Posts

Showing posts from October, 2017

গর্জন, বর্জন , বর্ষণ : অতঃপর ডুবে ডুব দেওয়া । একজন ফারুকীর সাথে আমার ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট

Image
টাইটেল কথন : প্রতিটা বিষয় লিখার আগেই আমার টাইটেল ঠিক করতে হয় না হলে লেখা এই দিক ওই দিক ঘুরতে ঘুরতে বিশাল আকাশের তরে হারিয়ে যায় । এখন আপনার প্রশ্ন জাগতে পারে এমন টাইটেল কেন ? বিষয়টা আমিও অনেক চিন্তা করেছি কেন দিলাম : ওহ মনে পড়েছে , শেষ দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তার মধ্যে ঢাকা অ্যাটাক এর থেকেও ডুব নিয়ে আলাচনা সামালোচনা, পর্যালোচনা কোনটার ই কমতি ছিলো না, হয়তো তার প্রেক্ষিতেই আমার এই টাইটেল দেওয়া , আর প্রতিটি সিনেমাই পরিচালকের কাছে সন্তান । আপনার বেড রুমে একটা বই রাখলেন মানে ওই পরিচালক আপনার রুমে আছে , ঠিক একই ভাবে  , যে সিনেমাটি আমি দেখছি , আমার কাছে মনে হয় আমি সেই সিনেমার পরিচালকেই সময় দিচ্ছি । সেটা আমার জন্য হোক আর যেই কারণেই হোক । আর বিস্তারিত গেলাম না , প্রতিটি কথাই নিজের ব্যক্তিগত , পচন্দ না হলে এড়িয়ে চলে যান । আজাইরা আলাপ :  প্রতিটা রিভিউ বলি আর যাই বলি নিজের আলাপ না করতে পারলে কেমন জানি খুত খুত মনে হয় । আসলে সব কিছুর উপর তো নিজের ব্যান্ডিং তাই নয় কি ? প্রতি বারের মতো এইবার ও বলে রাখি আমি কিন্তু ভাই ক্রিটিক্স না । একজন সাধারণ দর্শক । একজন পরিচালক যখন কোন সিনেমা বা ভিডিও শট নেন তখ

প্রবাহমান জীবন ও কিছু কথা!

Image
সময় প্রবাহমান। নিজের গতিতে চলতেই থাকে। মানুষ ও সেই সময়ের সাথে ভেসে যায় এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে। পিছনে ফেলে যায় কিছু সুখ, দুঃখ বিজরিত মুহুর্ত। প্রতিদিন আমাদের এই বেঁচে থাকার লড়াই প্রকৃতির সাথে, সমাজের সাথে, পাওয়া না পাওয়া আর মিথ্যা ও সমঝোতার সাথে। যে মানুষ এই বহুরুপী লড়াই এর কাছে পরাজয় মেনে নেয়, সেই হেরে যায়! হেরে যায় জীবনের কাছে, হেরে যায় নিজের কাছে! জীবনের বাস্তবতা বড় কঠিন। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী চলেনা। একেক সময়, একেক দিকে এঁকে বেঁকে চলে। নদীর স্রোত কে যেমন নিয়ন্ত্রন করা যায়না,প্রবাহমান জীবনের গতিকেও তেমনি নিয়ন্ত্রন করা যায়না। নিজেকে সেই গতিতে মানিয়ে নেয়ার নামই বেঁচে থাকা। আমরা অনেক সময়, নিজের জন্যই কেবল বেঁচে থাকি। কিছুটা স্বার্থপর এর মত। আমি কি চেয়েছি , আমি কি পেয়েছি… সেটাই যেন মুখ্য বিষয়। ভাল চাকরি হয়নি, হতাশায় ডুবে গেলাম। ভালবাসায় সফলতা আসেনি, গাজা ,ইয়াবা খাওয়া শুরু করলাম। জীবনের গতির সাথে তাল মিলিয়ে সামনে এগুতে পারলাম না, আত্যহত্ত্যা করে ফেললাম । আমরা কি কখনো ভাবি, এই দেহ, এই সৌন্দর্য , এই জীবন কার দেওয়া ? যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তার প

নারী মানুষ নাকি পণ্য ? কে দায়ী সমাজ নাকি আমি , তুমি , সে !!

