নারী মানুষ নাকি পণ্য ? কে দায়ী সমাজ নাকি আমি , তুমি , সে !!
অলি গলি থেকে বড় রাস্তার মোড় , সব খানেই র্পালার খুলে বসা হয়েছে । বাজারে পাওয়া যাচ্ছে , নানান রঙের কসমেটিকস । এখন যদি প্রশ্ন করা হয় এই গুলো কারা ব্যবহার করে , কিংবা এই সব কাদের জন্য । মোফাস্সলের সেই ছোট বাচ্চাটাও বলে দিতে পারবে , যে এই সব নারীদের জন্য । তারাই এই সব ব্যবহার করছে । প্রশ্ন এইটা না , প্রশ্ন হচ্ছে কেন ব্যবহার করছে ?
নিজের সত্যিকারের রূপ ঢাকার জন্য ? নাকি , রূপের তীব্রতা বাড়ানোর জন্য । সে যেটাই হোক , তার উদ্দেশ্য কিংবা লক্ষ একটাই , কেউ আমায় দেখে বলে উঠবে মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দর । এই তো ?
মেয়েরা বেশী খেতে পারবে না , কিংবা মোটা হতে পারবে না । কারণ তাহলে তাদের মেদ বেড়ে যাবে , যা দেখতে বাজে দেখায় । তাই তাদের খাওয়াটা মেপে খেতে হবে । আর তারাও নিজেদের স্লিম রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে । আজকাল তো অনেকেই খাবার দেখলেই ভয় পায় । কিন্তু কেন ? সেই একই প্রশ্ন কেউ যাতে তাকে দেখে বলে না উঠে , না মেয়েটা মোটা , একে দিয়ে হবে না ?
মেয়ে দেখতে আসলো ছেলের বাড়ি থেকে , পুরো বাড়ি জুড়ে হই হই কান্ড । মেয়েকে সাজাও । মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত তাকে সাজিয়ে দাও । তাকে আজ দেখবে .....। কেউ কেউ তো এমন কথাও বলে এমন ভাবে সাজাও যাতে তাকে দেখতেই ঝক ঝক করে । এই রকম সাজ দেখেছি কোরবানির গরুর , আর এখন দেখছি নারীর । আবারও সেই একই প্রশ্ন কেন ? যাতে করে তারা তাকে দেখে পচন্দ করে ?
নারী আজ চাকুরী করে , বড় অফিস থেকে ছোট অফিস সকল ক্ষেত্রেই । নারী আজ পুরুষের মতো চলে । কিন্তু তারা কি আজও তাদের অধিকার পেয়েছে , যে অধিকারের জন্য সেই দীর্ঘকাল থেকে নারী লড়াই করে যাচ্ছে ? রাস্তায় প্রায় মেয়ে দেখি , স্কুল-কলেজে যাচ্ছে , আবার কেউ অফিসে । অনেকই বলতে শুনেছি তারা নাকি আজ স্বাধীন । আসলেই কি তাই , নাকি তারা এখনও স্বাধীনতা শব্দটার সাথেই পরিচিত না , স্বাধীনতা কি জিনিস তারা বুজেই না ?
