Posts

Showing posts from 2016

লাইট , সাউন্ড ক্যামেরা , Action । আমার সিনেমা বানানোর গল্প . পর্ব- ২

Image
ফিল্ম এর অফিসিয়াল পোষ্টার  লাইট , সাউন্ড ক্যামেরা , Action  , শুরু হয়ে গেলো , অভিনয় , ডায়লগ দেওয়া , একটু ভুল হলেই , " কাট " আবার নতুন ট্যাক । শুনেছি , দেখেছি , কিন্তু বলা হয় নাই কখনও , এইবারই প্রথম , আমি A ction  বললেই শুটিং শুরু হবে । ভিতরে একটু ভয় কাজ করছে । তাতে কি বিশ্বাস আছে আমি পারবো । গতরাতে অনেক সময় নিয়ে বৃষ্টি হয়েছে । এখন অবশ্যই নাই । প্রথম চিন্তায় পড়ে গেছি , শুটিং হবে কিনা । সারা রাত না ঘুমিয়ে ভোর ৫টায় বাসা ত্যাগ করলাম । গাড়ী চলে গেলো , সাবইকে নিতে , আমি সাথে সহকারী পরিচলক সহ সিএনজিতে করে শুটিং স্পটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলাম । এক এক করে সবাই চলে এলো , স , একটা শর্ট ইনডোরে নিয়ে তার পর চলে যাবো আউটডোর । ওখান থেকে শেষ করে আবার ইনডোর । একদিনেই শুটিং শেষ করবো । সেই অনুযায়ী সব সাজানো হয়েছে । আর্টিস্টদের মেকআপ মাখাচ্ছে ,  নায়িকাকে মেকআপ দেওয়া হচ্ছে  বড় ভাই এবং প্রিয় মানুষটিকে যখন মেকআপ দিচ্ছে  মেকআপ দেওয়া শেষ , এর মধ্যে সেট প্রস্তুত ।  কাউন্ট ডাউন শুরু … জিরো … ওয়ান … টু … থ্রি … লাইট … সাউন্ড … ক্যামেরা …Action… তখন সময় সকাল  ৯টা ,

স্মৃতির কেনাকাটা... আমার সিনেমা বানানোর গল্প (পর্ব-০১)

আজ যা হচ্ছে কাল তা অতীত , আর অতীতের কিছু বিষেশ মূহর্তের ঠাই মিলে স্মৃতির পাতায় । দেশের জলবায়ুর অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে , বর্ষা শেষ সময়েও বৃষ্টি হচ্ছে । একটু পর পর বৃষ্টি হয় , থেমে থেমে বৃষ্টি আবার কখনও বা মুষলধারে বৃষ্টি নামছে । অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে ঠিক হলো দিন তারিখ । কয়েক ধপায় আলোচনা হলো । আর্টিস্টদের রিহার্সেল করানো হলো দুই দিন । টিমের অন্য সবার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হলো । নিজের ভিতর একটু অন্য রকম ক্রিয়া কাজ করছে । একটা ভিন্ন অনুভতি । স্বপ্নের আরেক ধাপ এ উঠতে চললাম । হাতে সময় নেই , স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ফ্রপ্স কিনতে হবে । কম নয় , অনেক গুলো , এই বার শুরু কেনা কাটার জন্য এদিক ওদিক ছুটাছুটি । সাথে আছে এই ফিল্ম এর প্রধান সহকারী পরিচালক , সব থেকে কাছে মানুষটি , ভাই বলি বন্ধু বলি , সব কিছুই বলা যায় । সারাদিনের ভাবনা শেষ , বাসা থেকে লিস্ট করে নিয়ে আসলাম ।বসে আছি টিএসসির চত্বরে অন্যরা সবাই আসছে । দু-একজন চলে এসেছে । কথা চলছে সেই সাথে স্ক্রিপ্টএর সাথে লিস্ট মিলিয়ে দেখা হচ্ছে , কোন কিছু বাদ গেলো কিনা । না ঠিক আছে , সবই লিস্টে উঠেছে , যা দু-একটা বাদ আছে সে গুলো ও বাসায় আছে বলেই লিস্টে জায়গা

স্বপ্ন কি ? মরিচিকা না জোনাক পোকা ?