Image
অলি গলি থেকে বড় রাস্তার মোড় , সব খানেই র্পালার খুলে বসা হয়েছে । বাজারে পাওয়া যাচ্ছে , নানান রঙের কসমেটিকস । এখন যদি প্রশ্ন করা হয় এই গুলো কারা ব্যবহার করে , কিংবা এই সব কাদের জন্য । মোফাস্সলের সেই ছোট বাচ্চাটাও বলে দিতে পারবে , যে এই সব নারীদের জন্য । তারাই এই সব ব্যবহার করছে । প্রশ্ন এইটা না , প্রশ্ন হচ্ছে কেন ব্যবহার করছে ? নিজের সত্যিকারের রূপ ঢাকার জন্য ? নাকি , রূপের তীব্রতা বাড়ানোর জন্য । সে যেটাই হোক , তার উদ্দেশ্য কিংবা লক্ষ একটাই , কেউ আমায় দেখে বলে উঠবে মেয়েটা দেখতে অনেক সুন্দর । এই তো ? মেয়েরা বেশী খেতে পারবে না , কিংবা মোটা হতে পারবে না । কারণ তাহলে তাদের মেদ বেড়ে যাবে , যা দেখতে বাজে দেখায় । তাই তাদের খাওয়াটা মেপে খেতে হবে । আর তারাও নিজেদের স্লিম রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে । আজকাল তো অনেকেই খাবার দেখলেই ভয় পায় । কিন্তু কেন ? সেই একই প্রশ্ন কেউ যাতে তাকে দেখে বলে না উঠে , না মেয়েটা মোটা , একে দিয়ে হবে না ? মেয়ে দেখতে আসলো ছেলের বাড়ি থেকে , পুরো বাড়ি জুড়ে হই হই কান্ড । মেয়েকে সাজাও । মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত তাকে সাজিয়ে দাও । তাকে আজ দেখবে .....। কেউ কেউ তো এমন

"ফরেস্ট গাম্প " একটি অনুপ্রেরণার গল্প, একটি মৃত প্রাণকে তাজা করার সিনেমা

Image
হোক কাজ , হোক ভালো লাগা কিংবা স্বপ্নের পথ চলা থেকে , সে যাই হোক সিনেমা দেখা এবং সেটা নিয়ে অন্যের সাথে শেয়ার করতে (ভালো কিংবা মন্ধ সে যাই হোক) আমার ভালোই লাগে । পচন্দের তালিকায় প্রথম জীবন থেকেই , অনুপ্রেরণার গল্প , অনুপ্রেরণা পাবো এমন সিনেমেই  শীর্ষে । সেই সুবাদে "ফরেস্ট গাম্প " দেখা । না এখনই প্রথম না , এর আগেও মোট ৬ বার দেখা হয়েছে সিনেমা খানা । আজ কাল পরশু করে করে লেখা হয় না , জানানো হয় না আপনাদের কে , কেমন লেগেছে ? কেন আপনি দেখবেন কিংবা দেখবেন না !! পরিচালক: রবার্ট জেমেকিস মুক্তিকাল: জুলাই ৬, ১৯৯৪ দৈর্ঘ: ২ ঘণ্টা ২২ মিনিট দেশ: হলিউড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রযোজক: উইন্ডি ফিনারম্যান, স্টিভ তিস, স্টিভ স্টারকি, চার্লস নিউরিথ চিত্রনাট্য: এরিক রুথ, উইনস্টন গ্রুমের ‘ফরেস্ট গাম্প‘ উপন্যাস অবলম্বনে IMDB রেটিং: ৮.৮ (এই আলোচনা লিখার সময় পর্যন্ত ১০,৩০,৯৫৫ জন রেটিং দিয়েছেন।) চলমান সিনেমা : বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ফরেস্ট গাম্প বলতে শুরু করে তার জীবনের গল্প, এবং শুরু হয়ে যায় ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত চলচ্চিত্র রবার্ট জেমেকিস’র মাস্টারপিস “ফরেস্ট গাম্প“। নায়কের নাম অনুযায়ী

