Posts

এ যেন এক অচেনা নগরী , অচেনা সভ্যতা ।

Image
 ময়লা অবর্জনার স্তুপের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমরা নাক ছিটকে অনেক কিছুই বলি । ভুলে যাই এই ময়লা গুলো আমাদের প্রতিদিনকারের অনেক সুন্দর খাবার কিংবা ব্যবহৃত জিনিষ গুলোর ফেলে দেওয়া অংশ বিশেষ ।  ছবি : Paste Magazine ঠিক পচে যাওয়া একটা সমাজ যখন গন্ধ ছড়াতে শুরু করে তখন আমার মতো অনেক হিপোক্রিটের জন্ম হয় যারা সুন্দর সুন্দর বাণী দিবে । আবার কেউ কেউ বা আমার থেকেও উচ্চমার্গিয় বক্তব্য দিবে । কিছুই করার নেই কেন না , আমাদের নীতি আদর্শ চুরি হয়ে গেছে অনেক পূর্বে । বহুবছর শোষণের শিকার এই জাতির নীতিতে মরিচার আবরণ পড়ে গেছে । আর বাকি গুটি কয়েক যে গুলো ছিলো তাদের কেও কখনো না কখনো আমরা বিভিন্ন উপাদি দিয়ে মেরে ফেলেছি ।  এই পচে যাওয়া সমাজ নামক স্তুপে এখন আর পদ্ম ফুল ফুটে না , আর ফুটলেও আমরা সেই ফুলকে চিনিনা বলেই কোন অচিন ফুল ভেবে ছিড়ে পেলে দেই । কিংবা তা অযত্নে অবহেলায় এক সময় নিজ থেকেই বিলীন হয়ে যায় । এই খানে কিছু এখন কিছু কিটের বসতি হয়েছে । মারাত্মক সব কিট , যারা একজন অন্যজন কে কামড়াচ্ছে । কাক যেখানে স্ব-জাতির মাংস খায় না , কিন্তু এই কিট গুলোর পচন্দের খবারের তালিকায় প্রিয় হলো স্ব-জাতির মাংস ।  এই হিংস্র কিটের কাম

ভালো থাকুক আমার প্রিয় সম্পর্কগুলো , ভালো থাক প্রিয় প্রেম গুলো ,আর প্রেমিকা গুলো ।

 না চাইলেই অনেক কিছুকে আজ কাল দুরে ঠেলে দিতে পারি না । প্রয়োজন নেই বলে ছুড়ে পেলে দিবো তা পারি না । জীবনের গতি পথ সে নিজ থেকেই ঠিক করে নিচ্ছে । সাথে নিয়তির পালা বদলকে  ভাগ্যটাও সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছে; নিজেকে আজ বড্ড একা মনে হচ্ছে । হয়তো এমনটাই হওয়ার কথা ছিলো । ঠিক যেমন টা বাতাসে উড়তে থাকা ধুলো কণা থেকে শুরু করে পলিথিনের ওই আবর্জনাটার মতো । এই গলি ওই গলি উড়ে কোন এক নতুন স্থানে গিয়ে নিজেকে আবিষ্কার করছে সে । হয়তো বা প্রয়োজন নেই বলে রেখে দিনে কিংবা সরে যেতে না পারার ফল এটি । অনেকটা প্রয়োজন , আপন বলে যে সম্পর্ক গুলোকে আগলে রাখার চেষ্টা চলেছিলো এতোটা দিন , সে গুলো এখন নতুন সুরে সুর তুলছে । কিন্তু সেই যাই হোক এর কষ্ট অনেক তীব্র । প্রিয় সম্পর্ক গুলোর হঠাৎ এমন পরিবর্তন আমাকে অনেকটা ভাবায় আজকাল ।  দিন দিন আশে পাশের পরিবেশটা এমন পরিবর্তন ডিস্টোপিয়ান সায়েন্স ফিকশনের গল্প গুলোকে ও হার মানায় । কোথাও মিল খুজে পাচ্ছি না । পারছিনা অনেক কিছু হিসাব মিলাতে । কি জানি সেদিনের অংকে ভালো ছাত্রটাও আজকাল অংক কষতে ভুল করে হয়তো  । কখনো কখনো ইচ্ছে করে , অনেক জোর করে , জোর দিয়ে প্রকাশ করে দেই , ভিতরে থাকা শব্দটাকে "

শুভজন্মদিন হুমায়ুন আজাদ । আপনার মতো করে কে আর ভাববে!

