অদ্ভুদ প্রাণী আমরা
ক্লান্ত দুপুর । মাথার উপর সূর্যটা খুব জেগে আছে, আজ তার তাপের কোন কমতি
নেই । পকেটে তেমন কোন টাকা নেই যে বাস কিংবা সি এ জিতে করে বাসায় ফিরবো।
অনেকক্ষণ হাটাহাটির পর ক্লান্ত হয়ে পার্কে বসতে না বসতেই একখানা হাত। পিছন
থেকে বাড়িয়ে দিল আমার দিকে , ছোট করে একটা শব্দ করলো বাবা কয়টা টাকা হবে ভাত খাবো ?
খুব ক্লান্ত শুনাচ্ছে কন্ঠটাকে ,মুখটা ঘুরিয়ে পিছনে তাকালাম । মুখটা খুব শুকনো, দেখতে কেমন রোগা রোগা চেহারা।
আমার কাছে তো তেমন টাকা নেই ১০ টা টাকা আছে এতে আপনার ভাত খাওয়া চলবে?
এই প্রশ্ন করাতে লোকটা কোন শব্দ না করেই চলে যেতে চাইলো। ডাক দিলাম । দাড়ালো।
এই দিকে আসেন । কি ব্যাপার বলুনতো , টাকা চাইলেন , আর এখন না নিয়েই চলে যাচ্ছেন কেন? টাকা কি কম হয়ে গেল নাকি?
না বাবা আমি অন্য কারো কাছ থেকে চেয়ে নিবো এটা তোমার কাছেই থাক।
কেন অন্য কারো কাছে চাইবেন কেন?
না তোমার কাছেই তো আর টাকা নেই , তুমি যদি টাকা টা আমায় দিয়ে দাও তাহলে তুমি চলবে কি দিয়ে।
ভাত খাবেন তো চলেন আমার সাথে ।
কোথায় ?
ওইখানে আমার এক পরিচিত দোকান আছে । আমার ও খাওয়া হয়নি , দুজনে এক সাথে খাবো। পরে এসে আমি টাকা দিয়ে যাবো।
লোকটিক সাথে নিয়ে চলে গেলাম , পরিচিত সেই ভাতের হোটেলে । সবাই আনুর ভাতের হোটেল বলেই চিনে। দোকানের প্রথম মালিক বেচে নেই , এখন তার ছেলেরাই দোকান টা চালায় আনু তাদের বাবার নাম ।
ভতের অর্ডার করা হলো । ভাত চলে আসলো সামনে । পেটে প্রচন্ড খিদে আমি খাওয়া শুরু করলাম , হঠাৎ দেখি লোকটা ভাত খাচ্ছে না । হাত দিয়ে ভাত গুলো নাড়াচাড়া করছে আর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ।
কি হল আপনি খাচ্ছেন না কেন ।
খাবো বাবা আজ ২ দিন পর খাচ্ছি তো তাই খাবার গুলুকে একটু ভালো করে দেখে নিচ্ছি।
আচ্ছা ঠিক আছে খেয়ে নিন।
আমার খাওয়া প্রায় শেষ কিন্তু ওনি এখনও খাওয়াই শুরু করে নি। আবার জিজ্ঞাস করলাম কি হলো খাবেন না , খেয়ে নেন। তাতে কোন ফলাফল পাওয়া যায় নি ।
আপনি কে বলুন তো ?
বুঝলাম না বাবা?
আপনি কে ? কোথায় থাকেন ?
আমি এক বাবা। আর আমি কোথায় থাকি যাবে?
হ্যাঁ যদি নিয়ে যান।
চল এই বলে লোকটা আমাকে নিয়ে একটা বড় বাড়ির সামনে দাড়ালো। জিজ্ঞাস করলাম এইখানে কি?
এইখানেই আমার ছেলেরা থাকে । আর ওই যে দেখছো দোকান টা ওটা একদিন আমার ছিল। ওই টাকা দিয়েই চলতো আমাদের সংসার। আমি আমার স্ত্রী আর আমাদের দুই ছেলে আর এক মেয়ে । খুব সুখেই ছিলাম । কপালে সুখ সইলো না। ভেবেছি ছেলেদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবো , ওরা ভাল চাকুরি করবে আর সব মানুষের মত আমিও একটু অবসর নিবো। ওদের মানুষ করাতে গিয়ে দোকান টা ছাড়তে হলো । ছেলেমেয়েরা মানুষ হল,মেয়েটার বিয়ে হল,এখন ওরা নিজেদের জীবন সাজাতে ব্যস্ত ! যেটুকু সহায়সম্বল ছিল সন্তান আর মানুষের পিছে শেষ করেছি নিজের বলে কিছুই রাখিনি । একদিন ওদের মা আমাকে ছেড়ে চলে গেল । ছেলেরাও বিয়ে করেছে । ওদের বাড়িতে আমার থাকার মত কোন রুম নেইতো তাই আমি পার্কে কিংবা রাস্তার দ্বারে শুয়ে পড়ি । কথা গুলো বলছে আর চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি বেয়ে পড়ছে।
পৃথিবীর এই মানুষ নামক প্রানীরা বড়ই স্বার্থপর রক্ত মাংস সব চুষে খেয়ে ছুড়ে ফেলে দিবে হাড্ডিযুক্ত খোলসটাকে,,,,,,,,!