লাশের পকেটে হাসি , একজন দিপংকর দীপন , ঢাকা অ্যাটাক আমার দ্বি-দর্শন

Image
প্রথমেই বলে দেই না আমি কোন নাম করা রিভিউ লেখক , না কোন সিনেমা ক্রিটিক্স । তাহলে আমি কে ? ওহ কি ভাবে বলবো সত্যি কথা বলতে আমি নিজেই এই প্রশ্নের উত্তর  খুজচ্ছি । পেয়ে গেলে বলে দিবো । সিনেমা দেখি ভালো লাগে , লিখি তাও ভালো লাগে , আসলে আমার সবই ভালো লাগে , যা আমি করি । মূল কথায় আসি । শুরুতেই একটু টাইটেল বয়ান : সিনেমাতে সব থেকে জোর দিয়ে যে ডায়লগটা দেওয়া হয় , তা হলো লাশের পকেটে হাসি , তাই ডায়লগ খানা আমি চুরি করেছি । ছবিটির পরিচালক দিপংকর দীপন ভাই , ব্যাক্তিগত ভাবে পছন্দের মানুষ না এই মুভির কারণে না , এমনতিই । জ্বি না ওনার সাথে আমার কোন হট কানেশন নাই এমন কি কোন  সেলফি পর্যন্ত নাই , ইহাতে আমার একটু অনিহা আছে । আর দ্বি-দর্শন বলতে এইখানে আমার ছবি দেখাকে বুঝিয়েছি । মানে আমি এই মুভি খানা দুইবার দেখেছি । প্রথম দিন আর সপ্তাহের শেষ দিন । এই হলো টাইটেল সমাচার । এই বার চলুন মুভির ভিতরে ঢুকি : চলমান সিনেমা : ক্যামিকেল ল্যাব থেকে কিছু সাধারণ ক্যামিকেল চুরি , কিন্তু তার জন্য খুন হয় কয়েকজন মানুষ । কারণ কি ? স্কুল বাসে বোমা বিস্ফরণ , ক্যামিকেল চুরির সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের খুন । পুলিশ খুজতে থাকে খু

হারিয়ে ফেলা দিন গুলো নতুন করে পাওয়ার চেষ্টায়

Image
আজকাল আর কোকিলের ডাক শুনি না । কিংবা শুনার পর ওটা নিয়ে চিন্তার মাঝেও হারিয়ে যাই না । ধান ক্ষেত কিংবা কাশফুল দেখে বসে পড়ি না , বহু দিন হলো ডায়রি লিখা হয় না । এখন কম্পিউটার আর ফেইসবুকের টাইমলাইনে লিখেই সময় কাটাই । কিন্তু বহু দিন পর আর আবার মনে হলো না , যাই করি না কেন , ডায়রি লিখার তৃপ্তি টা পাচ্ছি না কোথাও । ভেবেছিলাম ঈদের পর থেকেই শুরু করবো । কিন্তু সময় হয়ে উঠেনি । কিন্তু আজ মনে হচ্ছে আর দেরি করা যাবেনা । আমি ডায়রি লিখতে ভালোবাসি । ভালোবাসি পকৃতি দেখে তার কথা ভাবতে ভাবতে কয়েক  পাতা লিখতে । আমি কেন ডায়রি লিখি ? আমি ডায়রি লিখি কারণ , ডায়রি লিখলে মন ভালো থাকে । নিজের এমন কিছু কথা থাকে যা কারোর সাথে শেয়ার করা যায় না । আবর ওই গুলো নিজের ভিতর রাখলেও কষ্ট বেড়ে যায় । আমি তাই ডায়রি লিখি , যে কথা গুলো কাউকে বলা যায় না , আমি সেই কথা গুলো ডায়রির সাথে বলি । আমি ডায়রি লিখি কারণ , আমি বিগত দিনে কি করেছি , আর আগামী দিনে কি করবো ওই হিসাব টা রাখার জন্য , তাতে করে প্রতিদিন দেখা যায় , আমি আমার স্বপ্নের পিছে কতোটুকু সময় দিচ্ছি ? আর কতটুকু ভালো কাজ করছি । আমি ডায়রি লিখি কারণ : বলতে পারেন সে আমার

