Posts

"ফরেস্ট গাম্প " একটি অনুপ্রেরণার গল্প, একটি মৃত প্রাণকে তাজা করার সিনেমা

Image
হোক কাজ , হোক ভালো লাগা কিংবা স্বপ্নের পথ চলা থেকে , সে যাই হোক সিনেমা দেখা এবং সেটা নিয়ে অন্যের সাথে শেয়ার করতে (ভালো কিংবা মন্ধ সে যাই হোক) আমার ভালোই লাগে । পচন্দের তালিকায় প্রথম জীবন থেকেই , অনুপ্রেরণার গল্প , অনুপ্রেরণা পাবো এমন সিনেমেই  শীর্ষে । সেই সুবাদে "ফরেস্ট গাম্প " দেখা । না এখনই প্রথম না , এর আগেও মোট ৬ বার দেখা হয়েছে সিনেমা খানা । আজ কাল পরশু করে করে লেখা হয় না , জানানো হয় না আপনাদের কে , কেমন লেগেছে ? কেন আপনি দেখবেন কিংবা দেখবেন না !! পরিচালক: রবার্ট জেমেকিস মুক্তিকাল: জুলাই ৬, ১৯৯৪ দৈর্ঘ: ২ ঘণ্টা ২২ মিনিট দেশ: হলিউড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রযোজক: উইন্ডি ফিনারম্যান, স্টিভ তিস, স্টিভ স্টারকি, চার্লস নিউরিথ চিত্রনাট্য: এরিক রুথ, উইনস্টন গ্রুমের ‘ফরেস্ট গাম্প‘ উপন্যাস অবলম্বনে IMDB রেটিং: ৮.৮ (এই আলোচনা লিখার সময় পর্যন্ত ১০,৩০,৯৫৫ জন রেটিং দিয়েছেন।) চলমান সিনেমা : বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ফরেস্ট গাম্প বলতে শুরু করে তার জীবনের গল্প, এবং শুরু হয়ে যায় ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত চলচ্চিত্র রবার্ট জেমেকিস’র মাস্টারপিস “ফরেস্ট গাম্প“। নায়কের নাম অনুযায়ী

লাশের পকেটে হাসি , একজন দিপংকর দীপন , ঢাকা অ্যাটাক আমার দ্বি-দর্শন

Image
প্রথমেই বলে দেই না আমি কোন নাম করা রিভিউ লেখক , না কোন সিনেমা ক্রিটিক্স । তাহলে আমি কে ? ওহ কি ভাবে বলবো সত্যি কথা বলতে আমি নিজেই এই প্রশ্নের উত্তর  খুজচ্ছি । পেয়ে গেলে বলে দিবো । সিনেমা দেখি ভালো লাগে , লিখি তাও ভালো লাগে , আসলে আমার সবই ভালো লাগে , যা আমি করি । মূল কথায় আসি । শুরুতেই একটু টাইটেল বয়ান : সিনেমাতে সব থেকে জোর দিয়ে যে ডায়লগটা দেওয়া হয় , তা হলো লাশের পকেটে হাসি , তাই ডায়লগ খানা আমি চুরি করেছি । ছবিটির পরিচালক দিপংকর দীপন ভাই , ব্যাক্তিগত ভাবে পছন্দের মানুষ না এই মুভির কারণে না , এমনতিই । জ্বি না ওনার সাথে আমার কোন হট কানেশন নাই এমন কি কোন  সেলফি পর্যন্ত নাই , ইহাতে আমার একটু অনিহা আছে । আর দ্বি-দর্শন বলতে এইখানে আমার ছবি দেখাকে বুঝিয়েছি । মানে আমি এই মুভি খানা দুইবার দেখেছি । প্রথম দিন আর সপ্তাহের শেষ দিন । এই হলো টাইটেল সমাচার । এই বার চলুন মুভির ভিতরে ঢুকি : চলমান সিনেমা : ক্যামিকেল ল্যাব থেকে কিছু সাধারণ ক্যামিকেল চুরি , কিন্তু তার জন্য খুন হয় কয়েকজন মানুষ । কারণ কি ? স্কুল বাসে বোমা বিস্ফরণ , ক্যামিকেল চুরির সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের খুন । পুলিশ খুজতে থাকে খু

