Posts

আমার দেখা সেরা ছবি : “A Beautiful Mind "

Image
লেকাচার চলছে , বিশ্ববিদ্যালয়ের  এক জন অধ্যাপক জীবনের লক্ষ নিয়ে কথf বলছেন , শিক্ষার্থীদের মাঝে বড় বড় স্বপ্নের কথা বলছেন । শুরুটা ঠিক এইভাবেই হয়েছিলো । আমি বলছি “A Beautiful Mind ছবির কথা বাংলায় অর্থ করলে দাড়ায় একটি সুন্দর মন । আমার দেখা সেরা অণুপ্রেরণা মূলক একটি ছবি । ২০০১ এ ছবিটি মুক্তি পায় , এবং একই সালে ছবিটি চারটি ক্ষেত্রে একাডেমি পুরষ্কার জিতে - সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা পরিবর্তিত চিত্রনাট্য এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী। পরিচালক রন হাওয়ার্ড , ১৯৯৮ সালের পুলিৎজার পুরষ্কার পাওয়া সিলিভিয়া নাসার একই নামের উপন্যাস অবলম্ভনে ছবিটি নির্মান করেন । সিলিভিয়া নাসার উপন্যাসটিও বেস্ট সেলিং উপন্যাসের খোতব অর্জন করে । সিলিভিয়া নাসা উপন্যাসটি লিখেন লোবেল পুরস্কার বিজয়ী গনিতবিদ জন ণ্যাশের জীবন থেকে । ছবির মুল চরিত্র মানে জন ন্যাশের চরিত্রে অভিনয় করেন অস্ট্রেলীয় অভিনেতা ও গায়ক রাসেল ক্রো । অ্যালিসিয়া নামক মেয়েটি জন ন্যাশ ( রাসেল ক্রোর স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন , আরো অনেক পার্শ্ব চরিত্র রয়েছে ছবিটিতে । জন ন্যাশ , পিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন গনিতবিদ্যার উপর । তার চিন্তায় স

বাংলাদেশে ই-কমার্স

Image
 ই-কমার্স কি?  উইকিপিডিয়া থেকে জানা জায়, ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই-কমার্স বা ই-বানিজ্য একটি বানিজ্য ক্ষেত্র যেখানে কোন ইলেকট্রনিক সিস্টেম (ইন্টারনেট বা অন্য কোন কম্পিউটার নেটওইয়ার্ক) এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়/ বিক্রয় হয়ে থাকে। আধুনিক ইলেকট্রনিক কমার্স সাধারণত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর মাধ্যমে বানিজ্য কাজ পরিচালনা করে। এছাড়াও মোবাইল কমার্স, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ও অন্যান্য আরো কিছু মাধ্যম ব্যবহৃত হয়।  এবার আসা যাক সাধারণ সংজ্ঞায়। আমাদের কাছে এখন ই-কমার্স শব্দটি বেশ পরিচিত। আমরা সাধারণত ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন পণ্য কেনাকাটা করাকেই ই-কমার্স বলে থাকি। ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা (B2B), ব্যবসা-থেকে-গ্রাহক (B2C), ব্যবসা-থেকে-সরকার (B2G), গ্রাহক-থেকে-গ্রাহক (C2C), মোবাইল কমার্স (m-commerce) ইত্যাদি নানাণ প্রকারভেদ রয়েছে এই ই-কমার্সে। তবে বাংলাদেশে ই-কমার্স নতুন শুরু হওয়ায় বর্তমানে ব্যবসায়-থেকে-গ্রাহক  (B2C) পদ্ধতিটিই সাধারণত প্রচলিত রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স  উন্নত বিশ্ব যখন ই-কমার্স ব্যাবসায় মেতে উঠেছে , তখন তাদের সাথে তাল মিলিয়ে এক