প্রথমত ছাত্র হয়ে যাও

শিখার জন্য বড় কিছুর প্রয়োজন হয় না , অনেক ছোট ছোট বিষয় থেকেও বড় কিছু শিখা যায় । আজ তেমন ই একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো । আমার একটি প্রচলিত অব্যাস ছিল মন খারাপ থাকলেই চলে যেতাম রমনায় । কোন একটা গাছের নিছে বা লেকের পাড়ে বসে কিছুটা সময় কাটাতাম , আবার মনের কিছু পরিবর্তন হলে বাসায় ফিরে আসতাম । প্রতিদিন ই একজন লোককে দেখতাম চুপচাপ বসে কি যেন ভাবেন । কখনোই কিচু জিজ্ঞাস করিনি। আজ মনটা বেশ খারাপ তাই পরিচিত সেই স্থানটায় যাওয়ার জন্য মনটা বেশ উঠেপড়ে লেগেছে । যেই ভাবনা সেই কাজ চলে আসলাম সেই স্থানে । আজও সেই লোকটার সাথে দেখা । ঠিক একই জায়গায় বসে আছে । আমি লোকটার পাছে গিয়ে বসলাম । আমিও ওনার মতই চুপচাপ বসে রইলাম । এবং ওনার দৃষ্টি কোনদিকে সেই বিষয়টা বের করার চেষ্টা করছি । দেখলাম লোকটি সামনের একটি গাছের দিকে তাকিয়ে আছে । কিছুই বের করতে পারলাম না । কি ব্যাপার তুমি আমার দৃষ্টি বের করার চেষ্ট করছো ? ( খুব ছোট করে লোকটি প্রশ্ন করলো ) আমিতো অবাক ! কি ব্যাপার ওনি কি করে বুঝলেন । আমি ছোট করে উত্তর দিলাম হ্যাঁ । তোমার মন খারাপ ? কিছু নিয়ে চিন্তিত ? আপনি কি করে বুঝলেন? তোমার চেহারা দেখে বুঝলাম । তোমার

আত্মহত্যাই কি ব্যর্থতার একমাত্র সামাধান : ব্যর্থতা, চেষ্টা এবং সফলতার এক অদ্ভুত বাস্তবিক মিশেল

Image
কখনই পতন আবার কখনই উত্থান এইতো জীবন । কিন্তু শেষ কয়েকদিন এতো পরিমাণ মানুষের মৃত্যু খবর পেয়েছি তাতেও সমস্যা ছিলো না , যদি না মৃত্যুগুলো  স্বাভাবিক মৃত্যু হতো । বেশীর ভাগই গলায় ফাঁস কিংবা বিষ পানে । আপসুস তাদের জন্য , যারা জীবনের ভয়ে , হেরে যাওয়ার ভয়ে মৃত্যুকে বেচে নিয়েছে । জানি আমার এই লেখায় , এর সংখ্যা কমবে না , তারপরও বলবো , সত্যি তারা বড্ড বেশী বোকা ছিলো । যাই হোক , এ যাবৎ কালে প্রাপ্তি বলতে আপনাদের কিংবা সফলতার গ্রামার খুজে যা পেয়েছি , সেই হিসেব অনুযায়ী আমি ব্যর্থদের দলের একজন । তবে আমার কাছে তা মনে হয়নি , কারণ আমি চেষ্টা করছি এবং করছি । তারাই মরে যারা চেষ্টা করে না । মুলত ততদিন আপনি মরবেন না ,যতদিন না , আপনি আপনার কাংক্ষিত বস্তু কিংবা স্থান না পাবেন । পাওয়ার পরে মরার চিন্তা করতেই পারেন কারণ তখন আপনার আর চাওয়ার কিছুই নেই । কিন্তু আজকাল যারা মরছে তাদের সবাই না পাওয়ার কারণেই মরছে । কেন জানি না তাদের জন্য মায়া হয়না , কেবল আপসুস হয় কারণ বেচে থাকলে তারা হয়তো অনেক কিছুই করতে পারতো ।  কিংবা চেষ্টা করতে ভয় পায় । নেশা বলতে স্বপ্ন দেখা , তার পিছে ছুটে চলাটাই প্রধান নেশা । সেই সাথে বই পড়া এম