হারিয়ে ফেলা দিন গুলো নতুন করে পাওয়ার চেষ্টায়

Image
আজকাল আর কোকিলের ডাক শুনি না । কিংবা শুনার পর ওটা নিয়ে চিন্তার মাঝেও হারিয়ে যাই না । ধান ক্ষেত কিংবা কাশফুল দেখে বসে পড়ি না , বহু দিন হলো ডায়রি লিখা হয় না । এখন কম্পিউটার আর ফেইসবুকের টাইমলাইনে লিখেই সময় কাটাই । কিন্তু বহু দিন পর আর আবার মনে হলো না , যাই করি না কেন , ডায়রি লিখার তৃপ্তি টা পাচ্ছি না কোথাও । ভেবেছিলাম ঈদের পর থেকেই শুরু করবো । কিন্তু সময় হয়ে উঠেনি । কিন্তু আজ মনে হচ্ছে আর দেরি করা যাবেনা । আমি ডায়রি লিখতে ভালোবাসি । ভালোবাসি পকৃতি দেখে তার কথা ভাবতে ভাবতে কয়েক  পাতা লিখতে । আমি কেন ডায়রি লিখি ? আমি ডায়রি লিখি কারণ , ডায়রি লিখলে মন ভালো থাকে । নিজের এমন কিছু কথা থাকে যা কারোর সাথে শেয়ার করা যায় না । আবর ওই গুলো নিজের ভিতর রাখলেও কষ্ট বেড়ে যায় । আমি তাই ডায়রি লিখি , যে কথা গুলো কাউকে বলা যায় না , আমি সেই কথা গুলো ডায়রির সাথে বলি । আমি ডায়রি লিখি কারণ , আমি বিগত দিনে কি করেছি , আর আগামী দিনে কি করবো ওই হিসাব টা রাখার জন্য , তাতে করে প্রতিদিন দেখা যায় , আমি আমার স্বপ্নের পিছে কতোটুকু সময় দিচ্ছি ? আর কতটুকু ভালো কাজ করছি । আমি ডায়রি লিখি কারণ : বলতে পারেন সে আমার

প্রথমত ছাত্র হয়ে যাও

শিখার জন্য বড় কিছুর প্রয়োজন হয় না , অনেক ছোট ছোট বিষয় থেকেও বড় কিছু শিখা যায় । আজ তেমন ই একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো । আমার একটি প্রচলিত অব্যাস ছিল মন খারাপ থাকলেই চলে যেতাম রমনায় । কোন একটা গাছের নিছে বা লেকের পাড়ে বসে কিছুটা সময় কাটাতাম , আবার মনের কিছু পরিবর্তন হলে বাসায় ফিরে আসতাম । প্রতিদিন ই একজন লোককে দেখতাম চুপচাপ বসে কি যেন ভাবেন । কখনোই কিচু জিজ্ঞাস করিনি। আজ মনটা বেশ খারাপ তাই পরিচিত সেই স্থানটায় যাওয়ার জন্য মনটা বেশ উঠেপড়ে লেগেছে । যেই ভাবনা সেই কাজ চলে আসলাম সেই স্থানে । আজও সেই লোকটার সাথে দেখা । ঠিক একই জায়গায় বসে আছে । আমি লোকটার পাছে গিয়ে বসলাম । আমিও ওনার মতই চুপচাপ বসে রইলাম । এবং ওনার দৃষ্টি কোনদিকে সেই বিষয়টা বের করার চেষ্টা করছি । দেখলাম লোকটি সামনের একটি গাছের দিকে তাকিয়ে আছে । কিছুই বের করতে পারলাম না । কি ব্যাপার তুমি আমার দৃষ্টি বের করার চেষ্ট করছো ? ( খুব ছোট করে লোকটি প্রশ্ন করলো ) আমিতো অবাক ! কি ব্যাপার ওনি কি করে বুঝলেন । আমি ছোট করে উত্তর দিলাম হ্যাঁ । তোমার মন খারাপ ? কিছু নিয়ে চিন্তিত ? আপনি কি করে বুঝলেন? তোমার চেহারা দেখে বুঝলাম । তোমার