থেকে বাড়িয়ে দিল আমার দিকে , ছোট করে একটা শব্দ করলো বাবা কয়টা টাকা হবে ভাত খাবো ?
খুব ক্লান্ত শুনাচ্ছে কন্ঠটাকে ,মুখটা ঘুরিয়ে পিছনে তাকালাম । মুখটা খুব শুকনো, দেখতে কেমন রোগা রোগা চেহারা।
আমার কাছে তো তেমন টাকা নেই ১০ টা টাকা আছে এতে আপনার ভাত খাওয়া চলবে?
এই প্রশ্ন করাতে লোকটা কোন শব্দ না করেই চলে যেতে চাইলো। ডাক দিলাম । দাড়ালো।
এই দিকে আসেন । কি ব্যাপার বলুনতো , টাকা চাইলেন , আর এখন না নিয়েই চলে যাচ্ছেন কেন? টাকা কি কম হয়ে গেল নাকি?
না বাবা আমি অন্য কারো কাছ থেকে চেয়ে নিবো এটা তোমার কাছেই থাক।
কেন অন্য কারো কাছে চাইবেন কেন?
না তোমার কাছেই তো আর টাকা নেই , তুমি যদি টাকা টা আমায় দিয়ে দাও তাহলে তুমি চলবে কি দিয়ে।
ভাত খাবেন তো চলেন আমার সাথে ।
কোথায় ?
ওইখানে আমার এক পরিচিত দোকান আছে । আমার ও খাওয়া হয়নি , দুজনে এক সাথে খাবো। পরে এসে আমি টাকা দিয়ে যাবো।
লোকটিক সাথে নিয়ে চলে গেলাম , পরিচিত সেই ভাতের হোটেলে । সবাই আনুর ভাতের হোটেল বলেই চিনে। দোকানের প্রথম মালিক বেচে নেই , এখন তার ছেলেরাই দোকান টা চালায় আনু তাদের বাবার নাম ।
ভতের অর্ডার করা হলো । ভাত চলে আসলো সামনে । পেটে প্রচন্ড খিদে আমি খাওয়া শুরু করলাম , হঠাৎ দেখি লোকটা ভাত খাচ্ছে না । হাত দিয়ে ভাত গুলো নাড়াচাড়া করছে আর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ।
কি হল আপনি খাচ্ছেন না কেন ।
খাবো বাবা আজ ২ দিন পর খাচ্ছি তো তাই খাবার গুলুকে একটু ভালো করে দেখে নিচ্ছি।
আচ্ছা ঠিক আছে খেয়ে নিন।
আমার খাওয়া প্রায় শেষ কিন্তু ওনি এখনও খাওয়াই শুরু করে নি। আবার জিজ্ঞাস করলাম কি হলো খাবেন না , খেয়ে নেন। তাতে কোন ফলাফল পাওয়া যায় নি ।
আপনি কে বলুন তো ?
বুঝলাম না বাবা?
আপনি কে ? কোথায় থাকেন ?
আমি এক বাবা। আর আমি কোথায় থাকি যাবে?
হ্যাঁ যদি নিয়ে যান।
চল এই বলে লোকটা আমাকে নিয়ে একটা বড় বাড়ির সামনে দাড়ালো। জিজ্ঞাস করলাম এইখানে কি?
এইখানেই আমার ছেলেরা থাকে । আর ওই যে দেখছো দোকান টা ওটা একদিন আমার ছিল। ওই টাকা দিয়েই চলতো আমাদের সংসার। আমি আমার স্ত্রী আর আমাদের দুই ছেলে আর এক মেয়ে । খুব সুখেই ছিলাম । কপালে সুখ সইলো না। ভেবেছি ছেলেদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবো , ওরা ভাল চাকুরি করবে আর সব মানুষের মত আমিও একটু অবসর নিবো। ওদের মানুষ করাতে গিয়ে দোকান টা ছাড়তে হলো । ছেলেমেয়েরা মানুষ হল,মেয়েটার বিয়ে হল,এখন ওরা নিজেদের জীবন সাজাতে ব্যস্ত ! যেটুকু সহায়সম্বল ছিল সন্তান আর মানুষের পিছে শেষ করেছি নিজের বলে কিছুই রাখিনি । একদিন ওদের মা আমাকে ছেড়ে চলে গেল । ছেলেরাও বিয়ে করেছে । ওদের বাড়িতে আমার থাকার মত কোন রুম নেইতো তাই আমি পার্কে কিংবা রাস্তার দ্বারে শুয়ে পড়ি । কথা গুলো বলছে আর চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি বেয়ে পড়ছে।
পৃথিবীর এই মানুষ নামক প্রানীরা বড়ই স্বার্থপর রক্ত মাংস সব চুষে খেয়ে ছুড়ে ফেলে দিবে হাড্ডিযুক্ত খোলসটাকে,,,,,,,,!
Comments
Post a Comment