কোনটা স্বপ্ন , যেটা ঘুমিয়ে দেখি সেটা না যেটা জেগে দেখি সেইটা ? কেউ বলে ঘুমিয়ে যেটা দেখা হয় সেটা স্বপ্ন নয় , কিন্তু সেই ছোট বেলা থেকেই প্রতি দিন কাউকে না কাউকে বলতে শুনেছি , আজ রাতে আমি এই স্বপ্নটা দেখেছি , কেবল যে শুনেছি তা না , নিজেও বলেছি , যদিও আমি তেমন কোন স্বপ্ন ঘুমের ঘোরে দেখি নাই । যাই হোক , আমার কাছে মনে হয় , এইটা নিয়ে কথা বাড়ালে অবস্থাটা ঠিক এমন দাড়াবে যে ডিম আগে না মুরগী আগে তার মতো । তাই বাড়ালাম না । যে যেটা মনে করে , সেটা তার ব্যাপার , আমার কাছে দুটাই স্বপ্ন মনে হয় , কারণ মানুষ ওই জিনিসটাই ঘুমের ঘোরে দেখে যা নিয়ে সে বেশী চিন্তা বা কল্পনা করে । স্বপ্ন দেখাটা নেশায় পরিণত হয়ে গেছে । এখন মনে হচ্ছে স্বপ্ন না দেখে থাকা যায় না , একটা স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে কিংবা তার দরজা বন্ধ হয়ে গেছে , সাথে সাথে আরেকটা স্বপ্ন নিজ থেকে এসে হাজির হয় । একটু দেরী হলেই চিন্তা ধরে যায় , স্বপ্নও কি ছেড়ে যাচ্ছে নাকি আমায় ..? কিন্তু না , স্বপ্নের সাথে যে একটা ভালো সন্ধি হয়ে গেছে , তাই তো সে আছে আমার সাথেই , পরিচিত অনেকেই প্রতিদিন একটা করে জ্ঞানের বাণী শুনায় , একটা চাকুরী করতে বলে , বন্ধ করে দিতে বলে এই স

চলচ্চিত্রের পরিবর্তন , নতুনত্বের চাপ

বর্তমান চলচ্চিত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছ । অনেকেই বলছে , নিউজ পেপার গুলো ও বড় বড় ছাপা অক্ষরে তা প্রকাশ করছে । যদিও এটা নতুন কিছু না । তবে কতোটুকু পরিবর্তন এসেছে ? একটু পিছনের দিকে তাকালেই দেখা মিলবে তার । ত্রিশ দশকের ছবি আর পঞ্চাশ দশকের ছবি গুলোর দিকে লক্ষ্য করলেই পরিবর্তনের , নতুনত্বের একটা প্রমাণ মিলবে । সেই সাথে এই পরিবর্তন যে প্রথম না , তার ও প্রামণ পাওয়া যাবে । সময়ের সাথে তাল মিলেয়ে চলতে গিয়ে পৃথিবীর সব কিছুরই পরিবর্তন হয় , একটা সময় পর পর এই পরিবর্তন হয় । তারই ধারাবাহিকতায় চলচ্চিত্রে ও মিলে পরিবর্তনের চাদর । তবে হ্যাঁ এখনকার চলচ্চিত্রের পরিবর্তনটা একটু বেশী মনে হচ্ছে । একটা সময় পরিচালক অনেক ভেবে সিনেমায় হাত দিতেন আর এখন একটা গল্প আর মোটামুটি টাকা হলেই সিনেমা হয়ে যায় । লেখাটা কাউকে ছোট করার জন্য লিখিনি । শেষ কিছু ছবি দেখে মনে হলো । কারণ যে কোন সিনেমার দুটা দিক থাকে । হয় গল্প না হয় মেকিং । কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনটাই পাইনি । ছবিতে স্বামী-স্ত্রীর মিলন দেখানো কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকার অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখানোটা এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে । কিছু কিছু দৃশ্য দেখলে মনেই থাকে না যে একটা সময় এই দে

নারী তুমি সতর্ক থাকো.......