Image
বাঙলাদেশে জন্মালে ধ’রে নিতে হবে জন্মের সময়ই মৃত্যু হ’তে পারে; বেঁচে থাকলে অনাহারে থাকতে হ’তে পারে; বাঙলাদেশে জন্মালে রোগ খুবই হবে, চিকিৎসা হবে না, হ’লেও নামমাত্র হবে; হাসপাতালে গেলে ওষুধ মিলবে না, ওগুলো হাসপাতালের শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিরা গোপনে বিক্রি ক’রে দেবে; বাঙলাদেশে জন্মালে ধ’রে নিতে হবে লেখাপড়া হবে না, পরীক্ষা দিলেও অধিকাংশই পাশ করবে না, পাশ করলেও চাকুরি পাবে না। বাঙলাদেশে জন্মালে, ধ’রে নিতে হবে, জীবনটা কাটবে শক্তিমানদের খামখেয়ালির ওপর। শক্তিমানেরা চাইলে নদী শুকিয়ে ফেলা হবে, না চাইলে পথের ওপর দিয়ে নদী বইবে; শক্তিমানেরা চাইলে অসম্ভব সম্ভব হয়ে উঠবে, না চাইলে সম্ভবপর সব কিছু চিরঅসম্ভব থাকবে। শক্তিমানেরা চাইলে এখানে নিষ্পাপ দন্ডিত হতে পারে; না চাইলে মৃত্যুদন্ডিত মুহূর্তে নিষ্পাপ হয়ে উঠতে পারে। এখানে কোনো নিয়ম নেই, সবই চলে অনিয়মে, ও শক্তিমানদের কামনাবাসনা অনুসারে। বাঙলাদেশে জন্ম নিলে, ধ’রে নিতে হবে, জীবনটা পুরোপুরি অন্যের খেয়ালের ওপর ভর ক’রে থাকবে, পদ্মপাতায় টলমল করবে; যে-কোনো মুহূর্তে ঝরে যাবে। এখানে কোনো অধিকার নেই, কোনো যুক্তি দিয়ে এখানে কাউকে ন্যায়সঙ্গত কিছু বোঝানো যায় না। বাঙলার অধ

আমি অনেকটাই ভীতু

ছোটো থেকে একরাশ মৃতদেহ টপকে একটু একটু করে বেড়ে ওঠা আমার। আশে পাশের সবাই একটাই চিন্তা করতো , পড়ালেখা করবো , একটা সময় ভালো একটা চাকুরী করবো । তারপর সংসার । আর আমার চিন্তায় সব কিছুই ছিলো উলোট পালট । আমি তাদের মতো চিন্তা করতে পারি নাই । আর করি ও না । আমায় শুনানো হতো , শিয়াল পন্ডিতের গল্প , বলা হতো , ওই যে কদম বনের পরীদের গল্প । আর সব কিছুর মাঝে যে গল্পটা সব থেকে শুনানো হতো সেটা হলো , কার ছেলে পড়ালেখা শেষ করে , এখন কতো টাকা কামাচ্ছে । ওই সবের কোনটায় আমার মাথায় ঢুকে নি । আমি চলেছি আমার মতো করে , আমার পথে । আমি হেটেছি অন্ধকারের মাঝে , একটু আলোর সন্ধানে । আমি এখনও যা করি । তোকে কথা গুলো কখনই বলা হয় নি , তাই বলে রাগ করলি বুঝি ? সেদিন তুই বলেছিলি আমি ভীতু সত্যি তোর কথা । আমি ভয় পাই , অনেক ভয় । আমি ভয় পাই অন্ধকারে। আমি ভয় পাই রোজগার হীনতায়। আমি ভয় পাই মাঝপথে আটকে যাওয়ার। আর তাইতো আমি এই সকল কিছুকে এড়িয়ে চলি , যাতে এই ভয় গুলো আমার দ্বারে কাছেও আসতে না পারে । জানিস গত কয়েক বছরে অনেকেই এসেছিলো , আবার চলেও গেছে , ওদের যাবার ই কথা , কারণ ওরা তো ছিলো , ভেসে আসা মেঘেদের ন্যায় । আমি একটু বিচলিত হইনি ।

