Posts

মাথা ভর্তি সিনেমা পোকা

Image
হাটি হাটি পা পা করে , অনেকটা পথ চলা হয়ে গেছে  । কখন যে , কোথায় কিভাবে মাথায় এতো গুলো পোকা ডুকিয়ে নিয়েছি তা ভাবতেই এখন কেমন গায়ে কাটা দিয়ে উঠে । তবে হ্যাঁ স্বপ্ন দেখার ব্যাপারে আমার কোন কৃপণতা নেই । আমি অনেক বড় স্বপ্ন দেখতে পারি , আবার তার পিছে তার দিন ছুটে চলতে পারি । যাই করি , ঘুরে ফিরে , একই জায়গায় । আমি সিনেমা বানাবো । দিন শেষে যখন পকেট কুড়িয়ে দুই টাকার একটা নোট ছাড়া আর বের হয় না । কিংবা পাশের লোকটা কটু করে বলে , পাগল একটা , তখন সত্যি আমার খারাপ লাগে না । এই কারণেই লাগে না , কারণ এই পাগল শব্দটি অনেক বার শুনেছি । এখন একদিন না শুনলেই মনে হয় ওই দিন আমি কোন কাজই করি নাই । সময়ের সাথে সাথে পোকা টা যখন শক্ত অবস্থান নিয়েছে । তখন আশে পাশের লোক গুলো দুরে সরে যেতে শুরু করেছে । তাতে কি , আমি তখন ভেজায় খুশী । কারণ আমার আশ পাশটা  পাকা হচ্ছে , আর আমার স্বপ্ন গুলো ঘনিয়ে আসছে । দেখতে দেখতে গড়ে তুললাম  চ্যানেল প্রজন্ম  নামে একটি অনলাইন চ্যানেল । সেই সাথে  ঝাড়বাতি সিনে ক্লাব  নামে বাংলাদেশী সিনেমা ক্লাব । আর এরই মাঝে নির্মাণ হয়ে গেলো নিজের পরিচালিত প্রথম শর্ট ফিল্ম গল্পের শেষটা  । পেয়ে গেলাম

আমাদের মাতৃভাষা দিবস

Image
আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি রইলো আমার শ্রদ্ধা আর অন্তরের ভালোবাসা। আজ বাঙালী হয়ে আমি গর্ব অনুভব করি। একদিন আমরাই আমাদের মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলাম। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত স্মরণীয় আর সম্মানের বিষয়। বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে তাই এখোনো আমাদের মনে লাগে জ্যোতস্নার চন্দন। একুশের সকাল তাই আজও মনে হয় অলৌকিক ভোর। খানিক পরেই বের হবে প্রভাত ফেরির মিছিল । সবাই গাইবে , আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী , আমি কি ভুলিতে পারি ।  এই একদিন ফুলের মেলা বসবে , শহীদ মিনার প্রঙ্গনে । ফুলে ফুলে মুখরিত দেশের সব কটি শহীদ মিনার । এই দিনটি আসলেই আমার উচ্চ স্বরে গাইতে ইচ্ছে করে ...... "প্রভাতফেরী, প্রভাতফেরী আমায় নেবে সঙ্গে, বাংলা আমার বচন, আমি জন্মেছি এই বঙ্গে।"..

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে ..

Image
ইট পাথরের দেওয়াল ঘেরা আর পিছঢালা রাস্তা , চারদিকে ছোট বড় গাড়ির শব্দ , কারো অবসর নেই , সবাই ব্যাস্ত কারো কোন অবসর নেই, প্রথম প্রথম ঢাকায় পা রাখলেই চমকে যেতাম , মনে হতো এইখানে বুঝি আমার ঠাই নাই, এই খানে সব ব্যাস্ত লোকদের আর বড় লোকদের আড্ডাখানা । টেলিভিশন এর পর্দায় বড় বড় বিল্ডিং দেখে মনে এক ধরণের লোভ জন্মাতো , মনে হতো আমার ও তো এই রকম একটা বিল্ডিং করা দরকার, হবে একদিন আমারও একটি বাড়ি হবে গাড়ি হবে, সারাদিনের ব্যাস্ততা শেষে আমি গাড়ি করে আমার বাড়ি পিরবো , কর্মচারী থাকবে , থাকবে সুন্দর একজন সংঙ্গী ,বলতে বলতে চোখের কোনে কিছু জল এসে গেলো , বুঝে উঠতে পারছি না , এটা কি আনন্দের নাকি না পাওয়ার যন্ত্রণার ? কিছু সময়ের জন্য বিষয়টা নিয়ে ভাবনার জগতে চলে গেলাম , ভাবতে লাগলাম , এমন কতো লোক পাবো যে যাদের এই রকম ব্যার্থ গল্প গুলো শুনতে পাবো । আর কত জনের বা চোখের কোন ঘেসে জল গড়িয়ে এই মাটির বুক চেয়ে যাবে ? একটি ধাক্কা ছোট করে একটি ধাক্কা, নেন বাদাম খান , আর কি ভাবছেন ? ওহ হ্যাঁ বাদাম !! কিছুটা হতভ্মব হয়ে হাত বাড়িয়ে কয়েকটা বাদাম নিলাম । আচ্ছা এখন আপনার কি অবস্থা ? এখন আমি খুব সুখে আছি , বেশ ভালো