Image
সময় আর যুগের পথচলায় নারী তুমি কই? নারী আজ তুমি ছুটে চলেছো তোমার লক্ষ্যে , তুমি ছুতে চাও দুর আকাশের সেই চাঁদ , তুমি ছুটে যেত চাও নীল আকাশের নীলাভ সেই স্বপ্নীল জগৎতে । তারপরও তুমি নারী , তারপরও তোমাকে থাকতে সদাসতর্ক। তুমি খাদ্য........... উন্নতির অগ্রযাত্রায় তুমি যোগ্যতার দাপটে প্রত্যেক ক্ষেত্রে অবস্থান করছ। আজ তুমি ছুটে চলেছ শিক্ষার উচ্চ থেকে উচ্চস্তরে, কর্মক্ষেত্রে, আন্দোলনে, সমাজ পরিবর্তনে; হাজার মানুষের ভিড়ে।কিন্তু তোমার সদাসতর্ক থাকতে হয় তোমার শরীর আর তোমাকে নিয়ে; কখন তোমার শরীর ছুঁয়ে যাবে কোন লোমশ হাত, তোমার নিতম্ব ঠোকর খাবে শক্ত আঙ্গুলে, তোমার স্তনে থাবা দিয়ে সুখ নেবে কোন শিশ্ন, কাধে ধাক্কা দিয়েও আরাম পাবে পুরুষের মন কিংবা কোন বাক্য ছুড়েও দিয়েও শান্তি! আর শিকারীদের থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তুমি ভীতচিত্তে সদাসতর্ক থাকো। তোমার স্তন রক্ষায় রক্ষাকবচ তোমার দুটো হাত,ধাক্কা সামলাতে কনুই কিংবা কাধব্যাগ! তোমাকে শেখানো হয় এভাবেই নিজেকে রক্ষা করে ভীত, লজ্জিত, নত থাকতে হবে প্রতিনিয়ত, কারন তুমি নারী! তোমার প্রতিটি অঙ্গ পুরুষের খাদ্য, তুমি তা ঢাকনি দিয়ে ঢেকে রাখো ধুলোবালি আ

ভালো আছি ?

ভালো আছি ? সেটা তুমি কেন , অনেকেই ভাবে , আমিতো কেবল ভালো থাকার একটা চাদর জড়িয়ে আছি । সর্বক্ষণ বয়ে যাচ্ছে পদ্মা-মেঘনার জল , আবার কখনও চলছে চৈত্রের তীব্র খরা । আমি ভালো ? সেটা তুমি কেন অনেকেই ভাবে । বলে আর কি হবে ? কি বা করতে পারবে তোমরা? পারবে কি দিতে এক খন্ড জমি ? একটি খড়ের কঠির , একটি কদম বাগান আর একটি বর্ষার বিকেল ? তবে বলে আর কি লাভ হবে ? ভালো আছি ? সেটা তুমি কেন , অনেকেই ভাবে । বারবে কি দিতে দখিনা বাতাস এক টুকরো কাগজ আর একটি দোয়াত ? পারবে কি ?  এমন একটা বিকেল দিতে ? যখনটায় বসে মনের সুখে লিখতে পারবোমনের জমে থাকা সব কথা , তবে আর বলে কি হবে ? ভালো আছি ? সেটা তুমি কেন অনেকেই ভাবে । ২৪/০৬/২০১৬ ইং

শেক্সপিয়ার এখন আমার ঘরে

Image
বই পড়াটা একটা নেশা , আর আমার অনেকগুলোর মাঝে এইটা একটা নেশা , বই না পড়লে মনে হয় ঠিক মতো ঘুম আসে না । কখনও যদি কোন কাজের কারণে অনেকদিন বই পড়তে না পারি , তখন মনে হয় , কিছু একটা আমার কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে , একটা অভাব অনুভব হয় । বুকের মাঝে একটা ব্যাথা ও অনুভব করি । দেশে এবং দেশের বাহিরে অনেক রাইটারই আমার প্রিয় , তার মধ্যে উইলিয়াম সেক্সপিয়ার হলো একজন । শেক্সপিয়ার এর বই , তাহলে তো আর কো কথাই নাই । শেক্সপিয়ার এর রোমিও জুলিয়েট এর গল্প গুলো বেশ ভালো লাগতো । কিছু দিন আগে ঠিক করি এই বার শেক্সপিয়ার এ সনেট গুলো নিয়ে বসবো । কিন্তু সময় এর অভাবে যাওয়া হয়না , আর তাই কিনাও হয় নি। অবশেষে  অনলাইনে অর্ডার  করলাম আর বই বাসায় এসে গেলো , বই গুলো হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো , এর আগেও অনলাইন থেকে বই কেনার অভিজ্ঞতা আছে , কিন্তু এইবার একটি নতুন অভিজ্ঞতা হলো , বই এর সাথে একটি ছোট গিফট পাইছি , তাই , । চাই লে আপনি ও কিনে নিতে পারেন । তার জন্য তেমন কোন ঝামেলাই নেই । কেবল কয়েকটি ক্লিক আর বই বাসায় । 