যে বিকালে নেই আমি (অপ্রকাশিত )

এই শহরের রাস্তায় এখন আর তেমন একটা নিয়ন বাতির আলোর দেখা মিলে না। প্রযুক্তির পরিবর্তনে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে । পরিবর্তন হয়েছে শহরের অলি গলি ,থেকে বড় রাস্তা । নির্মাণ হয়েছে উচু নিচু অনেক দালান । কেবল হারিয়ে গেছে কিছু দীর্ঘশ্বাস ,  বাতাসের সাথে মিলিয়ে গেছে কিছু অপেক্ষার সময় । মরে গেছে কিছু স্বপ্ন ।  মনে আছে শেষ সময় দু-চোখ ভরে দেখেছি নিয়ন আলোয় এই স্বপ্নের শহরটাকে । একটু একটু করে আলো পুরিয়ে যাচ্ছে , চোখ দুটো খুলতে খুব কষ্ট হচ্ছে আলো গুলো আমার থেকে দুরে সরে যাচ্ছে । আর আমি ? আমার এই দেহ খানি পড়ে রইলো ধুলো মাখা এই রাস্তায় ।  আমার মৃত্যুতে তাদের তেমন কোন লাভ হয় নাই । আমি জানিও না তারা কেন আমাকে চুরিকাঘাত করলো । কিন্তু তাতে আমার লাভ হয়েছে । আমাকে আর পালিয়ে বেড়াতে হয়নি আমার জীবন থেকে । আমাকে আর কৈপিয়ত করতে হয়নি এই সমাজের কাছে । আমার মুক্তি মিলেছে , এই ইট-পাথরে ঘেরা একটি শহর থেকে । মুক্তি মিলেছে  একটা দানবীয় গতিতে ছুটতে থাকা প্রজন্মের থেকে । তাদের অনেক তাড়া , তারা কোথা থেকে এসেছে , আর কোথায় যাচ্ছে তা হয়তো তারা অনেকের ই জানা নেই , তারা কেবলই ছুটছে , কেউ ছুটছে নিজের ইচ্ছেয় , আবার কাউকে বা ছু

'দ্য বুক থিফ' বস্তুত কিসের গল্প নিয়ে তৈরি

Image
'দ্য বুক থিফ' শুরু হয় লং শটে ! মেঘের দৃশ্য দিয়ে যেন বিরাট এক পটভূমিকে খুব সরল উপস্থাপনের মধ্যে দিয়ে চলচ্চিত্রকার বুঝাতে চান জার্মান সাধারণের বিশ্বযুদ্ধকালীন জীবন। স্টিম ইঞ্জিনের রেল একটি পরিবারকে নিয়ে যায় কোথাই যেন ! ১২ বছরের লিসেলকে দেখি আর দেখি তার ভাইয়ের মৃত্যু। লিসার মা জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির সভ্য এবং স্বভাবতই হিটলারের ধ্বংসযজ্ঞের শিকার ! লিসেল মিমিঞ্জারের আশ্রয় হয় রোজা হুবারম্যান এবং হান্স হুবারম্যানের ঘরে ! এই নি:সন্তান দম্পতী লিসেলকে দত্তক নেয়। রোজা এবং হান্স চরিত্রের মাধ্যমে দেখি শিশুসুলভ সরলতা। একরডিয়নের সুরে হান্স হুবারম্যান যুদ্ধকে ভুলিয়ে দিতে চান। জার্মান অঞ্চল বাভারিয়া এবং একটি অনিন্দ সুন্দর চলচ্চিত্রের শুরু। শুরুর একটি সিকোয়েন্স যুদ্ধকালীন জার্মান অর্থনীতির প্রেক্ষাপট বুঝতে সহায়ক হয় যখন আমরা দেখি হুবারম্যান দম্পতী লিসেল মিমিঞ্জারকে একা দেখে ক্ষুব্ধ হন যেহেতু তাদের দত্তক নেওয়ার কথা ছিলো দুইজনকে (লিসেল এবং তার ভাই)। কিন্তু আসার পথে প্রচন্ড শীতে লিসেলের ভাই মারা যায় এবং এর ফলে বড় সরকারি ভাতা পাওয়া থেকে হুবারম্যান দম্পতী বঞ্চিত হন