এক অদ্ভুদ প্রেম

ঈষিতা কে দেখেলেই কেমন জানি আমি সব গুলিয়ে ফেলি। এটা কেন হয় তার আজও কোন ব্যাখ্যা বের করা আমার পক্ষে সম্ভব হয় নি। প্রথম থেকেই ভুল হয়ে আসছে। আজও তার ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়ছে , সাহাবাগের রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ঈষিতা। আমাদের গাড়িটা ঠিক তার বরাবর এসেই থামলো চোখে চোখ পড়তেই আমি আমি চোখ ঘুরিয়ে নিলাম । যখন আমার মাথায় আসলো এটা ঠিক হয়নি তখন আবার ঘুরে তাকেতেই আরেকটা গাড়ি এসে ইষিতাকে ঢেকে দিল আর দেখতে পেলাম না ।ভাবতে লাগলাম ঈষিতা কি আমায় দেখেছে ? না দেখেনি। কারণ দেখলে ও নিশ্চয় আমাকে ডাক দিত। আমি এমন কেন ভাবছি? আমিতো ওকে দেখেছি কই আমি তো ডাক দেইনি? হয়ত তাই ও আমাকে ডাকে নি। আর তাছাড়া আমিতো ওকে দেখেই মুখ ঘুরিয়ে নিলাম । এখন ও কি ভাববে । আর এখন আমার কি করার উচিত। আমার মাথায় না সহজে কোন কিছুই আসতে চায়না । যাকে ভালবাসি তাকে দেখে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া এটা কেমন আচরণ ? নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেছি। আমার সাথে তো ওর কোন ঝগড়া হয়নি । তাহলে ?  না ওর কাছে যাওয়াটা আমার উচিত। এই যুগে এই ভাবে প্রমিকাকে কি একা একা পাওয়া যায় ? কত রতম কায়দা করে একটু সময়ের জন্য আসে তাও আবার কেউ দেখে পেলার ভয় কাজ করে স

অদ্ভুদ প্রাণী আমরা

Image
ক্লান্ত দুপুর । মাথার উপর সূর্যটা খুব জেগে আছে, আজ তার তাপের কোন কমতি নেই । পকেটে তেমন কোন টাকা নেই যে বাস কিংবা সি এ জিতে করে বাসায় ফিরবো। অনেকক্ষণ হাটাহাটির পর ক্লান্ত হয়ে পার্কে বসতে না বসতেই একখানা হাত। পিছন থেকে বাড়িয়ে দিল আমার দিকে , ছোট করে একটা শব্দ করলো বাবা কয়টা টাকা হবে ভাত খাবো ? খুব ক্লান্ত শুনাচ্ছে কন্ঠটাকে ,মুখটা ঘুরিয়ে পিছনে তাকালাম । মুখটা খুব শুকনো, দেখতে কেমন রোগা রোগা চেহারা। আমার কাছে তো তেমন টাকা নেই ১০ টা টাকা আছে এতে আপনার ভাত খাওয়া চলবে? এই প্রশ্ন করাতে লোকটা কোন শব্দ না করেই চলে যেতে চাইলো। ডাক দিলাম । দাড়ালো। এই দিকে আসেন । কি ব্যাপার বলুনতো , টাকা চাইলেন , আর এখন না নিয়েই চলে যাচ্ছেন কেন? টাকা কি কম হয়ে গেল নাকি? না বাবা আমি অন্য কারো কাছ থেকে চেয়ে নিবো এটা তোমার কাছেই থাক। কেন অন্য কারো কাছে চাইবেন কেন? না তোমার কাছেই তো আর টাকা নেই , তুমি যদি টাকা টা আমায় দিয়ে দাও তাহলে তুমি চলবে কি দিয়ে। ভাত খাবেন তো চলেন আমার সাথে । কোথায় ? ওইখানে আমার এক পরিচিত দোকান আছে । আমার ও খাওয়া হয়নি , দুজনে এক সাথে খাবো। পরে এসে আমি টাকা দিয়ে যাবো। লোকটিক সা

কি হতে পারে আমার লেখার বিষয় বস্তু ?

Image
আ জ কয়েক দিন ধরেই ভাবছি একটা নতুন কাহীনি নিয়ে লিখবো। কিন্তু কি নিয়ে লিখবো সেটাই খুজে পাচ্ছি না। আমি সম্পূর্ণ কাহিনী কিংবা বিষয় বস্তু আগে ভেবে ঠিক করে নিতে পারি না। একটা কোন দৃশ্য চোখে ভাসে অথবা মনে পড়ে কোন একটা চরিত্র-সেখান থেকে শূরু করি।তারপর দুপুরবেলার আকাশে ভাসমান চিলের মতন গল্প যেখানে খুশি যায়। এবার প্রথম ভাবছি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে লিখবো। লেখা উচিত, কিন্তু এই বিশাল কথা লেখার মতন ক্ষমতা আমার নেই। সে রকম ভাষা সআমি এখনও শিখিনি। তাছাড়া ও সব দেখলে লিখতে ইচ্ছে করেনা , প্রচন্ড রাগ হয়। মনে হয় সমস্ত পৃথিবীর দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকাই। কিন্তু ঘৃণা বা ক্রোধ থেকে সাহিত্য হয় না। ভালোবাসা ও করুণাই সাহিত্যের অবলম্বন। আবার ভাবি না একটা রোমান্টিক টাইপের কিংবা কারো জীবন নিয়ে গল্প লিখা শুরু করি । এটা হতে পারে আমার জীবন নিয়েও। তবু ঠিক পচন্দ হয় না । একটা উপন্যাস কোন জায়গা থেকে শুরু হবে এবং কোথায় শেষ হবে তা আমি আজও জানি না । যেখানে শেষ হয় তার পর কি আর কিছু নেই ? কিংবা যেখান থেকে শুরু তার আগেও কি জীবনের অনেক কথা বাকি থাকে না? বেশ কয়েকয়েক দিন এই ভাবনাই দিন পার করছি, কল