নারী লাস্যময়ী,নারী হাস্যময়ী,নারী রহস্যময়ী। নারী মা,স্ত্রী,কন্যা,বোন,বান্ধবী। তবে এসব পরিচয় ছাড়াও বর্তমান জগতে নারীর আর একটি পরিচয় গড়ে উঠেছে, নারী এখন পণ্য । তার জন্য অনেকেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে দায়ী করছেন । কিন্তু আমি তা দেখছি না । নারীর এই পণ্য হয়ে উঠার পিছনে পুরুষের থেকেও নারীরাই বেশী দায়ী । আসলে তারা সমান অধিকার , স্বাধীনতার চিন্তা করতে করতে , তার পিছে ছুটতে ছুটতে কখন যে পণ্য হয়ে গেলো এই সমাজের চোখে তা নিজেরাই টের পেলো না ।
নারী কে সাজতে হবে , ঢেকে পেলতে হবে তারনিজের রূপ , এমন কথা কে বলেছে , নারী সুন্দর হতে হবে , এমন কথা কে বলেছে । কেউ না । নারী সবার কাছে তাকে ফুটিযে তুলতে গিয়ে সে সাজে , আর এই ভাবেই নারী হয়ে গেছে পণ্য ।
নারী চাকুরী করছে কিন্তু কোন সেক্টরে ,? রিসিপশনে ? কল সেন্টারে ? কিন্তু কেন ? এই পশ্নটা কি কখনও নারী করেছে ? আমি কেন এই কাজ করবো , আমি তো অন্য কাজও করতে পারবো । না তার ওই সবের দরকার নেই । কারণ তাকে চাকুরী করতে হবে । তার সে ওই কাজটাই করছে ।
নারী আজ মডেল , গাড়ী বিক্রয় হবে , সেখানে গাড়ির সাথে একটা মেয়েকে সাঝিয়ে দাড় করিয়ে দেওয়া হলো । কিন্তু কেন ? মেয়েটাকে দেখতে গাড়ির মতো ? নাকি অন্য কিছু ? তা দেখার দরকার নাই , মেয়ে এখন মডেল ।
মেয়েটাকে সাজিয়ে দাও ,ছেলের পক্ষ থেকে দেখতে এসেছে , দেখতে এসেছে ভালো কিন্তু তাই বলে তার মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সাজাতে হবে ? সে যেই ভাবেই সাজুক তাকে কিন্তু নেওয়াই হচ্ছে , স্বামীর সেবা করার জন্য , আর তার কথা মতো চলার জন্য । এমনটাও হয় মাঝে তাকে তার স্বামী কতৃক ধর্ষিত ও হতে হয় । যদিও এই সমাজ তার বধৈতা দিয়েছে । কারণ ও তার স্বামী । আসলে ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করাটাই ধর্ষনের কাতারে পড়ে । আর নারী সেও তা মাথা পেতে নিচ্ছে ।
নারী ও তাদের অদিকার আদায়ের জন্য এতোটাই মরিয়া হয়ে পড়েছে , যে কখন তারা পণ্য হয়ে গেলো , তা নিজেরাই টের পেলো না , আর যখন পেলো , তখন তারা অনেকটা ব্যবহৃত । নারীর পণ্য হয়ে উঠার পিছনে পুরুষ নয় , বেশীর ভাগ দোষটা নারীদেরই ।
নারী তোমাকে আরো সাবধান হতে হবে । কিছু সামগ্রী দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে নয় , তোমার কর্ম এবং দক্ষতা দিয়ে নিজেকে সাজাতে শিখো । নিজেেক আরো গুছিয়ে নেও । না হলে চিরকাল তোমাকে পণ্য হিসেবেই থাকতে হবে । সুন্দর কেবল সাদা আর কালো তে হয়না । সুন্দর হয় কর্মে । যোগ্যতায় । আর তুমি আজ সেটাই ভুলে গেছো ।
নিজের সত্যিকারের রূপ ঢাকার জন্য ? নাকি , রূপের তীব্রতা বাড়ানোর জন্য । সে যেটাই হোক , তার উদ্দেশ্য কিংবা লক্ষ একটাই , কেউ আমায় দেখে বলে উঠবে মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দর । এই তো ?
মেয়েরা বেশী খেতে পারবে না , কিংবা মোটা হতে পারবে না । কারণ তাহলে তাদের মেদ বেড়ে যাবে , যা দেখতে বাজে দেখায় । তাই তাদের খাওয়াটা মেপে খেতে হবে । আর তারাও নিজেদের স্লিম রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে । আজকাল তো অনেকেই খাবার দেখলেই ভয় পায় । কিন্তু কেন ? সেই একই প্রশ্ন কেউ যাতে তাকে দেখে বলে না উঠে , না মেয়েটা মোটা , একে দিয়ে হবে না ?
নারী আজ চাকুরী করে , বড় অফিস থেকে ছোট অফিস সকল ক্ষেত্রেই । নারী আজ পুরুষের মতো চলে । কিন্তু তারা কি আজও তাদের অধিকার পেয়েছে , যে অধিকারের জন্য সেই দীর্ঘকাল থেকে নারী লড়াই করে যাচ্ছে ? রাস্তায় প্রায় মেয়ে দেখি , স্কুল-কলেজে যাচ্ছে , আবার কেউ অফিসে । অনেকই বলতে শুনেছি তারা নাকি আজ স্বাধীন । আসলেই কি তাই , নাকি তারা এখনও স্বাধীনতা শব্দটার সাথেই পরিচিত না , স্বাধীনতা কি জিনিস তারা বুজেই না ?