আত্মহত্যাই কি ব্যর্থতার একমাত্র সামাধান : ব্যর্থতা, চেষ্টা এবং সফলতার এক অদ্ভুত বাস্তবিক মিশেল

Image
কখনই পতন আবার কখনই উত্থান এইতো জীবন । কিন্তু শেষ কয়েকদিন এতো পরিমাণ মানুষের মৃত্যু খবর পেয়েছি তাতেও সমস্যা ছিলো না , যদি না মৃত্যুগুলো  স্বাভাবিক মৃত্যু হতো । বেশীর ভাগই গলায় ফাঁস কিংবা বিষ পানে । আপসুস তাদের জন্য , যারা জীবনের ভয়ে , হেরে যাওয়ার ভয়ে মৃত্যুকে বেচে নিয়েছে । জানি আমার এই লেখায় , এর সংখ্যা কমবে না , তারপরও বলবো , সত্যি তারা বড্ড বেশী বোকা ছিলো । যাই হোক , এ যাবৎ কালে প্রাপ্তি বলতে আপনাদের কিংবা সফলতার গ্রামার খুজে যা পেয়েছি , সেই হিসেব অনুযায়ী আমি ব্যর্থদের দলের একজন । তবে আমার কাছে তা মনে হয়নি , কারণ আমি চেষ্টা করছি এবং করছি । তারাই মরে যারা চেষ্টা করে না । মুলত ততদিন আপনি মরবেন না ,যতদিন না , আপনি আপনার কাংক্ষিত বস্তু কিংবা স্থান না পাবেন । পাওয়ার পরে মরার চিন্তা করতেই পারেন কারণ তখন আপনার আর চাওয়ার কিছুই নেই । কিন্তু আজকাল যারা মরছে তাদের সবাই না পাওয়ার কারণেই মরছে । কেন জানি না তাদের জন্য মায়া হয়না , কেবল আপসুস হয় কারণ বেচে থাকলে তারা হয়তো অনেক কিছুই করতে পারতো ।  কিংবা চেষ্টা করতে ভয় পায় । নেশা বলতে স্বপ্ন দেখা , তার পিছে ছুটে চলাটাই প্রধান নেশা । সেই সাথে বই পড়া এম

প্রচারই প্রসারের মূলমন্ত্র , আমাদের ই-কর্মাস মার্কেটিং

Image
শেষ কয়েকদিনে সব থেকে নজরে পড়া পোষ্ট গুলোর মধ্যে , একটি হলো , আমার পেইজ বুষ্ট করতে হবে , অভিজ্ঞরা যোগাযোগ করুন । ২য় : প্রতিটা দিন এতো ডলার বুষ্ট চলছে , কিন্তু অডার আসছে না । চলুন একটু আলোচনা করে আসি : টপিক ২ - প্রথম টপিক বাদ দিলাম শেষে বলবো , আর এমনটাও হতে পারে যে বলবো না । যাই হোক কথায় আসি । যেকোন বিষয় , প্রচার ছাড়া প্রসারিত হয় না । প্রচারই প্রসারের মূল মন্ত্র । এইবার সেটা নেগেটিভ কিংবা পজেটিভ যাই হোক । আপনাকে প্রচার করতেই হবে । তার উদাহরণ , হিরু আলম । বাকিটা আপনারা বুঝে নেন । এখন আপনার পণ্য আছে সেটা না জানালে কেউ জানবে না , আর না জানলে কিনবে না এটাই স্বাভাবিক । আবার একটা সমস্যাও আছে , সারা দিন পণ্য নিয়ে বক বক করলেও পাবলিক চাপাবাজ বলবে , তাহলে উপায় ? বিষয়টা ওখানেই , কিছুদিন আগে একটা পোষ্ট দেখলাম , ওনি প্রতিদিন ৩০ ডলার করে বুষ্ট করছেন , লাইক শেয়ার সবই আসছে কিন্তু সেল আসছে না । যেহেতু , লাইককমেন্টস , শেয়ারে টাকা নাই , সুতরাং তার লাভও নাই । ওনার দরকার সেল । হ্যাঁ সেল আসবে , যদিও সেটা নিজ থেকে আসে না , আপনাকে নিয়ে আসতে হবে । যেহেতু আপনার কোম্পানী প্ল্যান সর্ম্পকে জানি না , তাই মার্ক