জামদানি কথা

Image
ইতি কথা : কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত একধরনের পরিধেয় বস্ত্র। প্রাচীনকানের মিহি মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে "জামদানি শাড়ি বাঙ্গালী নারীদের অতি পরিচিত। মসলিনের উপর নকশা করে জামদানি কাপড় তৈরি করা হয়। জামদানি বলতে সাধারণত‍ঃ শাড়িকেই বোঝান হয়। তবে জামদানি দিয়ে নকশী ওড়না, কুর্তা রুমাল, পর্দা প্রভৃতিও তৈরি করা হত। ১৭০০ শতাব্দীতে "জামদানি দিয়ে নকশাওয়ালা শেরওয়ানির প্রচলন ছিল। এছাড়া, মুঘল নেপালের আঞ্চলিক পোষাক রাঙ্গার জন্যও জামদানি কাপড় ব্যবহৃত হত।                                       "জামদানির প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায়, আনুমানিক ৩০০ খ্রিস্টাব্দে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র গ্রন্থে, পেরিপ্লাস অব দ্য এরিথ্রিয়ান সি বইতে এবং বিভিন্ন আরব, চীন ও ইতালীর পর্যটক ও ব্যবসায়ীর বর্ণনাতে। কৌটিল্যের বইতে বঙ্গ ও পুন্ড্র এলাকায় সূক্ষ্ম বস্ত্রের উল্লেখ আছে, যার মধ্যে ছিল ক্ষৌম, দুকূল, পত্রোর্ণ ও কার্পাসী। নবম শতাব্দীতে আরব ভূগোলবিদ সোলায়মান তার গ্রন্থ স্রিল সিলাই-উত-তওয়ারিখে রুমি নামের রাজ্যে সূক্ষ্ম সুতি কাপড়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। তার বর্ণনা অনুসারে বোঝা যায়, রু

নির্মলেন্দু গুণের কবিতা

খোঁপায় পেনসিল পরা মেয়ে, কী সুন্দর রাধাচূড়া হয়ে চুল উঠেছে লতিয়ে। পেনসিলে দাঁতের দাগ, অবাধ্য চুলের চাপে বারবার খোঁপা খুলে গেলে হবেই তো রাগ। তার চেয়ে এক কাজ কর, খোঁপায় পেনসিল দিয়ে লিখ ফেলো একটি কবিতা। অালগা করো না খোঁপার বাঁধন-; যার খুশি পড়ে নেবে খোঁপা-বই খুলে।

সফল হওয়ার কোন র্শটকাট উপায় নেই ..

 সফলতা একটি দীর্ঘ মেয়াদী পক্রিয়া , আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে কেউ রাতারাতি সফল হয়ে যায় নি । আপনার যেমন কষ্ট হচ্ছে তাদেরও হয়েছিলো । আপনার কাছে যেমন মনে হচ্ছে পৃথিবী আপনার বিপক্ষে কাজ করছে তাদের কাছেও মানে হয়েছিলো , তারাও আপনার মতো এই পোড়ন সহ্য করেই আজ ইতিহাসের পাতায় স্থান নিয়েছে । বাজার থেকে কয়েকটি বই আর কিছু লোকের জ্ঞান মূলক কথা শুনলে আপনার মানে সফলতার প্রতি একটি লোভ জন্মাতে পারে । আপনার মনে হতে পারে কি সুন্দর ই না তাদের জীবন , তারা কত সুখী হ্যাঁ সত্যিই তারা সুখী কিন্তু সেটা আজ । আমিও চাইলে এখন আপনাদের এই রকম বিভিন্ন গল্প শুনাতে পারি , আর সেই গল্প পড়ে আপনারাও সফলতার জোয়ারে খানিকক্ষণ ভাসতে থাকবেন , কিন্তু যখন সেই জোয়ার শেষ হয়ে যাবে তখন আপনিও তলিয়ে যাবেন । এটাই বাস্তবতা , আমি মনে করি জোয়ার আপনাকে নয় আপনি জোয়ার কে ভাসান আর তাহলে ই আপনার জীবনও তাদের মতো হবে , পৃথিবী আপনাকে ও মনে রাখবে । চারদিক অন্ধকার মনে হচ্ছে , হতে পারে আপনার সব চেয়ে কাছের মানুষ টি আজ আপনার সাথে অন্য রকম ব্যাবহার করছে , আরে ভাই তাতে কি আজ আপনার কেউ না থাকতে পারে , আপনার জন্য কারো সময় না হতে পারে আর ফোন কেউ ধরছে না , এমনক