নারী লাস্যময়ী,নারী হাস্যময়ী,নারী রহস্যময়ী। নারী মা,স্ত্রী,কন্যা,বোন,বান্ধবী। তবে এসব পরিচয় ছাড়াও বর্তমান জগতে নারীর আর একটি পরিচয় গড়ে উঠেছে, নারী এখন পণ্য । তার জন্য অনেকেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে দায়ী করছেন । কিন্তু আমি তা দেখছি না । নারীর এই পণ্য হয়ে উঠার পিছনে পুরুষের থেকেও নারীরাই বেশী দায়ী । আসলে তারা সমান অধিকার , স্বাধীনতার চিন্তা করতে করতে , তার পিছে ছুটতে ছুটতে কখন যে পণ্য হয়ে গেলো এই সমাজের চোখে তা নিজেরাই টের পেলো না ।
নারী কে সাজতে হবে , ঢেকে পেলতে হবে তারনিজের রূপ , এমন কথা কে বলেছে , নারী সুন্দর হতে হবে , এমন কথা কে বলেছে । কেউ না । নারী সবার কাছে তাকে ফুটিযে তুলতে গিয়ে সে সাজে , আর এই ভাবেই নারী হয়ে গেছে পণ্য ।
নারী চাকুরী করছে কিন্তু কোন সেক্টরে ,? রিসিপশনে ? কল সেন্টারে ? কিন্তু কেন ? এই পশ্নটা কি কখনও নারী করেছে ? আমি কেন এই কাজ করবো , আমি তো অন্য কাজও করতে পারবো । না তার ওই সবের দরকার নেই । কারণ তাকে চাকুরী করতে হবে । তার সে ওই কাজটাই করছে ।
নারী আজ মডেল , গাড়ী বিক্রয় হবে , সেখানে গাড়ির সাথে একটা মেয়েকে সাঝিয়ে দাড় করিয়ে দেওয়া হলো । কিন্তু কেন ? মেয়েটাকে দেখতে গাড়ির মতো ? নাকি অন্য কিছু ? তা দেখার দরকার নাই , মেয়ে এখন মডেল ।
মেয়েটাকে সাজিয়ে দাও ,ছেলের পক্ষ থেকে দেখতে এসেছে , দেখতে এসেছে ভালো কিন্তু তাই বলে তার মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত সাজাতে হবে ? সে যেই ভাবেই সাজুক তাকে কিন্তু নেওয়াই হচ্ছে , স্বামীর সেবা করার জন্য , আর তার কথা মতো চলার জন্য । এমনটাও হয় মাঝে তাকে তার স্বামী কতৃক ধর্ষিত ও হতে হয় । যদিও এই সমাজ তার বধৈতা দিয়েছে । কারণ ও তার স্বামী । আসলে ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করাটাই ধর্ষনের কাতারে পড়ে । আর নারী সেও তা মাথা পেতে নিচ্ছে ।
নারী ও তাদের অদিকার আদায়ের জন্য এতোটাই মরিয়া হয়ে পড়েছে , যে কখন তারা পণ্য হয়ে গেলো , তা নিজেরাই টের পেলো না , আর যখন পেলো , তখন তারা অনেকটা ব্যবহৃত । নারীর পণ্য হয়ে উঠার পিছনে পুরুষ নয় , বেশীর ভাগ দোষটা নারীদেরই ।
নারী তোমাকে আরো সাবধান হতে হবে । কিছু সামগ্রী দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে নয় , তোমার কর্ম এবং দক্ষতা দিয়ে নিজেকে সাজাতে শিখো । নিজেেক আরো গুছিয়ে নেও । না হলে চিরকাল তোমাকে পণ্য হিসেবেই থাকতে হবে । সুন্দর কেবল সাদা আর কালো তে হয়না । সুন্দর হয় কর্মে । যোগ্যতায় । আর তুমি আজ সেটাই ভুলে গেছো ।
Comments
Post a Comment