আমাদের ই-কর্মাস , পর্ব- ০১

Image
কিছু কিছু শব্দ দেখতে ছোট কিংবা অল্প জায়গা নিয়ে অবস্থান করলেও , ক্ষমতার দিক থেকে সমান ভাবে অধিকার নিয়ে থাকে । যেমনটা কর্মাসের আগে বসা ই । হ্যাঁ আমি ই-কর্মাসের কথাই বলছি । দেখতে ছোট মনে হলেও  "ই" এর ক্ষমতা কিংবা প্রয়োগ কিন্তু সমান । আপনাকে যতটা কর্মাস বুঝতে হবে , ততটাই "ই" বুজতে হবে । যতটা কর্মাসের প্রয়োগ হবে ততটাই "ই" এর প্রয়োগ হবে । e-Commerce = Not Only just  Commerce , e-Commerce = Electronic Commerce  প্রথমেই বলে দেই দার করা জ্ঞানে ব্যবসা হয় না ,  আমি ব্যবসা করবো , একটা নাম চাই ফ্রান্স , আমি ব্যবসা করতে চাই কি পণ্য নিয়ে করবো বুদ্ধি চাই ফ্রান্স , এই টাইপ পোষ্টের সংখ্যা অনেক । আর অনেকের মতে ই-কর্মাস একটি সহজ ব্যবসা , ঘরে বসেই করা যায় , পাশের বাসার ভাবি করছে তাই আমিও করবো , আমার বউ অনেক কসমেটিক কিনে , তাই চিন্তা করলাম একটা কসমেটিক এর শপ খুলি । স্বপ্ন দেখা ভালো , কিন্তু তাই বলে তাই বলে যে না জেনে না বুজে স্বপ্ন দেখবেন , এবং নেমে পড়বেন , তাহলে নেহাত লসের মুখে পড়তে হবে । আবার একই ভাবে , ওনি একজন ভালো ব্যবসায়ী , ওনার ব্যবসা জ্ঞান অনেক বালো , কিন্তু ই-ক

প্রসংঙ্গ সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য..

পর্ব-০১ জয় তেতুলের জয় , জয় রাতের আধারের জয় । এই দেশে ভাস্কর্য থাকলে সমস্যা , এই দেশে প্রেম করলে সমস্যা , এই দেশে সুধ দেওয়া জায়েজ , এই দেশে ঘুস খাওয়া জায়েজ , এই দেশে ধর্মকে পুজি করে ব্যবসা কিংবা ক্ষমতায় যাওয়া জায়েজ । জয় আমার সোনার বাংলার জয় । হুমায়ন আজাদের কয়েকটি লাইন ... মসজিদ ভাঙে ধার্মিকেরা, মন্দিরও ভাঙে ধার্মিকেরা, তারপরও তারা দাবি করে তারা ধার্মিক, আর যারা ভাঙাভাঙিতে নেই তারা অধার্মিক বা নাস্তিক।.......... হুমায়ুন আজাদ সারা দিন , নেশা , আর রাতের আধারে নারী শরীরের উপর ঝাপ দেওয়া , আর মুখে আমি মুসলিম , আমি ধার্মিক বলে চিৎকার করে বেড়ানোর অভ্যসটা আমাদের আজও গেলো না । পর্ব : ০২ গত কাল সারা দিন একটা অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ছিলাম । গেইট থেকে কনফারেন্স রুম পর্যন্ত যাওয়ার জন্য ৭ বার পুলিশী জিজ্ঞাসার মুখে পড়তে হয়েছে । একটা সময় মনে হলো না , আমি সুপ্রিম কোর্ট নয় , আমি আছি দেশের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতর , নাকি পুরান ঢাকার কারাগারটাকে এই সুপ্রিম কোর্ট প্রঙ্গনে স্থানান্তর করা হয়েছে ? না তেমন কিছুই না । এই খানে রাতের আধরে , তেতুল পক্ষের নির্দেশে , আমাদের সরকার , আমাদের প্রশাসন এ

