নারী তুমি সতর্ক থাকো.......
সময় আর যুগের পথচলায় নারী তুমি কই?
নারী আজ তুমি ছুটে চলেছো তোমার লক্ষ্যে , তুমি ছুতে চাও দুর আকাশের সেই চাঁদ , তুমি ছুটে যেত চাও নীল আকাশের নীলাভ সেই স্বপ্নীল জগৎতে । তারপরও তুমি নারী , তারপরও তোমাকে থাকতে সদাসতর্ক। তুমি খাদ্য...........
উন্নতির অগ্রযাত্রায় তুমি যোগ্যতার দাপটে প্রত্যেক ক্ষেত্রে অবস্থান করছ। আজ তুমি ছুটে চলেছ শিক্ষার উচ্চ থেকে উচ্চস্তরে, কর্মক্ষেত্রে, আন্দোলনে, সমাজ পরিবর্তনে; হাজার মানুষের ভিড়ে।কিন্তু তোমার সদাসতর্ক থাকতে হয় তোমার শরীর আর তোমাকে নিয়ে; কখন তোমার শরীর ছুঁয়ে যাবে কোন লোমশ হাত, তোমার নিতম্ব ঠোকর খাবে শক্ত আঙ্গুলে, তোমার স্তনে থাবা দিয়ে সুখ নেবে কোন শিশ্ন, কাধে ধাক্কা দিয়েও আরাম পাবে পুরুষের মন কিংবা কোন বাক্য ছুড়েও দিয়েও শান্তি!
আর শিকারীদের থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তুমি ভীতচিত্তে সদাসতর্ক থাকো। তোমার স্তন রক্ষায় রক্ষাকবচ তোমার দুটো হাত,ধাক্কা সামলাতে কনুই কিংবা কাধব্যাগ! তোমাকে শেখানো হয় এভাবেই নিজেকে রক্ষা করে ভীত, লজ্জিত, নত থাকতে হবে প্রতিনিয়ত, কারন তুমি নারী! তোমার প্রতিটি অঙ্গ পুরুষের খাদ্য, তুমি তা ঢাকনি দিয়ে ঢেকে রাখো ধুলোবালি আর পোকামাকড় থেকে। লাভ নেই! একজোড়া চোখ, হাত ঠিকই তোমার কাপড় ভেদ করে খুঁজে নিবে তোমাকে, লজ্জায় তুমি কোথায় পালাবে ভেবে পাওনা। বড় বড় টকশোতে গতানুগতিক বিজ্ঞ আর বিজ্ঞিরা পর্যন্ত তোমাকে এভাবেই পথ চলতে পরামর্শ দেয়, কারন তোমার আছে যোনী, সতীপর্দা; তুমি নারী, তুমি একশ একটা কলংকের বিশেষণে বিশেষায়িত! কোন একটা বিশেষণের সিলের ভয়ে তুমি প্রতিবাদ না করে খোলসে মুখ লুকাও!
কিন্তু একবারের জন্য কেউ বলেনা- ‘হে পুরুষ, কামক্ষুধা নারীপুরুষ সবার প্রাকৃতিক সহজাত প্রবৃত্তি, কিন্তু তা এভাবে নিবারণের জন্য নয়! নিজেকে একটু নিয়ন্ত্রন কর, সম্মান করো নিজেকে আর নারীকে। সে শুধুই খাদ্য নয়; তোমার সঙ্গী, বন্ধু, কখনো তোমার চেয়েও যোগ্য একজন! নিজের কামানুভূতিকে শিশ্নের আগায় না রেখে একটু ভেতরে সযতনে রাখো। কারন তোমার জন্মের জন্যও একটা গর্ভের প্রয়োজন ছিলো আর আছে!!!’
কেউ বলেনি, কেউ বলবেনা!!
(নোংরামি বন্ধ করো)
Comments
Post a Comment