আমি ধর্ষক নই

Image
কিছু দিন আগে বাড়ি যাওয়া জন্য বাসের জানালার পাসে একটা সিট বেছে নিলাম , আর আমার পাশের সিটটা খালি একটা যুবতি মেয়ে এসে জিজ্ঞাস করলো ভাইয়া সিটে কি কেউ আছে , সংক্ষিপ্ত উত্তর না, মেয়েটি বসে পড়লো , প্রথমে খুব জড়সড় হয়ে বসলাম যেন উনার শরীরে আমার দেহের কোন অংশ না লাগে আবার তিনি কি ভেবে বসেন আবার  । মেয়েটা কি ভেবে যেন দুজনের মাঝখানে উনার ব্যাগটা রাখলেন আর আমিও তাতে বাধা দিলাম না কারণ উনি বোধ হয় নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য এই পন্থা ব্যবহার করেছেন । পুরো রাস্তা অল্প একটু জায়গায় কোন মতে নিজে জড়সড় করে বসে পার করলাম এর পাকে উনি কার সাথে জেন কথা বললেন আর তারপর ঘুম, বাসটি আমার গন্তব্যে এসে পৌছায় আর আমি নামার জন্য উনাকে ডাক দিলাম , তাতে উনা র ঘুম ভাঙ্গলো আর জেগে উঠে জয়গা দিলেন আর ছোট করে করে ধন্যবাদ , জিজ্ঞাস করায় জানতে পারলাম উনার ব্যাগ পাহারা দেওয়ার জন্য, কিছুদিন আগে নাকি এভাবে ঘুমিয়ে যাওয়ায় উনার ব্যাগটা চুরি হয়ে গেছে।  কেউ যখন আমার উপরে র্নিভর করে অথবা আমাকে নিরাপদ ভাবে তখন আমার ভাল লাগে। সেই মানুষটি ছেলে কি মেয়ে তাতে যায় আসে না। এমন কি কোন পশু পাখিও যখন আমাকে নিরাপদ ভাবে তখন কেন জান

নগ্নতাই আমাদের পছন্দ

Image
জীবনের প্রথম সময়টা কাটালাম নগ্ন অবস্থায় অথচ আজ নগ্ন দেখলে নাক ছিটকিয়ে এমন অবস্থা করি যেন কোনদিন আমরা নগ্ন ছিলাম না।  তার পরও যখন আমরা নগ্ন হই নিজ স্বার্থে তাতে কোন সমস্যা হয়না কেউ আমাদের নগ্ন বললেই তাতে দোষ হয়ে পড়ে। এখন আমার প্রশ্ন নগ্নতা তো নগ্নতাই তার কোন প্রকার ভেদ আছে কিনা যদি কার ও জানা থাকে অবশ্য আমায় একটু জানাবেন কেমন। এক সময় আমরা নিজেদের প্রয়োজনে নগ্নতা থেকে প্রথমে পাতা,তারপর কাপড় দিয়ে নিজেদের দেহ ঢেকে ছিলাম, এখন আবার নিজেদের প্রয়োজনে ধীরে ধীরে নগ্ন হয়ে যাচ্ছি । আমরা কি আবার সেই পৃথিবীর জন্ম যুগে ফিরে যাচ্ছি নাতো ? নাকি নগ্ন থাকাই আমাদের অভিরুচি । আমরা নগ্নতাকেই পছন্দ করি, হতে পারে সেটা জন সম্মুখে কিংবা সেটা লোক আড়ালে ,তবে এটাই সত্য যে আমরা নগ্ন তাকে পছন্দ করি।