স্বপ্ন যাত্রা ……………

Image
                                 মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় , কথাটি অনেকেই মানে আবার অনেকেই মানে না , তাতে কি , আমি মানি , আর এইটুকু ও বিশ্বাস করি যে যার স্বপ্ন যত বড় তার চেষ্টা এবং সাহস ও তত বড় । একটা সময় টেলিভিশান এর ঢাকা শহরের বড় বড় বিল্ডিং গুলো দেখলে বিশ্বাস হতো না যে এমন সব বিল্ডিং আমার দেশে আছে । তখন খুব ছোট ছিলাম বলে ? না ! এখন যে বয়সে একটা ছেলে কম্পিউটার চালাতে পারে, পৃথিবীর অনেক কিছু সর্ম্পকে জানে মানে ক্লাস ৭ কি ৮ হলে মোটা মুটি অনেক কিছু সর্ম্পকে তাদের ধারণা হয়ে যায় , তখন আমার বয়স টাও তাই ছিলো , বেশী দিন আগের কথা নয়, আমার গৃহ শিক্ষক আমাদের টেলিভিশন এর কাছে যেতে দিতো না , তাছাড়া বাড়িতে ১ টা কি ২ টা টেলিভিশন ছোটেদের দেখতে দেওয়া হতো না , টেলিভিশন তারা খারাপ হয়ে যাবে তাই । আমি যখন ক্লাস ৭ এ তখন আমার প্রথম টেলিভিশন এর সাথে পরিচয় , অর্থাৎ ঘটনাটা তখনকারই , একবার বড় ভাইয়ের সাথে ঢাকায় আসার পর একটি বড় বিল্ডিং দেখতে গিয়ে রিকশা থেকে পড়ে যাওয়ার উপায় প্রায় , ভাইয়া না ধরলে সে দিন হয়তো মাথা পাটতো , আর না হয় সে দিন ই কোন গাড়ি এসে মেরে দিতো আর আমি সেই উপরে । আর এখন সেই আমি কিন

এখন শূধু নিজ দেশেই নয় , বহি বিশ্বে ও চাহিদা বাড়ছে, জামদানির....

Image

আমার দেখা সেরা ছবি : “A Beautiful Mind "

Image
লেকাচার চলছে , বিশ্ববিদ্যালয়ের  এক জন অধ্যাপক জীবনের লক্ষ নিয়ে কথf বলছেন , শিক্ষার্থীদের মাঝে বড় বড় স্বপ্নের কথা বলছেন । শুরুটা ঠিক এইভাবেই হয়েছিলো । আমি বলছি “A Beautiful Mind ছবির কথা বাংলায় অর্থ করলে দাড়ায় একটি সুন্দর মন । আমার দেখা সেরা অণুপ্রেরণা মূলক একটি ছবি । ২০০১ এ ছবিটি মুক্তি পায় , এবং একই সালে ছবিটি চারটি ক্ষেত্রে একাডেমি পুরষ্কার জিতে - সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা পরিবর্তিত চিত্রনাট্য এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী। পরিচালক রন হাওয়ার্ড , ১৯৯৮ সালের পুলিৎজার পুরষ্কার পাওয়া সিলিভিয়া নাসার একই নামের উপন্যাস অবলম্ভনে ছবিটি নির্মান করেন । সিলিভিয়া নাসার উপন্যাসটিও বেস্ট সেলিং উপন্যাসের খোতব অর্জন করে । সিলিভিয়া নাসা উপন্যাসটি লিখেন লোবেল পুরস্কার বিজয়ী গনিতবিদ জন ণ্যাশের জীবন থেকে । ছবির মুল চরিত্র মানে জন ন্যাশের চরিত্রে অভিনয় করেন অস্ট্রেলীয় অভিনেতা ও গায়ক রাসেল ক্রো । অ্যালিসিয়া নামক মেয়েটি জন ন্যাশ ( রাসেল ক্রোর স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন , আরো অনেক পার্শ্ব চরিত্র রয়েছে ছবিটিতে । জন ন্যাশ , পিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন গনিতবিদ্যার উপর । তার চিন্তায় স