমার দেখা সেরা ছবি : “A Beautiful Mind "

Image
লেকাচার চলছে , বিশ্ববিদ্যালয়ের  এক জন অধ্যাপক জীবনের লক্ষ নিয়ে কথf বলছেন , শিক্ষার্থীদের মাঝে বড় বড় স্বপ্নের কথা বলছেন । শুরুটা ঠিক এইভাবেই হয়েছিলো । আমি বলছি “A Beautiful Mind ছবির কথা বাংলায় অর্থ করলে দাড়ায় একটি সুন্দর মন । আমার দেখা সেরা অণুপ্রেরণা মূলক একটি ছবি । ২০০১ এ ছবিটি মুক্তি পায় , এবং একই সালে ছবিটি চারটি ক্ষেত্রে একাডেমি পুরষ্কার জিতে - সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা পরিবর্তিত চিত্রনাট্য এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী। পরিচালক রন হাওয়ার্ড , ১৯৯৮ সালের পুলিৎজার পুরষ্কার পাওয়া সিলিভিয়া নাসার একই নামের উপন্যাস অবলম্ভনে ছবিটি নির্মান করেন । সিলিভিয়া নাসার উপন্যাসটিও বেস্ট সেলিং উপন্যাসের খোতব অর্জন করে । সিলিভিয়া নাসা উপন্যাসটি লিখেন লোবেল পুরস্কার বিজয়ী গনিতবিদ জন ণ্যাশের জীবন থেকে । ছবির মুল চরিত্র মানে জন ন্যাশের চরিত্রে অভিনয় করেন অস্ট্রেলীয় অভিনেতা ও গায়ক রাসেল ক্রো । অ্যালিসিয়া নামক মেয়েটি জন ন্যাশ ( রাসেল ক্রোর স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন , আরো অনেক পার্শ্ব চরিত্র রয়েছে ছবিটিতে । জন ন্যাশ , পিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন গনিতবিদ্যার উপর । তার চিন্তায় স