ই-কমার্সে বড় কোম্পানীর আগমন , আমাদের ভীতু বনের যাত্রা। আমার ই-কর্মাসের দিন গুলো - পর্ব : ০৪

Image
সকাল বেলায়  চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে বসতেই , দোকানের চারপাশে অনেক লোক ভিড় করে আছে ।  সবাই খুব চিন্তিত , উত্তেজিত । ঠিক বুঝা যাচ্ছে না । তারা কি নিয়ে কথা বলছে । একটু সামনে এগিয়ে  গেলাম । তাদের কথা শুনার জন্য । তখন বুঝতে পারলাম সঠিক ঘটনা টা কি ? আমার অনেক কাজ তাই চলে আসলাম , বাসায় এসে টিভি খুলতেই একটা চ্যানেলে টকশো চলছে । টকশোর বিষয় বস্তু ওই যে সকালের ঘটনাই !! টকশোতে মোট ৪ জন লোক । উপস্থাপক ছাড়া । একজন , অনলাইন ব্যবসায়ী , ২য় জন - দেশের সব থেকে বড় সুপার শপের মালিক , ৩য় জন রাস্তার পাশে / হাট বাজারের কাচা মাল (যেমন -সবজি , তরকারি , মাছ মাংস) বিক্রেতাদের প্রধান । আর একজন সু-শীল । আলৌচনার বিষয় :   ডিজাটালের নামে গরিব মানুষের পেটে লাথি । উপস্থাপক এক এক করে জিজ্ঞাস করছেন । বিক্রেতাদের প্রধান তার একটাই কথা , দেশের এই সব সুপার শপের নামে আমাদের মতো গরিব মানুষদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে । সেই সাথে সুপার শপ মালিক বলছেন আমি কি একা করছি নাকি ? এই যে অনলাইনে ওনি বিক্রয় করতেছেন তারা তো আরো সমস্যা করতেছেন । সু-শীল গভীর ভাবে ভাবছেন । তার মুখে কোন কথা নাই ।  টকশোতে একটা সময় হট্টোগোল শুরু হয়ে গেলো । উপস্

আমার ই-কর্মাসের দিন গুলো - পর্ব : ০৩ ,

Image
প্রথম এবং দ্বিতীয় এই দুইটা পর্ব এলো মেলো ভাবে লেখেই শেষ করেছি । ওখান থেকে কে কি পেয়েছেন জানি না । আর আমি কখনই বলতে পারবো না যে আপনাকে গোটা ই-কমার্স সর্ম্পকে বুঝেয়ে দিবো । কিংবা আমি ই-কমার্সের মহাজ্ঞানী এই কথাটুকু আমার মুখে আসবে না ।আমিও আপনার মতো শিখছি । এখনো শিখার চেষ্টায় আছি । এক কথায় আমি একজন ছাত্র । আপনার আর আমার মাঝে তেমন পার্থক্য নেই । ছোট একজন মানুষ , ব্লগ পড়ে , টিউটরিয়েল দেখে , লোক মুখে শুনে , আপনাদের সাথে কথা বলে যা শিখতে পেরেছি তাই বলছি । ইকর্মস কি , কেন , কোথা থেকে আসলো , এই সব আর বলার প্রয়োজন মনে করি না । কারণ সবাই ্‌ বিষয়টা সর্ম্পকে জানে । সরাসরি কাজে চলে যাই । প্ল্যান প্রোগরাম সব কিছু হয়ে গেছে যে আপনি একটা ই-কমার্স সাইট করবেন । মানে আপনি অনলাইন ব্যবসা করবেন । প্রথম কাজ বিনিয়োগ নির্ধারণ : আগের পোষ্টে বলে এসেছি ব্যবসার কয়েকটি বিষয় বস্তুর মধ্যে একটি হলো , অর্থের সঠিক ব্যবহার । এই বার আসি আমরা যেহেতু ব্যবসা করবো তাহলে তার জন্য একটা মুলধন নির্ধারণ করা । আমরা মোট কতোটাকা নিয়ে ব্যবসায় নামবো । অনেকেই আছে যে বলে ভাই এইটার কোন হিসাব নেই । এই কথা বললে আমি বলবো ভাই আপন