জ্বি আমি দর্ষক ,ধর্ষক নই !! তবে সবার মতো নয় ।

লিখবো না , কিন্তু তারপরও লিখা হলো । লিখবো না , কারণ যেখানে সেনানিবাস এরিয়াতে ধর্ষণ হয় তার কোন বিচার হয় না । যেখানে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে বাবা-মেয়ে ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করে , সেখানে লিখে লাভ কি ? যেখানে সাগর-রুনি হত্যার বিচার নেই , এখন তো মনে হয় ওরা ও প্রেমে চ্যাকা খেয়ে আত্মহত্যা করেছে । কিন্তু না , তাদের খুন করা হয়েছে । কিছুই হয় নি আর হবেও না , হয়তো । যেখানে ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতালের জন্ম নিলেও , ভুল চিকিৎসা কিংবা চিকিৎসার অভাবে স্বর্ণাদের মতো শিশুর মৃত্যু হয় । যখন নির্মলেন্দু দা তার ক্ষোভ ঢেকে রাখতে না পেরে লিখেন, মা স্বর্ণা-তুই আমাদের ক্ষমা করিস না। সত্যি বলছি তখন আর ইচ্ছে করে না লিখতে । , এই খানে , আরো অনেক কিছু হয় কিন্তু আবার এই খানেই ভালো কিছু ও হয় । লিখছি ওই কারণেই , কারণ , যখন একটা নরপশু ধর্ষণ করলে , হাজারটা মানুষ জেগে উঠে , তাই । লিখছি এই কারণেই , যখন কোন যুবক অফিস শেষ করে রাস্তায় দাড়িয়ে বাবা-মেয়ের হত্যার বিচার চায় ওই কারণে । লিখছি এই কারণে , যখন দেখি অনেকেই পরিবর্তন হতে শুরু করেছে , তখন আশা জাগে । সত্যি কোন রিকশা ওয়ালা ভুল করলে আরেকজন যখন তাকে ভূল ধরিয়ে দেয় , তখ

কুড়িয়ে পাওয়া কথা , আর একটি অজ্ঞাত চিঠি ।।

শোন প্রিয়জন , শূরুটা একটু অন্য রকম হলো তাই না ? আসলে কি অনেক দিন হলো লিখি না তো তাই , ভালো থাকাটা নিজের উপর তো , আশা করি ভালোই আছো । বুকের ব্যাথা টা তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে । দিন দিন কেমন জানি একটা হয়ে যাচ্ছি । একগেয়ে জীবন পার করছি । কাছের মানুষ গুলো দুরে আর দুরের মানুুষ গুলো আরো দুরে হারিয়ে যাচ্ছে । নিজের মধ্যে থেকে নিজেকেও হারিয়ে ফেলছি । মনে হচ্ছে বুকের ভিতর কিছু বাড়তি যন্ত্রংশ পড়ে আছে , রিকশা কিংবা বাসে উঠলে , ঝাকুনির সাথে সাথে ভিতরটা কেমন যেন নড়ে উঠে । আজ কাল অল্পতেই ভয় পাই । কোথায় যেন সাহসেরা মুখ লুকিয়েছে । রুতে ঘুমাইনা , যদি না আর উঠতে পারি , যদি না সুন্দর সকালটা দেখতে পাই । দিন দিন অদ্ভদ এক যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি । কোন কাজ নেই , কোন চিন্তা নেই । না এইটা মিথ্যা বলা হবে , চিন্তা আছে , অনেক চিন্তা । এই সুন্দর পৃথিবীটা ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা হয় , চিন্তা হয় টং দোকানের চায়ের কাপের সেই আড্ডা গুলোর কথা মনে পড়তেই । কি করবো , এখন আর তো আড্ডা হয় না । সবাই নিজেদেরে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে । বিশ্বাস করো আমি কোন দিন ও চাই নি , সম্পর্কটা এমন রূপ নিক । তারপরও হয়ে গেছে , হয়তো আমার ভুল ছিলো , না হয়