আমার ই-কর্মাসের দিন গুলো - পর্ব : ০২

Image
সময় খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে । দেখতে দেখতে ৩টা বছর পার হতে চললো । না আমি এই ৩বছর না , এরও আগ থেকে অনলাইন শপিং , অনলাইন বেচাকেনার পোকাটা মাথায় ঘুরছে । সেটা এখনো মনে নি । এখনো খুব শক্ত অবস্থানেই আছে । আর সেই জন্যেই দেশী বিদেশী অনেক ব্লগই পড়া হয় । ই-কমার্স এবং কোম্পানী ব্যান্ডিং নিয়ে । না আমি খুব বেশী কাজ জানি না । আমি জানি কেবল পড়তে । আর পড়ার পর ওই বিষয়টা নিয়ে একটু চিন্তা করে নিজের জীবন নিজের স্বপ্নের সাথে তার একটা সাদৃশ্য ঘটাতে । মাথায় নতুন চিন্তা আসে । নতুন করে অনক কিছুই উকি দেয় । সব কিছু একটা নোট করে রেখেছি মাত্র । এখনো যাত্রাটা আরম্ভ করা হয়নি । করেছিলাম , এবং ভালৌই ছিলো । কিন্তু সেটা বেশী দুর পাড়ি দেওয়া হয় নি । এখন আপনি বলতে পারেন আমি ব্যার্থ । কিন্তু আমি বলবো না আমি সফল । কারণ সফলতা টা এক একজনের কাছে এক এক রকম । আর আমি মনে করি ব্যর্থ বলতে কিছুই নেই । আর যদিও থেকে থাকে সেটা হলো চেষ্টা  না করা , পথ যাত্রা না দেওয়া । কিন্ত আমি সেটা করেছি । এই যাত্রা পথে যা শিখেছি তাই নিয়েই আপনাদের সাথে বকবক করছি এর বেশী কিছু না । প্রথমত যেটা শিখেছি সেটা হলো আপনি ততক্ষণ পর্যন্ত কোন বিষয় সর্ম্পকে পূর

ই-কমার্স অধ্যায়নং তপঃ........

Image
কি একটু থেমে গেলেন । চোখ আটকে গেলৌ এইতো .? মনে হচ্ছে কোথায় যেন শুনেছেন বাক্যটা । হ্যাঁ আপনি ঠিক ধরেছেন । কেবল শুনেনই নাই , পড়েছেন ও ।মনে পড়েছে ছোট বেলায় যে একটা ভাবসম্প্রসারণ পড়েছিলেন । ছাত্রনং অধ্যয়নং তপঃ , অধ্যায়নই ছাত্রদের তপস্যা । সত্যিই পড়া লেখার বাহিরে ছাত্রদের আর কোন মূল বিষয় নেই । আমরা সেই বিষয়েরই তপস্যা করি যেটা কিনা , আমাদের ফল দেয় , এবং দিবে । সুতরাং ছাত্রদের একমাত্র কাজ পড়ালেখা (যুক্তি তর্ক বাধে) । পাশের বাসার ছেলেটি অনলাইনে কিসব পেইজ খুলে বেচাকেনা শুরু করে দিয়েছে । শূনেছি তার নাকি এখন ভালোই ইনকাম । বাজারের দিকে একটা অসি ও দেখছে সে । এইটা কি , এইতো গত কালই পত্রিকায় দেখলাম কোথাকার জ্যাক নাকি এই অনলাইন ইন্টারনেটে দোকানদারী করে এখন কোটিপতি হয়ে গেছে । সবাই যদি পারে আমি কেন পারবো না । আজই খুলবো একটা পেইজ । আমিও বেচাকেনা শুরু করবো । আমাদের এই একটা কমন রোগ আছে যখন দেখি সাকিব আল হাসান খেলায় ১০ লাখ টাকা পুরুষ্কার পেয়েছে এবং সবাই তাকে হাত তালি দিয়ে বাহ বা দিচ্ছে তখন ইচ্ছে করে , এক লাফে আমিও সাকিব আল হাসান হয়ে যাই । আবার যখন সিনেমা হলে গিয়ে দেখি সাকিব খান সেই লেভেলের